aurnabarc.wordpress.com
পরীক্ষার মাত্র তিনদিন। কবি জসীম উদ্দীনের ভাষায় বলতে গেলে ... মোর জীবনের রোজ কিয়ামত ভাবিতেছি কতদুর অবস্থা তবুও আজ বাধ্য হলাম দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ আপামর জনতার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দানকারী অনলাইন সামুতে। আজকাল ব্শ্বিfয়নের যুগ। শাহরুখ আসছে ভাল কথা। পারলে পুরো বলিউড আপনি কোলে করে তুলে আনুন সমস্যা নাই ।
আসবে আমাদের দেশথেকেও বাইরে যাবে এতে কোন অসুবিধা হবার কথা না।
আমার প্রশ্ন তা নয়
আমার প্রশ্ন হাজারো শহীদের রক্তে রাংগানো এই বাঙলার জমিনে দাড়িয়ে কেন আমার মাতৃভাষা বাঙলার অপমান কর হল কেন।
আমরা সবাই জানি শাহরুখের মতো একজন নন্দিত অভিনেতা চাইলে পাঁচ মিনিটের চেষ্টাতেই জটিল করে বাঙলা বলতে পারে। কারণ তার হিন্দির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাতে করা অনুষ্ঠান আমরা কমবেশি দেখেছি। বাংগালী দের লোকে আদর করে বলতো এরা বেইমান ।
এরা মায়ের সাথে বেইমানি করেছে তার প্রমান তো দিল একাত্তরের ঘৃন্য রাজাকাররা। কিন্তু আজ আমাদের সবার সামনে যখন বাঙলা ভাষাকে অপমান করা হলো তখন কি জাতির বিবেক সিডাক্সিন জাতীয় ড্রাগ নিয়ে বেঘোরে ঘুমুচ্ছিল???
যখন আমরা সঙস্কৃতির ধ্বজা ধরি আমরা বলি ফেসবুক জাতির সংস্কৃতি ধ্বংস করছে । আমি আপনাদের কথায় বাধা দেবনা সাথে বলে দেব .. ফেস বুক আর যাই করুক কাউকে স্টেজে তুলে জনতার সামনে কিস করার ক্ষমতা এই জড় পদার্থ ফেসবুকের নাই। বাঙালি জাতিগত ভাবে বেইমান ছিল এটা পুরাতন কথা । ভাবছিলাম একাত্তরের সময় সব জঞ্চালকে ঝেড়ে উটতে পেরেছিলম।
আজ দেখছি আমাদের প্রাপ্তির অংকে বিশাল একটা জিরো>.. আসলে হতভাগ বাঙালি একটা স্বাধীন দেশ পাইয়া বাঙলাদেশী হইয়া লাখো শহীদরে রক্তের দামটাও দিবার পারলো না । আজ আফসোস এই বিজয়ের মাসে.... আমার একটু বুঝি নিজেদের । একটু অন্তত সচেতন হই নিজের দেশটা সম্পর্কে । কিছু উপকার না করতে পারি অন্তত মানহানি না করি এই দেশটার। তারা এই দেশেই ঘুমিয়ে আছেন যারা শত্রু রাবণ বধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন ।
তাই আসুন তীব্র প্রতিবাদ জানাই এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার।
আসতে চাই ইভ টিজিং প্রসঙ্গে। যারা কথার তুবড়ি উঠা্ই । মঞ্চ ফাটানো বকৃতা দেই । তারা একটু খেয়াল দিবেন প্লিজ .... ইভ টিজিঙ এর একটা জট্টিল মহড়া হইলো কিন্তৃ।
আর ওই আধ ন্যাঙটা রাশিয়ান মডেলটার জায়গায় যদি দেশের মেয়েদের কল্পনা করে যুবসমাজ তাহলে কি হবে????
একবার কি ভেবে দেখেছেন???????????????
আসলে তারাই প্রগতিশীল যার দেশের গতিশীলতা কে কথার তুবড়িতে গতিহীন করতে পারেন ????
তারাই সামাজিক যারা সামাজিকতার মুখোশ ধরে অসামাজিকতাকে সনদ প্রনাদ করে????
তারাই নাস্তিক যারা যারা ধর্মের ধ্বজাধারীদের মুখোশ খুলে দেয়>>>
কি হবে এই হতভাগা জাতির ???? মিঠুন চক্রবর্তীর বাঙলা সিনেমার একটা জনপ্রিয় ডায়লগ...
এর উত্তর ভগাই জানে....
আমি আমার পুরাতন এক পোষ্ট এ তামিল সিনেমা কানুনের একটা ডায়লগ এর উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম। আজ আবার দিতে হচ্চে।
আমার পুরাতন পোষ্ট হতে.....
