আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

:: বাটপার প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্সের সীমাহীন দূর্নীতি ::

২০০৮ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স নামের বাটপার কোম্পানীটি। চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে ভুলিয়ে এরা তখন থেকেই ঠকিয়ে যাচ্ছে।
- প্রথমত এদের ওয়াইম্যাক্স মডেমটি খুবই নিম্ন মানের। এটি ১ঘন্টা ব্যবহারেই প্রচন্ড গরম হয়ে যায়। কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করে এর সমাধান চাইলে তারা বলল মডেমটি খুলে মিনিট পনেরো বাইরে রেখে দিতে।

অথবা ফ্রিজে ঠান্ডা করা্র জন্য কিছুক্ষন রাখতে। এখন একটি ওয়াইম্যাক্স কানেকশন ব্যবহার করতে হলে আমাকে যদি ১ঘন্টা পর পর পনেরো মিনিটের জন্য মডেম খুলে রাখতে হয় কিংবা ফ্রিজে রাখতে হয় তাহলে এর চেয়ে হাস্যকর ব্যাপার আরকি আছে??
- এরপর আসুন বাংলালায়নের কাস্টোমার কেয়ারে। এদের কাস্টোমার কেয়ার সার্ভিস আমার দেখা সবচেয়ে জঘন্য। কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে যারা বসেন তারা যেন কোন রাজবংশের লোক। অহংকারে মাটিতে যেন পা পরে না।

ভদ্রভাবে কথা বলাও তাদের শিখানো হয়নি পরিবার থেকে। কমপ্লেইন করতে গিয়ে উলটো অপদস্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়।
- খালি কলসি বাজে বেশি। তেমনি বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স ৪র্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবার কথা বলে তারা ২য় প্রজন্মের ইন্টারনেটের থেকেও খারাপ সেবা দেয়। ৫১২ কেবিপিএসের প্যাকেজ ১২৮ কেবিপিএস এর স্পিড দেয়।

গুগল লোডিং হতেও মাঝেমাঝে ৫-৬মিনিট লাগে।
- বাংলাবিলাইয়ের অনলাইনে অভিযোগ করার সিস্টেমটি জঘন্য। তাদের কমপ্লেইনের উত্তর পাওয়া যায় ২-৩দিন পরে।
- এদের বিলাই সার্ভার কয়েকদিন পরপর আপডেট করা হয়। এজন্য ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ থাকে।

বন্ধ থাকার আগে কোন নোটিশ দেয়না কিন্তু ঠিক হবার পর মেইল দেয় ''সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
- জুন মাসে বেশ কিছু এলাকায় এদের নেট কানেকশন প্রায় ৬-৭ দিন বন্ধ থাকে সেই পুরান ক্যাচাল সার্ভার আপডেটের কারনে। তখন সব ইউজারদের এই দুর্ভোগের জন্য বোনাস দেওয়া হবে বলা হয়। কিন্তু আজও সেই বোনাস কেউ পায়নি।


সবাই এই বাটপার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। উন্নত সেবা দেওয়ার নামে দেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে এরা। আজই সবাই বাংলাবিলাই ব্যবহার বন্ধ করে দিন। ওয়াইম্যাক্স নিয়ে যদি পাড়ার সস্তা ব্রডব্যান্ডের মত স্পিড পাওয়া যায় তাহলে কেন এত টাকা খরচ করে বাংলাবিলাইয়ের ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করবেন??

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।