ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
ভাই আদাব।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু জানতে চাচ্ছি আপনার কাছে। আপনার একটা পোস্ট পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে তাই জানতে চাওয়া.
আশা করি আমার কৌতুহল এর উত্তর দিবেন
১. আমি যদি দৈত নাগরিক হই এবং ধরেন আমি ১ বছরের কানাডিয়ান ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসেছি। মেয়াদ শেষে আমি পড়াশুনার জন্য আরও ২ বছর ভিসা নবায়ন করলাম, কিন্তু ইতিমধ্যে আমি কানাডিয়ান নাগরিক হলাম বা কানাডিয়ান পার্সপোর্ট পেলাম এবং ইতিমধ্যে আমার বাংলাদেশের থেকে নেওয়া ভিসা শেষ এখন আমি বাংলাদেশের পার্সপোর্ট দিয়ে দেশে যেতে পারব মানে আমার ভিসার মেয়াদ শেষ যেহেতু। তাহলে কি করতে হবে?? পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ কানাডাতে যেকোন ধরণের ভিসা নিয়ে থাকলে পাসপোর্ট বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এজন্য আপনাকে স্হায়ী বসবাসকারী (পারমানেন্ট রেসিডেন্ট--পিআর) হয়ে কমপক্ষে ১০৩৫ দিন কানাডাতে থাকতে হবে। পিআর হওয়াটা সময়সাপেক্ষ একটি বিষয় এবং বর্তমানে এই বিষয়ে অনেক কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত নীচের লিংকে পাবেনঃ
Click This Link
পিআর থাকা অবস্হায় পিআর কার্ড দিয়ে যেকোন সময়ে কানাডাতে যাওয়া আসা করা যায়। পিআর অবস্হায় ১০৩৫ কানাডাতে থাকার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় ১২-১৪ মাস লাগে এবং এরপর নাগরিকত্ব পেলে পাসপোর্টের আবেদন করা যায়।
২. ধরেন আমি বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল নাগরিক মানে টাকা পয়সা অনেক আছে (কথার কথা) এবং আমি কানাডা বেড়াতে গেলাম এবং সেখানে ১০/১৫ দিন থাকার পর আমার মনে হল আমেরিকা ঘুরে আসি তবে করনিয় কি?? মানে ভিসা কিভাবে পাব??
উত্তরঃ এজন্য আপনাকে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন দূতাবাসে ভিজিটর ভিসার আবেদন করতে হবে। এবং সেটা কানাডার ভিসা পাবার পর করলে ভালো হয়। কানাডা থেকেও আবেদন করতে পারবেন তবে সেটা যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়া হবার কথা। ব্যাবসায়ী শ্রেণীর লোকজন প্রায়শইঃ এই ধরণের দ্বৈত সফর করেন তাই এটা বাংলাদেশ থেকে করতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
৩. আমার এক পরিচিত লোক ঢাকা থেকেই কিভাবে জানি একসাথে মালয়েশিয়া ও সিংগাপুর ঘুরে এসেছে।
মানে বিভিন্ন দেশের ভিসার নিয়ম আলাদা। কিন্তু বেড়ানোর জন্য এমন কোন নিয়ম আছে যে আমি "ক" নামে একদেশে যাব এরপর "খ" নামক একদেশে যাব এবং "খ" নামক দেশ থেকে বাংলাদেশ ফিরে আসব মানে আমার "ক" নামক দেশে আবার ফিরে যাবার খরচ বাচল।
এটা কি সম্ভব??
উত্তরঃ এজন্য আপনাকে ঢাকাতে বসেই একাধিক দেশের ভিসার আবেদন করে ভিসা নিতে হবে। যেমন: আমি একবার জার্মানি এবং ইউকে একনাগাড়ে ভ্রমণ করেছিলাম (ঢাকা-লন্ডন-জার্মানি-লন্ডন-ঢাকা) এবং সেসময় আমি প্রথম আবেদন করি জার্মানির ভিসার জন্য। সেটা পাবার পর আবেদন করি ইউকের ভিসার জন্য।
৪.আবার ধরেন আমি কানাডিয়ান পার্সপোর্টে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশী পার্সপোর্টে কানাডা গেলাম এটা কি সম্ভব?? মানে কগজে কলমে সেই কানাডিয়ান ব্যক্তি কিন্তু ফেরত গেল না গেল একজন বাংলাদেশী যেকিনা আইনত একজন কানাডিয়ানও বটে!!
