জাকির
দাঁত থাকতে নাকি দাঁতের মর্যদা দিতে হয়। কথাটা যে মিথ্যে নয়- এটা সবাই জানেন । তার পরও আমাদের আলসেমি-অবহেলায় দাতের বারোটা বেজে গেলে আমরা ছুটে যাই চিকিৎসকের কাছে। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু দাঁত সম্পর্কীত যেকোন ঝামেলাই এড়ানো সম্ভব। আর ঝকঝকে সাদা দাত কে না চায়? দাঁত সাদা রাখার তেমনি কিছু তরিকা জেনে নিন........
### যাদের রেড ওয়াইন, চা, কোমল পানিয়, সিগারেটের অভ্যাস আছে তাদের দাঁত ঝকঝকে সাদা হবে এমনটা আশা না করাই ভাল।
এ উপাদানগুলো আলগোছে এক ধরনের দাগ ফেলে দেয় দাঁতে। তাই যেসব খাবারে দাঁতের দাগ হওয়ার আশাংকা থাকে তা খাওয়ার পরেই চট জলদি দাঁত ব্রাশ করে ফেলতে হবে। নতুবা এই হালকা দাগই একসময় স্হায়ী হিসাবে বসে যাবে দাঁতে।
###একটানা অনেক দিন ধরে টুথ একই টুথব্রাশ ব্যবহার করা একদমই উচিৎ না। বহু ব্যবহত টুথব্রাশ মুখে ব্যাকটেরিয়া ডেকে আনে আর দাঁতও ঠিকমত পরিস্কার হয় না॥ তাই প্রতি দুই মাস অন্তর টুথব্রাশ পাল্টে ফেলা উচিৎ।
###দাঁত সাদা করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। ভ্রু কুঁচকে না থেকে আস্তেধীরে শুনুন, সপ্তাহে অন্তত একবার বেকিং সোডা টুথপেস্টের মতো ব্যবহার করে দাঁত মেজে ফেলুন, দাঁত সাদা হবে আরোও। তবে সোডা গিলে ফেলাটা কিন্তু ঠিক হবে না ।
###টুথপেস্ট হিসাবে ব্যবহার করা যায় লবণ। এটিও দাঁত পরিস্কারক হিসাবে কাজ করে।
আর এভাবে দাঁত ব্রাশের পর অবশ্যই মুখের লবন টুকু ফেলে দিতে হবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে তাদের লবণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ না করাই ভালো।
###প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশের আগে আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ঝকঝকে হবে। সেই সঙ্গে দাঁত ও মাড়ির ব্যাকটেরিয়াও দূর হবে। ভিনেগার দাঁতের লালচে দাগ দূর করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে।
###আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। খাওয়াদাওয়ার পরে একান্তই যদি দাঁত ব্রাশ করার সুযোগ না থাকে তাহলে একটি আপেল কিন্তু দাঁত ব্রাশের কাজ করে দিতে পারে। এছাড়া আছে গাজর। পপকর্নও দাঁত পরিস্কার করতে পারে। এই খাবারগুলি তাই ভূরিভোজের পরের দিকেই রাখুন।
ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।