যতটুকু আছে সব উজার করে দেব...............
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, কেমন আছেন ? আমি ভালো আছি।
আমি অনেক দিন থেকে চিন্তা করতেছি যে, আমার একমাত্র স্যুইট ডটার নব'র সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব। ওর পুরা নাম ''নোশিন ইসলাম নব'' বর্তমানে ও ক্লাশ থ্রীতে ওঠার অপেক্ষায়। ও লেখা পড়ায় বরাবরই ভালো। দুষ্টামীতেও মাশাআল্লাহ।
শিল্প সংস্কৃতিতেও মোটামুটি বিচরণ আছে। জেলা শিশু একাডেমীতে নাচ ও গান শিখে, একটি প্রাইভেট আর্ট স্কুলে আর্ট শিখে। প্রায়ই বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে। দু'একটা ছোট-খাটো পুরস্কারও পায়।
নব আমাকে খুবই ভালোবাসে।
কিন্তু ও এখন আমাকে খুব মিস করছে। কারন আমি বর্তমানে দেশের বাইরে। আমি দেশে থাকা কালীন আমিই ওকে স্কুলে নিয়ে যেতাম, নাচ গানের স্কুলে, আর্ট স্কুলে আমর সাথেই যেত। এখনতো ও ওর মার সাথে যায়। একটু কষ্ট হয়, কখনো হেটে আবার কখনো বা রিক্সায়।
আমার সাথেতো মটর সাইকেলে যেত।
আমি ফোন করলেই বলে, পাপা তুমি চলে এসো। কিন্তু তাই কি হয় ? আমি যখন মাঝে মাঝে ওর জন্য খেলনা ইত্যাদি পাঠাই, তখন যে ওর কি খুশী। তখন কিছুদিন আমাকে মিস করার কষ্ট ভূলে থাকতে পারে।
বন্ধুরা, কথা আর দীর্ঘ করতে চাইনা।
আপনারা আমার নব'র জন্য দোয়া করবেন।
তাহলে দেখুন আমার নব'র জন্ম থেকে আজ অবধি কিছু ছবি। ছবিগুলোয় কিছু ক্যাপশন যুক্ত করেছি, যাতে করে ব্লগটা একটু পরিপূর্ণতা পায়। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, ছবিগুলো একটু ধৈর্য্য সহকারে দেখবেন।
____________________________________________
এইটা আমার ১০ দিন বয়সের ছবি।
ছবিটা আমার এক আংকেল তুলেছিল।
আমি পানি খুব ভালোবাসি। আমাদের পুরোনো বাসার ছাদে বসে গোছল করছি। তখন আমার সাত মাস বয়স।
গোসল করার আগে পাপা আমার সাথে দুষ্টামি করছে।
এই পেঙ্গুইনটা পাপা আমাকে কিনে দিয়েছিল।
বলোতো আমি কি ধরে দাড়িয়েছি ?
পারলেনাতো, আমি আমাদের ছাদে রড ধরে দাড়িয়েছি।
এইটা কোথায় জানো ? এইটা আমাদের চিলেকোঠার চাল।
মাম্মি, আমাকে কিছু বলছো ?
এখানে আমি কি লুকিয়েছি, তা বলবোনা।
কি মজা, কি মজা।
আমরা বিকালে ঘুড়তে যাব।
দেখছো, আমি থ্রীপিস পরে বসে আছি। আমাকে সুন্দর লাগছেনা ?
খুব ক্ষুধা লাগছে, এইটা খাওয়া যায় কিনা দেখিতো।
বলতে পারো আমি কোথায় বসে আছি ? আমার পাপার গাড়ির ছাদে।
এই ছবিটা কোথায় বলতে পারো ? এটা হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেতু।
''গাবখান সেতু''
হামাগুরি দিতে কি মজা, তাইনা ?
এইটা আমার প্রথম জন্মদিনের ছবি। সুন্দর লাগছেনা ?
মাম্মি, ভিসিডি সেটটা চালাতে পারছিনাতো, একটু দেখিয়ে দাওনা।
পাপা আর মাম্মিকে তো দেখি এইটা দিয়েই দরজা লাগায়।
কি, আমাকে মাষ্টার মাষ্টার লাগছেনা ? মাম্মি না, জন্মদিনের পর আমার চুল কেটে দিয়েছে।
এইটা আমাদের পুরোনো বাসার ব্যালকনি।
আমরা কি এখন কোথাও যাব ?
তোমাদের কারো ফুল লাগবে, ফুল।
গুডু গুডু..................................................
আমি ১ বছর ৫ মাস বয়সে পেয়ারা বাগান যাই। চান্স পেতেই গাছে উঠে পড়েছি।
প্রথম সাগড় দেখার আনন্দ। তখন আমার ২ বছর ১ মাস বয়স।
সাগড় পাড়ে এসে একটুও দুষ্টামি না করে কি থাকা যায় ?
দেখি, যদি একটা হাতে তুলতে পারি, তাহলে হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাব।
এই হোটেলটায় আমরা ২ রাত ছিলাম।
আমি ২০০৭ সালে যখন পেয়ারা বাগান গিয়েছিলাম ........
কি আমাকে মডেল মডেল লাগছেতো ?
চারিদিকে ধুধু বালুচর.....................
এভাবে কি ভাবা যায় ?
জিনিষটা কোথায় গেল, খুজেই পাচ্ছিনা।
২০০৭ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী জেলা শিশু একাডেমী থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করি।
২০০৭ সালে আমার আকা শহীদ মিনার।
যেমন খুশী তেমন সাজো প্রোগ্রামে। এটায় আমি প্রথম হয়েছিলাম।
শিশু একাডেমীর নাচের অনুষ্ঠানের আগে তোলা ছবি।
র্যালীতে যোগ দেয়ার আগের ছবি।
আমাকে কেমন লাগছে বলোতো ?
আমার দাত গুলো খুব সুন্দর না ?
আমিই মিঃ মাসুদ রানা।
কোনো সন্দেহ আছে ?
আমি একা একা কিন্তু হেজাব পরতেও পারি।
দেখছো, কত্ত বড় বাবল বানিয়েছি।
হাসতে হাসতে আমি একেবারে.......................
আমি কতোটা ইনোসেন্ট.........................................
এখনো আমাকে এ্যাড ফার্ম গুলো মডেল হিসেবে ডাকেনা ক্যান ?
কতো সুন্দর পোজ দিলাম।
২০০৯ সালে ঝালকাঠী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বর্ষ পূর্তী উৎসবে আমি গান গাইছি।
ঝালকাঠী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বর্ষ পূর্তী উৎসব।
২০০৯ সালে আমার আকা নদী ও প্রকৃতির ছবি।
এ বছর মে মাসে একটি গ্রাম্য গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে।
কুয়াকাটার ছবি।
এই নভেম্বরে কুয়াকাটা গেছিলাম।
____________________________________________
আমার আরো অ-নে-ক ছবি আছে।
যদি সবগুলো দিতাম, তাহলে আপনাদের দেখার ধৈর্য্য থাকতোনা।
কষ্ট করে আমার ছবিগুলো দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।