পার হয়ে যাই তালুকদারের বাড়ি
না-পাওয়ার কুলফল গাছে গাছে টোপা হোক—
তবু তুমি আজ যেও কসবার মোড়ে ।
বাসি মুখে বসে আছো বারান্দায়, কতদিন ঘুমিয়েছ একটানা? ভাবো,
হাজার বছর বসে থাকলেও দিগন্তের দোয়েল পাখিটি
তোমার উদাস-কথা ভিনগাঁয়ে গাইবে কি-না ।
অযথাই শুধু আখ্যানের টাঙাগাড়ি থেমে যাবে ধু-ধু কোনো নির্জন প্রান্তরে ।
তারচেয়ে ওঠো: ক্যামেরার ক্লিক ।
পুরনো ছবির মতো মুখখানি টিপকলে ধুয়ে
রঙ-চা খাও মোড়ের দোকানে ।
গতকাল ছিলো ইয়ারিং দুলিয়ে পা-ফেলা ভ্রমণের দিন । আখ্যানের
নিভৃত শহরে আছড়ে পড়ছিল ঢেউ, কলরব । অথচ তখন তুমি
স্থির বসেছিলে আয়নার সামনে; দৃষ্টিতে আরোগ্যহীন দূরের ছায়া, ভেতরে খোলা ব্যথার দখিনা ।
আয়না কি গল্প জানে?
তোমার পায়ের নিচে শুধু পুড়ছিল বিবর্ণ ঘাসের পাতা ।
পিসির মেয়েরা কাল ফিরে গেলো কাচনিয়া ।
কোথাও গেলে না,
তোমার অসুখ নিয়ে তুমি রয়ে গেলে, জাগিয়ে রেখে ছায়ার দখিনা ।
এরপর অন্যসব চরিত্রেরা মিলিয়ে গেছে দিগন্তের নক্ষত্রে ও নীলে, আর
আখ্যানের পথ জুড়ে এখন নেমেছে সন্ধ্যা । টাঙাগাড়ি থেমে আছে প্রান্তরের কোনো নির্ঘুম পান্থশালায় । নেমে এসো,
দেখি, কোথায় কোথায় তুমি ফেলে গেছো রক্তছাপ...
কাল পুনরায় ভোর হবে, মনে পড়ে যাবে না-পাওয়ার কুলফল, কিন্তু,
তবু তুমি এসো কসবার মোড়ে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।