টক-শোতে যে সব রাজনীতিবিদ গলা ফাটায় , নিজেদেরকে মক্কার খেজুর বলে দাবি করে তাদের মুখোশের আড়ালের ভয়াল রূপ টুপ করেই সামনে এসে পড়েছে সাংসদ গোলাম মাওলা রনির কল্যাণে। টক-শোতে তার কাটা কাটা বচন শুনে অনেকে বলত “নাহ্ এইটা ভবিষ্যতে কল্যাণের জোয়ারে ভাসায় দিবে দেশকে”। কিন্তু তালাশের উপস্থাপক ও ক্যামেরা ম্যানকে রড দিয়ে পিটিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে তিনি এখন পুরোদোস্তর হিরো। তার সাংবাদিক পেটানোর দৃশ্য দেখে কেউ বলবেনা যে তিনি সাংসদ। সেই সাথে তার গালি অমৃতও তো রয়েছে।
এ থেকেই বুঝা যায় বর্তমান আমলে সাংবাদিকেরা কতটুকু স্বাধীন। ঘটনা প্রকাশের পরও তার অবলীলায় অস্বীকার রাজনীতিকদের লজ্জাহীন মিথ্যাচারকে তুলে ধরে।
আমাদের রনি “ভাইয়া” নিজ এলাকায় ভাইয়া নামে সম্বোধিত হন। তার নাম কে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি নিজ নামে মাস্তান বাহিনী গড়ে তুলেছেন। গলাচিপার আওয়ামী লীগ পরিষদকেও “ভাইয়া বাহিনী”-র মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তার এলাকায় নদী ভরাট করা, চাঁদাবাজি, মাস্তানী, ভূমি হতে উচ্ছেদ, ভূমি দখল ইত্যাদি সব রকমের পাইকারী-খুচরা অপকর্ম করতে তাদের কাছ তেকে মাসোহারার বিনিময়ে পেটেন্ট করলেই চলে। তার অনলাইন পত্রিকায় তিনি দাবি করেন তাকে অভাবের মধ্যে থাকতে হয় যদিও তার ৫টা বা তদোর্ধ বাড়ি রয়েছে।
তিনি ফরিদপুরে জন্মেছেন এবং গত নির্বাচনের প্লাবনে তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপায় জয়ী হন।
তিনি নাকি সব সময় জামাতের রগ কাটা বাহিনীর ভয়ে থাকেন , তবে আমি এখন থেকে তার “ভাইয়া বাহিনী”-র ভয়ে থাকব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।