আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

• বিএসএফ প্রতি চারদিনে একজন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করছে • গত এক দশকে বিএসএফ নয় শতাধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে । হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অধিকার এর প্রতিবেদন:

দেখা হবে বন্ধু কারণে অকারণে.........

গত এক দশকে বিএসএফ নয় শতাধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। ভারতের বিএসএফ প্রতি চারদিনে একজন বাংলাদেশীকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করছে। অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যৌথ প্রকাশনা ‘ট্রিগার হ্যাপি : এক্সিসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস দ্য বাংলাদেশ বর্ডার’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এখানে বলাহয় ইসরা-ইলের গাজা সীমান্তের চেয়ে ভয়ঙ্কর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। গাজায় যুদ্ধের সময়ও জনসাধারণকে এভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় না।

অথচ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থাকা বাসিন্দাদের বিএসএফ নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন বিশ্বাস চলতি বছরের মার্চে বিএসএফের গুলিতে সন্দেহভাজন গরু পাচারকারী হিসেবে তার ভাতিজা হত্যার বিষয়টি এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘আমি লাশ দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে পড়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও রাজনীতিবিদ জড়ো হয়েছিলেন। সে যখন চিত্ হয়ে শুয়েছিল, তখন বিএসএফ তাকে গুলি করে।

তারা তার কপালে গুলি করেছিল এবং বুলেট মাথা ভেদ করে মাটির কয়েক ইঞ্চি গভীরে ঢুকে পড়েছিল। সে যদি দৌড়াত, তবে গুলি লাগত তার পিঠে। তারা (বিএসএফ) স্রেফ তাকে হত্যা করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকারগুলো ব্যক্তিত্বহীন, কাপুরুষ, অথর্ব ও ভাবলেশহীন। বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে, গরু-মহিষ ও মাছ নিয়ে যাচ্ছে, অথচ সরকার এসব ব্যাপারে নির্বিকার।

তার ওপর এখন বলা হচ্ছে, আমাদের নাকি ট্রানজিট দেয়ার জন্যই জন্ম হয়েছে। এটা দিয়েও কি সীমান্তে মানবাধিকার রক্ষা করা গেছে। অনুসন্ধানকারীদের কাছে অধিবাসীরা অভিযোগ করেছেন, বিএসএফ প্রায়ই তাদের ভীতি প্রদর্শন, গালিগালাজ ও মানবেতরভাবে প্রহার করে থাকে। সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর কাজ হলো, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা। কিন্তু তারা স্থানীয় অধিবাসীদের যেভাবে হত্যা ও নির্যাতন করেছে, তাতে মনে হয় তারা যেন যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে।

গত সোমবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপ-পরিচালক (এশিয়া) ফিল রবার্টসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, অধিকারের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান, নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি শায়লা প্রমুখ। ‘ট্রিগার হ্যাপি : এক্সেসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস ইন দ্য বাংলাদেশ বর্ডার’ নামের ৮১ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নির্বিচারে বলপ্রয়োগ, নির্যাতন, আটক করা ও হত্যাসহ অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছে অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।