আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল কুরআন ও মহাকাশ বিজ্ঞান

My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home

পবিত্র কুরআন আজ থেকে চৌদ্দ বৎসর পূর্বে অবতির্ন হয়েছিল, যখন বিজ্ঞানের কোন ধারনাই মানুষ রাখত না, বিজ্ঞানের কোন একটি শাখার উপর তৎকালীন যুগের লোকদের মধ্যে কোন ধারনাই জন্মায়নি যেমন সমাজ বিজ্ঞান, রাষ্টবিজ্ঞান, ভূ বিজ্ঞান, উদ্ভিত বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, প্রানী বিজ্ঞান, মনো বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান ইত্যাদি, সেই সময় শুধুমাত্র কাব্যের উপর মানুষের দখল ছিল, অনেক বড় মাপের কবিও তখন ছিল, কিন্তু বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখার উপর সেই সমস্ত কবিদের ধারনা ছিল শুন্য। এমনই এক প্রেক্ষাপটে পবিত্র কুরআন অবতির্ন হয়েছিল, পবিত্র কুরআন কোন বৈজ্ঞানিক আলোচনার গ্রন্থ না হলেও প্রায় আট শতাধিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্দ্ধৃ আয়াত রয়েছে বলে আমার ধারনা, বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখার উপরই আল কুরআন সংক্ষিপ্ত ইংগিত প্রদান করেছে। কয়েকটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে চাই যেমন চাদ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম উপগ্রহ, প্রতি যুগে এই চাদ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলের কোন অন্ত ছিল না, চাদের আলো নিজস্ব কিনা এই বিষয়ের উপর বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পূর্বে বার বার পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে, উনবিংশ শতাব্দিতে এসে সমস্ত মহাকাশ বিজ্ঞানী একমত হয়েছেন যে, চাদের নিজস্ব কোন আলো নেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, পবিত্র কুরআন আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই মানবজাতীকে এই মর্মে ইংগিত প্রদান করেছিল যে, চাদের নিজস্ব আলো নেই। এরশাদ হচ্ছে ‘‘তিনি সেই সত্তা যিনি সূর্যকে করেছেন প্রদিপ আর চন্দ্রকে করেছেন উজ্জল’’ আল কুরআন, সুরা ইউনুস, আয়াত ১৬, প্রদিপ এবং উজ্জ্ল দুইটি এক বস্তু নয় বিচক্ষন ব্যক্তি মাত্রই এই বিষয়টি স্বীকার করে থাকবে, সারকথা হল একমাত্র প্রদিপ দ্ধারাই কোন বস্তু উজ্জলতা লাভ করে থাকে, আর তাই সূর্যের আলোর মাধ্যমেই যে চন্দ্র উজ্জলতা লাভ করেছে বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উক্ত আয়াতে সমগ্র মানবজাতীকে এই বিষয়টির দিকেই ইংগিত প্রদান করেছেন। এক সময় বিজ্ঞানীদের মধ্যে গ্রহ নক্ষত্র গুলোর গতি প্রকৃতি নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছিল, মানুষ তখন বলত গ্রহ নক্ষত্র স্থির, কক্ষপথ নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি, অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আজ থেকে চোদ্দশত বৎসর পূর্বেই শেষ নবীর মাধ্যমে মানব জাতীকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন, এরশাদ হচ্ছে ‘‘মহাকাশের প্রত্যেকেই একটি নিদ্রিষ্ট কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে’’ সুরা ইয়াসিন। ভাবতে অবাক হতে হয় যেখানে শত শত বিজ্ঞানীর মধ্যে মহাকাশের একটি বিষয় নিয়ে মতভেদ হচ্ছে, যেখানে শত শত মহাকাশ বিশেষজ্ঞ সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না, সেখানে একজন নিরক্ষর নবী একটি মাত্র বাক্যর মাধ্যমে মানবজাতীকে জানিয়ে দিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানের সঠিক তথ্য, যিনি কোনদিন কোন পাঠশালায় পরাশুনা করেন নি, যেই মানুষটির কোনদিন বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ হয়নি, যখন মানুষ মহাকাশ বিজ্ঞানের কোন ধারনাই রাখত না এমন এক সময় একজন নিরক্ষর মানুষের মুখ থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর তথ্য বের হয়ে আসা অস্বাভাবিক নয় কি ! বৈজ্ঞানিক তথ্যসমৃদ্ধ উক্ত আয়াতগুলো দ্ধারা এটাই প্রতিয়মান হয় যে, পবিত্র কুরআন একটি সাধারন ধর্মিয় গ্রন্থই নয় শুধু, কুরআন যেমন একটি পবিত্র ধর্মিয় গ্রন্থ ঠিক তেমনিভাবে এটি একটি বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। আর তাই পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে ‘‘বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ’’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।