যার সত্য কথা বলার সাহস নাই , তার মিথ্যা কথা বলার অধিকার নেই ।
শিশু শ্রম আমাদের দেশের একটা বড় সমস্যা এটা আমরা সবাই জানি।
একটু আগে হোটেলে নাস্তা করছিলাম। একটা ছোট বাচ্ছা এসে পুরি দিয়ে গেল। একটু পর দেখলাম দোকানের মালিক ছেলেটাকে পিটাইতাসে।
অপরাধ চায়ের কাপ ভাঙ্গা। ছেলেটার বয়স সর্বোচ্ছ ১০ বছর হবে।
যেই বয়সে ছেলেটা এই সময় পড়ার টেবিলে থাকার কথা। সে এখন চা দোকানে কাজ করতেসে। তার জন্ম হয়ত একটা গরিব পরিবারে।
হয়ত বললাম এই কারনে,আমি নিজে এরকম কিছু সচ্ছল পরিবার দেখেছি যারা তাদের বাচ্ছাকে স্কুলে না পাঠিয়ে কাজে পাঠায়।
আবার ভিবিন্ন বাসা বাড়িতে দেখি একই বয়সের দুটি মেয়ে । একজন স্কুলে গেলেও আরেকজন আরেকজনের দিনটা শুরু হয় হাড়ি পাতিল মাজা দিয়ে।
কিন্তু কেন এরকম হবে? কাজের মেয়েটার ত কোন ধোষ করেনি?
আমি মনে প্রানে বিসশাস করি কোন আইন করে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। কারন দেখা গেছে যে লোকটা আইন তৈরি করলো সেই কাজের লোকের অভাবে গ্রাম থেকে একটা কিশোরিকে নিয়ে এল কাজের মেয়ে হিসেবে।
আমাদের যদি অনেক টাকা পয়সা থাকতো তাহলে বলতাম এই গরিব শিশু গুলুর দায়িত্ত সরকার নিক কিন্তু সেটাও সম্ভব নয়।
হ্যা যদি আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ হয় তাহলে শিশু শ্রম বন্ধ করা সম্ভব । কিন্তু আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগের যে অবস্থা তার উপর ভরসা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুনা।
এখন কি করবো???
আপনি যেমন জানেন এটা বন্ধ করতে অনেক স্ময়ের ব্যাপার আমিও জানি ।
আমি শুধু একটা কথাই বলবো আসুন আমরা যে যার জায়গা থেকে কাজের ছেলে বা মেয়েকে নিজের সন্তানের দ্রিষ্টি দিয়ে দেখি।
আপনি বলতে পারেন তাহলে কি এদের বাসা থেকে বের করে দিবো????
আপনি ওকে বাসাথেকে বের করে দিলে সে অন্য জায়গায় কাজ নিবে। এতে সমস্যার সমাধান হবেনা।
তার ছেয়ে আসুন আমরা এদেরকে সহনশিল দ্রৃষ্টিতে দেখি। ভুল করলে ক্ষমা সুন্ধ্র দ্রৃষ্টিতে দেখে তাকে বুঝিয়ে বলি। তাতে অন্তত রাস্তার পাশে আর কোন কাজের মেয়ের লাশ পড়ে থাকবেনা।
আমি জানি এর প্রতিকার এখন আপনি করতে পারবেননা। কিন্তু উপরের কাজটা আপনার দারা সম্ভব । সেটাই করুন প্লিজ।
আমার সকল লেখা এখানে : http://saifulonline.blogspot.com ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।