আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাসের পাতায় পাবনা



ইতিহাসের বিভিন্ন নিদর্শনের সাক্ষী পাবনা । প্রাচীন কালে পাবনা ছিল গৌড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত । আর জেলা হিসেবে প্রকাশ পায় ১৮২৮ সালে । প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন সাম্রাজ্য আর জমিদারীর পরশ পেয়ে এখানে গড়ে ওঠে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন । বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে মসজিদ, মন্দির, জমিদারবাড়ি সহ বেশ কিছু স্থাপনা ।

১.... এটার নাম সমাজ শাহী মসজিদ । সমাজ নামের গ্রামটির অবস্থান ছিল চলনবিলের ধারে । কোন এক নবাবের ভাই এখানে এসে বসতি গাড়েন আর পরগনায় পরিণত করে এখানে রাজধানী করেন । ঐতিহাসিক এ স্থানে ১৫৫২ খ্রি: সুলতান শেরশাহ শুরের ছেলে সমিরের সময়ে মসজিদটি নির্মিত হয় । ২... এটা পাবনা সদরের দিলালপুর চৌধুরীবাড়ি মসজিদের গায়ে স্ট্যাকো অলঙ্করণ ।

উনবিংশ শতকের মাঝামাঝিতে আজিমউদ্দিন চৌধুরী মসজিদটি নির্মাণ করেন । ৩... পাবনার অন্যতম এক আকর্ষণ এটি । জোড়বাংলা মন্দির । মুর্শিদাবাদের নবাবের এক তহশীলদার ব্রজমোহন ক্রোড়ী আঠার শতকের মধ্যভাগে এ মন্দিরটি নির্মাণ করেন । মন্দিরটি বাহির থেকে দেখতে দুইটি জোড়া লাগানো দোচালা কুঁড়েঘরের মতন ।

মন্দিরের প্রবেশদ্বার : প্রবেশ-দ্বারের স্থাপত্য-কর্ম : ৪... সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দের জমিদার বাড়ি । উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন এ জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা । জমিদার বাড়িটি ছিল প্রায় পঁচিশ বিঘা জমির উপর । তাতিবন্দ ছিল পাবনার অন্যতম একটি সমৃদ্ধ জনপদ । ৫... দুলাই চৌধুরী জমিদার বাড়ির প্রবেশ পথ ।

উনিশ শতকের প্রথম দিকে এ জমিদার বাড়ির গোড়া পত্তন হয় । বাড়িটি চারদিকে পরিখা বেষ্টিত । ৬... এটা শীতলাই জমিদারদের কর্তৃক পাবনা শহরে নির্মিত শীতলাই হাউজ । ৭... নীলকুঠি। এটা উনিশ শতকে পাবনা সদরে নির্মিত ।

৮... পয়দা জমিদার বাড়ি ও দোলমঞ্চ মন্দির : ৯... তাড়াশ জমিদার ভবনের অলঙ্কৃত ক্যাপিটাল : পাবনা শহরের সবচেয়ে নামকরা জমিদার পরিবার এটি । বনমালী রায়বাহাদুরের এই বিল্ডিংটি এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে । ১০... পাবনা জুবিলি ট্যাংক । ইংরেজ শাসনামলে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালের সিলভার জুবিলি স্মরণে ১৮৮৭ সালে এ ট্যাংকটি খনন করা হয় । ১১... পাবনার অন্যতম বড় আকর্ষণ এই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ।

শুরুতে এর নাম ছিল সাড়া ব্রীজ । পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত এই রেইল-ব্রীজটি ১৯১৫ সালে ভাইসরয় লর্ড ব্যারন হার্ডিঞ্জ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন । এছাড়াও পাবনার আনাচে কানাচে রয়েছে আরো অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা যেগুলো অযত্নে অবহেলায় বিলুপ্ত-প্রায় । সরকার ও জনগণের সুনজরের অভাবে দিনে দিনে আমাদের মাঝ থেকে এ সব নিদর্শন হারিয়ে যাচ্ছে । ---------------------------------------------------------------------------------



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।