ঘুম থেকে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে গুনছে প্রহর......
গত বছর এই সময় আমি তাজিংডং এর চূড়ায়। আমি, আসিফ আর তানজিল ভাই। ২ দিন আগে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। ঢাকা থেকে আমরা ৭ জন এসেছিলাম। রুমা পর্যন্ত আসতে আসতে ৫ জন বেঁকে বসলো - কেও সাহস পাচ্ছে না, কেও কষ্ট সহ্য করতে পারছে না, আবার গাইডও নিরুৎসাহিত করছে - পাহাড়ি শীত সহ্য করতে পারবনা, রাতে থাকার জায়গা নাও পাওয়া যেতে পারে - যেহেতু আমরা বড় দিনের সময় যাচ্ছি - পাহাড়িদের আত্নি্য়রা আসবে বড়দিন পালন করতে, খাবার নাও পাওয়া যেতে পারে।
আমি আর আসিফ সিদ্ধান্তে অটল - আমরা যাবই - যত কষ্ট হোক। শেষে তানযিল ভাইও রাজি হল।
যাই হোক, আমরা হাঁটা শুরু করেছিলাম বগা লেক থেকে। টানা ৮ ঘন্টা হেটে কেওকারাডং এর উপর দিয়ে থাইক্কেন পাড়া। রাতটা ওখানে কাটিয়ে ছিলাম।
পাহাড়ি শীত যে কি প্রচন্ড হতে পারে - আমাদের কল্পনাতেও ছিলনা। আর আল্লাহ্র অষেষ মেহেরবানিতে আমরা যে গাইড পেয়েছিলাম - তিনি না থাকলে আমরা না খেয়ে মারা যেতাম। সফুল বরুয়া। টানা হাটার পর আমরা তো সটাং হয়ে শুয়ে পরতাম। আর সফুল বরুয়া ব্যস্ত হতো আমাদের খাবার জোগারে, রান্নায়।
এরপর দিন আবার টানা হাটা। সন্ধ্যার পর পৌছালাম বলিপাড়া।
এরপর দিন ঘন্টা ৩ হাটার পর পৌছালাম তাজিংডং। তাজিংডং এর চূড়া থেকে চারিপাশের দৃশ্য দেখে আমরা অভিভূত হয়েছিলাম।
এরপর ফিরে আসার পথটা ছিল এরকম - টানা আধা ঘন্টা পাহাড়ে ওঠা আবার টানা আধা ঘন্টা নিচে নামা।
সন্ধ্যার অনেক পড়ে আমরা থানচি পৌছেছিলাম।
এরপর দিন ঢাকার পথে।
বিয়ে করার বদৌলতে আর কর্ম জীবনে ব্যস্ততার কারনে বান্দরবান এ এডভেন্চারে যাওয়ার সৌভাগ্য এখন আর হয়না। কিন্তু সারি সারি পাহাড়, ঘন সবুজ গাছ, স্বচ্ছ নীল আকাশ, সহজ-সরল আদিবাসি এখনো আমায় নেশাগ্রস্ত করে।
বগালেক - আমাদের যাত্রা শুরুর পূ্র্ব মুহূর্ত
চিংরি ঝর্না - আমরা ৩ জন আর আমাদের গাইড।
কেওকারাডং থেকে।
থাইক্কেন পাড়া - প্রথম রাতটা এখানে কাটিয়েছিলাম।
বলিপাড়ায় ঢোকার আগে তোলা।
তাজিংডং - এর চূড়া থেকে তোলা ছবি।
শেখরপাড়া - ফেরার পথে পানি সংগ্রহ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।