আজ বিজয়ের মাস ... প্রাণ কাদছে শত সন্তান হারাণো মায়েদের ...এই কি সেই সোনার বাঙলা যার জন্য তাদের সন্তানরা প্রাণদিয়েছিল। প্রাণ কাঁদছে মাতৃভূমি বাঙলার জমিনের । যাদের রক্ত শুষে নিয়ে হায়েনাদের হাত থেকে স্বাধীন পতাকা আনাহয় তাদের কাছে কি জবাব দেবে এই বিজয় দিবসে।
আজ একটা তামিল সিনেমার (কানুন সিনেমাটার নাম এর হিন্দি ভারসান ও এখন পাওয়া যাচ্ছে) ডায়ালগ মনে পড়ছে । কদিন আগেই দেখলাম । ডায়ালগটা একজন বিপথগামী প্রাক্তন সততার প্রতীক পুলিশের । সে আজ দশটা খুনের ফেরারী আসামী। তার কথা ছিল।
এএেএ.. এসিপি তেরি লাম্বি বাত অউর বাকওয়াস বান্ধ কার। ...খুউউউ...ন হাঁ ম্যায়নে খুনহি কিয়া ম্যায় যো কিয়া ও আচ্ছি কিয়া .। ইস জুনুন কে লিয়ে মুঝে আজ বহত খুশ আতি .. এক শুড়ি যো শুড়ি বানকার র্যয়হতি তো কুছ নেহি আতি । রাত্নিগিরিমে দেশই দারু কি ভাট্টি চালানে ওয়ালা মদন কালিয়া আজ শিকশা মানত্রি মদনপ্রকাশ বানগায়ি । অউর উনকি নিচে হামারি বাচ্চি পাড়াহি কারেগি???...।
। এক বেশ্যা যো বেশ্যা বানকার র্যা হতি তো মুঝে কুছ আফসোয়াসর নেহি হোতি। ও আজ শিকশান কে সাথ নারী কালইয়ান মানত্রি বানগায়ি । ১৯৯০ সালমে লাড়কি ধান্দা কারনে ওয়ালে চাল্লিস কামিনে কো ম্যায়নে পাকড়ায়া থা । উসকি এক হ্যায় হ্যায় চান্দ্রাবাই .. ।
ও জেল তাক ছাড়া পানে কে বাদ আচানাক নারী কালইয়ান মানত্রি চান্দ্রাবতীবানগায়ি। উস বেশ্যে কে হাত মে আজ মা স্বারাস্বতীকো আভিশেক কারানা চাহতি হ্যেই ও ... ইসলিয়ে ভাগউয়ান সারাস্বতী কো কুছ নেহি হোতি তো মুঝছে হুয়া। কিতনি বার ম্যায়নে উচকি পাকাড়কার আদালাত মে পেশ কিয়া। হার বার বাচগায়ি ও ছালি। ...আজ যো কিয়া উড়া দিয়া উস কামিনেকো ।
চাড় ও তাড়া উসকি টুকরে ভি বিখাড় গায়া হিম্মাত হ্যায় তো লড়কে দেখ। ............. তু ভি জরুর এক আপ্রাধি বাকরার জেল মে ভিজ যায়েগা। .. একদিন ম্যয়নে কাঁহা ভগবান অউর কানুন এক হ্যায় .... কানুন সাজা দেগি কানুন মউত দেগি .... মাগার মারগায়া ও দোনো ..... ও কুছ শুন নেহি সাকতি। ......হেই সাত্যিয়া যিস কানুনকে মুজরিমওকা সাজা মিলনা চাহতি হ্যায় ও কানুন আজ মারগিয়া হ্যায়। আর ও মারেহুয়ে কানুনকো হিফাজাত কারনে কে লিয়ে ম্যায় আজ খাকি ওর্দি প্যহেননু ... উতার দিয়া ও বিনা তাকাতমে।
.......................
আসলে সিনেমার এই ডায়ালগটি কতটা বাস্তব তা আজ স্বাধীনতার ত্রিশ বছর পর হায়দরের গানের তালে খুজতে গেলেই সন্ধান মেলে। আজ বেশির ভাগ ভাসিটি ছাত্রের টার্গেট থাকে তার পড়াশোন শেষ করে দেশের বাইরে পাড়ি দিয়ে মাতৃভূমিকে তার ভাল রেজাল্ট আর প্রতিভার পাপ হতে উদ্ধার করা। আসলে এভাবে চললে আর কতদিন????????????????
জাতি আজ সোচ্চার প্রতিকার চায় এই সব অনাচারের...
মোঃ আদনান আরিফ সালিম অর্ণব
ছাত্র এবং অবিনির্মানবাদী লেখক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।