উত্তরঃ কানাডাতে ঢোকার জন্য আপনাকে পিআর কার্ড/কানাডিয়ান পাসপোর্ট/বৈধ ভিসা দেখাতে হবে। সাধারণত: আপনি পিআর হলে বা কানাডিয়ান পাসপোর্ট থাকলে ভিসা পাবেন না। তাই আপনি যেটা বলছেন সেটা হবে না।
তবে সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে অনেকে যেটা করে, ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন পার হবার সময় টাকা দিয়ে পাসপোর্টে কোন সিল নেয় না।
৫. এভাবে কি সম্ভব যে কানাডিয়ান পার্সপোর্টে আমি বাংলাদেশ আসলাম এবং সেই পার্সপোর্টের মাধ্যমে ইসরাইলে বা ফিলিস্তিনে গেলাম, যেহেতু বাংলাদেশের পার্সপোর্টে তা অসম্ভব।
কিন্তু এখানে একটা কথা বাংলাদেশে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের দূতাবাস নাথাকায় আমার করনিয় কি??
উত্তরঃ কানাডিয়ান পাসপোর্ট পেলে বিশ্বের মোটামুটি সব দেশেই আপনি বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। বাংলাদেশে যেসব দেশের দূতাবাস নেই সেসব দেশের জন্য ভারত বা কাছাকাছি দেশে আবেদন করতে হবে।
কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাবার পর আপনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট রাখবেন কিনা এটা আপনার নিজস্ব বিষয়। আইনগত কোন বাধ্যবাদকতা নেই।
৬. ধরুন আমি খৃষ্টান ধর্মালম্বি এক্ষেত্রে কি আমি কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পেতে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকব?
উত্তরঃ না।
পিআর প্রক্রিয়ার আবেদনের জন্য আপনার ধর্ম কি এটা জানতে চাওয়া হবে না।
তবে কিছু বাংলাদেশী মুসলিম থেকে অন্য ধর্মে রুপান্তরিত হয়ে ফলস কাগপ-পত্র তৈরি করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকে। একই কথা সমকামীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
৭. সর্বশেষ প্রশ্ন আমি কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পেতে কি করতে পারি?? দেশে বসে আবেদন করতে পারি?? যদি না পারি তবে কানাডায় কি কি শর্ত পুরন করলে তারা আমার আবেদন গ্রহন করবে??
অর্থাৎ
ক) কত দিন কানাডায় থাকতে হবে??
খ) কানাডিয়ান ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে হবে কি না?? হলে কত??
গ) কানাডার নাগরিক বিয়েতে কোন বাধা আছে কি না?? এবং বিয়ে করলে নাগরিকত্বে কোন হেল্প হবে কি না??
ঘ) শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন লাগবে??
উত্তরঃ প্রথম থেকে উত্তরগুলো পড়ে আসলে এর অনেকগুলো উত্তরই পেয়ে যাবার কথা। পিআরের আবেদন পৃথিবীর যেকোন দেশে বসেই করা যায়।
কিন্তু নাগরিকত্বের যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনাকে কানাডাতে থাকতে হবে কমপক্ষে ৩ বছর। পিআরের আবেদনের জন্য নূন্যতম ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হয়, যেটা নির্ভর করে পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর। বিস্তারিত আছে নীচের লিংকেঃ
Click This Link
বিয়ের মাধ্যমে কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ পাবেন না। তবে কানাডাতে থাকতে এবং কাজ করতে পারবেন।
যোগ্যতার জন্য পোষ্টের প্রথম লিংকটিতে বিস্তারিত আছে।
ভাই উপরে প্রশ্ন গুলোর যদি উত্তর দেন চির কৃতজ্ঞ থাকব। কোনদিন বিদেশ যাবার সুযোগ হবে না। শিক্ষাগত যোগ্যতাও সেরকম নয়। এজন্য কৌতুহল থেকে জানতে চাওয়া। কথায় আছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তি অন্যের খাওয়া দেখেও তৃপ্তি পায়।
সর্বশেষে আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে শেষ করলাম।
আপনার ব্যক্তিগত মেইলের উত্তর ব্লগে দিলাম...কারণ ধারণা করছি অনেকেরই এই বিষয়ে আগ্রহ আছে। জনবহুল এই দেশের যত জনসম্পদ রপ্তানি হয়...ততই এই দেশের মঙ্গল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।