আমি আশা করবো..”তুমি আমাকে বুঝবে
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি জাহান মণির ২৬ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তির জন্য ৬৩ কোটি টাকা (৯০ লাখ মার্কিন ডলার) মুক্তিপণ দাবি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এখন মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে জলদস্যু ও চট্টগ্রামের জাহাজমালিকের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জাহাজ মালিক।
এ প্রসঙ্গে জাহাজ মালিক ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, জলদস্যুরা আলোচনার মাধ্যমে অনেক সময় কম মুক্তিপণেও জাহাজ ও নাবিকদের ছেড়ে দিতে রাজি হয়।
কী পরিমাণ মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
সোমালিয়ার জলদস্যুরা নিজেদের মুঠোফোন থেকে জাহাজের নাবিকদের তাঁদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং মুক্তিপণের টাকা যেন দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। জাহাজে অবস্থানরত নাবিকরা তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে জানিয়েছেন, জলদস্যুরা ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৬৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাচ্ছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর স্ত্রী মুঠোফোনে জাহাজমালিকের সঙ্গে গতকাল রোববার এবং আজ সোমবার কয়েক দফা কথা বলে জলদস্যুদের ওই দাবির কথা তুলে ধরেন।
নাবিকদের স্বজন ও অন্যান্য সূত্র জানায়, জলদস্যুরা নাবিকদের সঙ্গে তেমন খারাপ আচরণ না করলেও ২৭ জনকে জাহাজের একটি কক্ষে আটকে রেখে সশস্ত্র পাহারা বসিয়েছে।
সবাইকে অল্প অল্প শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
ওই জাহাজে আর মাত্র পাঁচ দিনের খাদ্য ও জ্বালানি আছে বলে আটক নাবিকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য এবং জ্বালানি শেষ হলে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া কঠিন হবে বলে নাবিকদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। নাবিকরা টেলিফোন করে এসব কথা তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে জানাচ্ছেন।
ময়মনসিংহের উর্মিলা শারমিন জাহাজে আটক তাঁর স্বামী জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আবুল বাশার তাঁর স্ত্রীকে পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তিপণের ৯০ লাখ মার্কিন ডলার জলদস্যুদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে জাহাজমালিক ও সরকারকে জানাতে বলেছেন।
উর্মিলা শরমিন বলেন, ‘নয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ জলদস্যুদের দিতে হবে বলে আমার স্বামী জানিয়েছেন। দ্রুত টাকা না দিলে বিপদ হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখছি জলদস্যুরা ১৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চেয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। ’
গত ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরের ভারতীয় উপকূল থেকে জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়।
গতকাল রোববার জাহাজের ক্যাপ্টেনকে জাহাজমালিকের সঙ্গে দুই দফায় কথা বলার সুযোগ করে দেয়। এরপর থেকে জলদস্যুরা নাবিকদের তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দ্রুত পৌঁছে দিতে চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।