আদিম যুগে মানুষ পাথর ঘষে প্রথম আগুন আবিস্কার করেছিল । তারপর থেকে সমাজ-সভ্যতা উন্নতির পথে যাত্রা করেছিলো । এ সম্ভব হয়েছিল আগুনের পজেটিভ ব্যবহারের কারণে । আমি আকিক পাথরের মাধ্যমে সমাজকে নতুন ভাবে আগুন জ্বালানো শিখাতে চাই। যে ধুয়া বিহীন আগুনের আলোতে সমাজ আলেক
সনাতন ধর্মের এক বন্ধুর সাথে সন্ধার পর হাটঁতে ছিলাম ।
এক সময় আমরা এক মন্দিরের কাছে উপস্হিত হলাম । সেখানে খুব সুন্দর বয়ান করছিলেন একজন ধর্মবেত্তা স্বামীজি । আমার কাছে খুব ভালো লাগলো তার কথাগুলো । প্রায় ১ ঘন্টা দাড়িঁয়ে থেকে শুনলাম ওমঁ ওমঁ ওমঁ শান্তির কথা । এইখানে কেনো তিনবার বলা হয়েছে ওমঁ ওমঁ ওমঁ এর কথা ।
শান্তিময় সে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিলো শ্রী শ্রী প্রণব ঠাকুরের ১১৫ তম জন্ম বার্ষীকি ও তার কর্মময় জীবন। ঈশ্বর থেকে আত্না কীভাবে আসে আবার কীভাবে ভালো কাজের মাধ্যমে প্রভূর সাথে মিলন হয় । গীতার ১৮ টি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা । ত্রিশূলের তিন শূলের বর্ণনা । সব মিলিয়ে ভালই লাগছিলো ।
মানুষ খুব মনযোগ দিয়ে শুনছিলো । কিন্তু গুরুজিকে বারবার পেছন থেকে কানে কানে বলা হচ্ছে কথা সংক্ষিপ্ত করার জন্য । কেনো ?তার নির্ধারিত সময় শেষ । তাহলে অন্যজন হয়তো বলবেন । না তা আর হলো না ।
এখন ভজন সঙ্গীতের অনুষ্টান হবে । সাজুগুজু করে বিভিন্ন বয়সের মেয়ারা এসেছে । আমার সনাতন বন্ধু বললো চল এখানে আর থাকা যাবা না। নাচ গান শুরু হবে ।
তো কী হয়েছে কিছুক্ষণ দেখী না কী করে ।
নারে বন্ধু এটা আমাদের দেখার মতো বিষয় না । বন্ধু আমাকে কোনোরকম জোর করেই নিয়ে আসলো । হাটঁতে হাটঁতে এগুচ্ছি । মাইকে ইসলাম ধর্মের সভার সুর ভেসে আসছে । বন্ধু আমাকে নিয়ে চললো মাইকের আওয়াজের দিকে ।
'এতক্ষণ আমাদের ধর্মের কথা শুনেছি এবার তোদের ধর্মের কথা শুনবো । '
আমরা মাইকের কাছে তথা সভার কাছাকছি আসার সময় বক্তা পরিবর্তন হয়ে মাইকে আসছেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী সাহেব। সুমধুর কন্ঠের বয়ান শুনলাম প্রায় ২ ঘন্টা আমার বন্ধু আসতে চাচ্ছে না । দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বয়ান শুনে তারপর আসলাম। এখানে শুনলাম রুহ জগৎ থেকে কীভাবে আত্না মানব দেহে আসে তার বর্ননা ।
বন্ধু বললো ' দেখ বন্ধু দুই ধর্মের কিছু কথা মনে হয় আমার কাছে মিলে যাচ্ছে । 'সবাই ভালো ভালো কথা বলে । তাহলে বিশ্বে এতো মারামারি কেনো । সব ধর্মেই তো দেখছি ভালো কথা বলা হয় । মানা হয় না কেনো ????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।