বউটুবান
হে চিকনা রমণী!
বলির পাঁঠার মত দাঁড়ালে
বিয়ের পিড়িতে
তারপর হল সেই মোলাকাত
তারপর ভেজালে নতুন শাড়ী
তারপর?
তারপর হপ্তাখানেক নির্জীব পড়ে থাকার
কথা বিষাক্ত শরীরে ওলটপালট বিছানায়।
অথচ কি দিব্যি তুমি অফিসে এলে খড়মের
টকটক শব্দ সমেত।
তুমি এতটা পার কী করে, হে চিকনা রমণী?
যৌবনের প্রবল প্রমত্তায়
তোমার শাড়ী উড়েনি হাওয়ায়?
কলের লাঙ্গলের মত চষে বেড়ায়নি
ক্ষুধার্ত যৌবন? প্রমত্তা ঝড়ের তান্ডবে
লন্ডভন্ড হয়নি তোমার চিকনা শরীর?
লেপ তোষক আর বালিশের তুলো গুলো
উর্দ্ধশ্বাসে করেনি ছুটোছুটি?
অবাক তাকিয়ে রই
সেই তুমি কীভাবে হাঁটলে
কীভাবে খড়মের চটাচট শব্দে
সবাইকে জানান দিলে
আমি এইমাত্র এসেছি
একটা উন্মত্ত ষাড়ের কবল
থেকে!
কী অসম্ভব ধৈর্য তোমার
কী অসম্ভব অভিজ্ঞতায়
সামাল দিলে সব। তুমি এলে
সব কিছু ঠিকঠাক, গোছগাছ
ছিমছাম করে।
এতটা ধকল সইলে কী করে
হে নববিবাহিতা চিকনা রমণী!
তোমাকে নমস্কার!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।