হিংস্র কিছু শকুন আজ খামছে ধরেছে মানবতার পতাকা...জেগে উঠার এইতো সময়...
কদিন ধরেই ভাবছিলাম যে করেই হোক রাত ১২টায় বিছানায় যাবো এবং সকাল ৭টার মাঝে উঠব। চেস্টা করেও পারছিনা।
ঘুম আসতে চায়না ইদানিং। অথচ শীতের রাত আমার খুব প্রিয় সময়গুলোর মাঝে একটি। কারণ খুব মজা করে ঘুমানো যায় এ সময়ে।
লম্বা একটা ঘুম দিয়ে সকালে জেগে উঠা। তারপর মায়ের হাতের নাস্তা-গরম গরম পিঠা। খুব মিস করি সময়গুলোকে। আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের অতীতে ফিরে যেতে পারিনা। ইচ্ছা করলেই হারিয়ে ফেলা সময়গুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারিনা।
মাঝে মাঝে মনে হয় ...আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হচ্ছে আমাদের অতীতকাল। আমাদের পিছনের সময়গুলো।
হোক না সে খারাপ। যা শিখিয়ে দিয়ে গেছে তাই বা কম কিসে? ভবিষ্যতে চলার পথের পাথেয়ই তো সেগুলো। অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা সামনে চলার সাহস পাই।
ইদানিং আমার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত কোনকিছু নিয়েই ভাবতে ভাললাগেনা। কেমন যেন উদাস উদাস লাগে। সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবতেই ভয় লাগে মনে।
রাত ১২টার দিকে মুভি দেখতে বসলাম। ২টায় শেষ হল।
খিদা লেগে গেল অনেক। চলে গেলাম টাউন হলে। গরম গরম ভুরিভাজা সেই সাথে তেল চুকচুক পরোটা। উপাদেয় খাদ্য মনে হল। আসার পথে দেখলাম কত লোক রাস্তায় ঘুমিয়ে আছে।
এই শীতের রাতে অনেকের গায়েই সামান্য লুঙ্গিটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। কেন যেন মনে কোন কস্ট এনে দিলনা ব্যাপারটা। অবাক লাগল। অমানুষ হয়ে যাচ্ছি নাকি দিনদিন? মানুষের কস্ট আর আমাকে স্পর্শ করছে না। কি একটা পরিবর্তন আমার মাঝে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে কি অনুভূতিগুলো লোপ পায়? নাকি আমিই আর সত্যিকার অর্থে মানুষ নেই? এমন কেন হয়?
বাসায় ঢুকার সময় দেখলাম দারোয়ানটা দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। অনেক হাসি পেল। আরে বেটা ঘোড়া নাকি তুই? কষে একটা ধমক দিতে ইচ্ছা হল। কি মনে করে হাসলাম। কেমন যেন একটা অপরাধবোধের হাসি।
কি অদ্ভুত আমাদের সমাজের নিয়মনীতি। আমরা ঘুমাবো অথচ এই শীতের রাতে না ঘুমিয়ে একজন আমাদের পাহারা দেবে? কি শক্তিশালী আমরা। কি নির্মম। একজনের জেগে থাকার বিনিময়ে আমরা ঘুমাচ্ছি। আবার ব্লগে,সেমিনারে,সিম্পোজিয়ামে মানবাধিকারের বুলি ছুটাচ্ছি।
সেলুকাস। বড়ই বিচিত্র আমরা।
কেন যেন খুব খারাপ লাগছে। একটু আগে দারোয়ানটাকে আমার ঘরে এনে বিছানা পেতে ঘুমাতে দিলাম। জেগে আছি আমি।
ঘুম পাচ্ছেনা।
কেন এই বৈষম্য?
প্রত্যেকেই কি তার প্রাপ্য অধিকার পেতে পারেনা?
এই অধিকার বঞ্চিতদের জন্য কি আমাদের কিছুই করার নেই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।