আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিআইবি-কে ধন্যবাদ এবং …



প্রথমেই সাধুবাদ জানাই টিআইবি-কে একটি সাহসী এবং সময়োপযোগী জরিপ পরিচালনা এবং প্রকাশ করবার জন্য। সংগত কারণেই জরিপটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে আইন ও বিচার বিভাগকে সবচাইতে দূর্ণীতিপরায়ন – এই তথ্যটি সব মহলকেই বেশ নাড়া দিয়েছে। একজন আইনজীবি হিসেবে তাই আঠারো পাতার এই রিপোর্টটি পাঠ করলাম। কোনো সন্দেহ নেই – অত্যন্ত যত্নের সাথে যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে।

তবুও দুই-একটি বেশী আরো যত্নবান হবার অবকাশ ছিলো। আমি দৃষ্টি-আকর্ষণ করতে চাই প্রকাশিত রিপোর্টের চতুর্থ পৃষ্ঠার ‘বিভিন্ন আদালতে মামলার অবস্থান ও মামলার ধরণ’ অংশের দিকে। প্রথমত:, জমি বা সম্পত্তি বিষয়ক মামলার ক্ষেত্রে যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের মামলার সাক্ষাৎকারকালীন এবং বর্তমান অবস্থান কি – সেই বিষয়টি পরিস্কার করা উচিত ছিলো। এর কারন বাংলাদেশে কোনো সেবাগ্রহীতা তার মামলার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে না থাকলে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন, যার মধ্যে আদালত পাড়ার দূর্ণীতি অন্যতম। স্বাভাবিকভাবেই এটা ধরে নেয়া যায় যে, স্বাক্ষাৎকার প্রদানকারী সেবাগ্রহীতাদের একটি অন্যতম অংশ তাদের মামলা নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন না বা নিম্ন আদালতে রায় তাদের পক্ষে যায়নি।

এর কারণ, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই, প্রমানের অভাব না দূর্ণীতি সেই বিষয়েও আরো যত্নবান হবার অবকাশ ছিলো। দ্বিতীয়ত: ফৌজদারী মামলা তথা মারামারি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রভৃতি সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে কয়জন সেবাগ্রহীতা অভিযুক্ত এবং কয়জন সেবাগ্রহীতা নির্যাতিত বা ভিকটিম সেই বিষয়টিও পরিস্কার করা হয় নি। এই তথ্যগুলো টিআইবি-র কাছে থাকলে, আমার অনুরোধ থাকবে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে দূর্ণীতিমুক্ত করার স্বার্থে, তা অচিরেই প্রকাশ করা হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।