স্নাতক পাশের রেজল্ট বের হওয়ার সাথেই চাকুরীর প্রয়োজনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম মাঝ পথে বোনের বাসায় খবর পৌছানোর জন্য ওদের বাসায় গেল, সাথে সাথে দেখা হল একান্ত পরিচিত এক জনের সাথে। যার কথাই অনেক দিন ধরে মনে মনে ভাবছে আবীর।সন্ধ্যার সাথে সাথে লঞ্চে উঠে পড়ল। চাকুরীর পরীক্ষা শেষে তিন দিন পর আবার বাসায় গেল, বাসায় গিয়ে সেযুতিকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করতে লাগল: অবশেষে এক চুক্তির মাধ্যমে রাজি হল যে, তাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে হবে। কথায় সায় দিয়ে আবীর রিক্সা করে বাসা থেকে বেড় হল। আবীরের মনে হয় রিক্সা চাকাগুলো আজ যেন অন্য রকম এক ভঙ্গিতে ঘুরছে, অনেক দিনের চাওয়াটা যেন আজ পাওয়ায় পরিনত হয়েছে। রিক্সাটা পশ্চিম দিকে চলছে আর মেষ বিকেলের পশ্চিমের সূর্যের আভাটা সেযুতিকে আলতো ভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে আবীরও ছুঁয়ে যেতে চাচ্ছে কিন্ত পারছেনা, কেন তার এত দিনের স্বপ্নকে কাছে পেয়েও নিজের বাম পাশে বসিয়ে যে অধিকারটা কেবল একজনকেই দেয়া যায় তবুও আজ কেন তাকে ছুঁতে পারছে না, কেন এত বাধা? কিসের এত বাধা? তবে এত দিন পরে কেন কাছে বসালো এসব ভাবে আর একা একা বিড় বিড় করছে এমন সময় সেযুতি একটা ধাক্কা দিয়ে বল্ল কি খবর রিক্সা থেকে নামবেনা? অমনি আচমকা তন্দ্রা কেটে গেল আবীরের। সেযুতি প্রশ্ন করল কি দাদা এতক্ষন কোথায় ছিলেন................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।