এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/
আমরা সচারাচর সে সমস্ত সেতুগুলি দেখিয়া থাকি তাহারা নট নড়ন-চড়ন হইয়া স্থির পড়িয়া থাকে। কিন্তুক কিছু কিছু সেতু রহিয়াছে যাহারা নট নড়ন-চড়ন হইয়া পড়িয়া থাকে না মোটেই, বরং বেশ নড়ন-চড়ন দিয়া থাকে। আজিকের এই লেখা সেই সমস্ত নড়ন-চড়ন সেতুদিগকে লইয়াই।
যাহাদের নজরে নড়ন-চড়ন সেতু ০১ আসে নাই তাহারা চাইলে দেখিয়া আসিতে পারেন।
যাহাহোক আজ আমরা আলোচনা করিবো নড়ন-চড়ন সেতুর আরো একটি ধরন লইয়া। এই সেতু নাম দিতে পারি -“ভাজ করা সেতু” বা “folding bridge”, আজও কহিয়া রাখিতেছি বাংলা নামের দিকে নজর না দিলেও চলিবে।
নাম শুনিয়াই বুঝিতে পারিতেছেন সেতুগুলি কেমন হইবে। যাহারা বুঝিতে পারিতেছেন না তাহারা নিচের ছবি দুইটিকে অবলোকন করিতে পারেন।
১।
চ্যাপ্টা ভাজ সেতু
২। গোল ভাজ সেতু
ছবি দেখিয়া এইবার নিশ্চই বুঝিয়াছেন ইহারা কিরূপ হইবে। তাহারপরেও বলা আমার কর্তব্য তাই বলিতেছি -
“যেই সমস্ত সেতু তাহাদের নিচ দিয়া জলযান যাইতে দিবার উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে ভাজ করিয়া লয় সেই সমস্ত সেতুদিগকে ভাজ করা সেতু বলা যায়। ”
সাধারণ ভাবে “ভাজ করা সেতু” দিগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। উপরের প্রথম ছবিতে দেখিতে পাইয়াছেন কি করিয়া একটি সেতুকে চ্যাপ্টা ভাবে ভাজ করি রাখা যায়।
এই সমস্ত সেতুগুলিকে আমরা “চ্যাপ্টা ভাজ সেতু” বলিতে পারি।
আবার উপরের দ্বিতীয় ছবিতে আমরা দেখিতে পাইতেছি একটি সেতুকে কি করিয়া পেঁচাইয়া গোল করিয়া ভাজ করা হইতেছে। এই ধরনের সেতুদিগকে আমরা বলিবো “গোল ভাজ সেতু”
এখন মনে প্রশ্ন জাগিতে পারে, বাস্তবে কি এই ধরনের সেতুর সত্যিই কোনো অস্তিত্ব রহিয়াছে? নাকি লেখকের উত্তপ্ত মস্তিস্কের উদ্ভট আবিস্কার। লেখকের মস্তিস্ক উত্তপ্ত হলেও “ভাজ করা সেতু” গুলির অস্তিত্ব কিন্তু সেই উত্তপ্ত মস্তিস্কে নয়। বাস্তবেও ইহাদের অস্তিত্ব রহিয়াছে।
তাই বলিয়া সঞ্চয় দত্ত অভিনিত “বাস্তাব” চলচিত্রে ইহাদের খুঁজিতে যাইবেন না দয়া করিয়া। একটু অপেক্ষা করেন আমিই উহা দিগকে আপনাদের সামনে হাজির করিতেছি।
চ্যাপটা ভাজ সেতুঃ চ্যাপটা ভাজ সেতু নিজ চোক্ষে দেখিতে হইলে আপনাকে যাইতে হইবে জার্মানি। কারণ জার্মানির Kiel শহরে রহিয়াছে একখানি চ্যাপ্টা ভাজ সেতু, নাম তাহার “Hörnbrücke বা Hoernbridge”। সেতুটি যখন নিচ দিয়া নৌযান যাইবার জন্য নিজেকে গোটাইয়া লইতে থাকে তখন তাহাকে দেখিতে ইংরেজী “N” অক্ষরের মতো দেখা যায়।
নৌযান চলিয়া যাইবার পরে সে আবার নিজেকে মেলিয়া ধরে পথচারী আর মটরগাড়ীর জন্য। এখনো যদি আমার কথা বিশ্বাস না হইয়া থাকে তবে নিচে ছবি দিয়া দিতেছে দেখিয়া লইবেন।
“Hörnbrücke বা Hoernbridge” নিজেকে মেলিয়া ধরা অবস্থায়।
“Hörnbrücke বা Hoernbridge” নিজেকে গোটাইয়া লইবার কালে।
গোল ভাজ সেতুঃ নিজ চর্ম চোক্ষে গোল ভাজ সেতু দেখিতে হইলে আপনাকে যাইতে হইবে লন্ডন।
Grand Union Canal খারের উপরে এই অতিব চমৎকার সেতুটি তৈরি করা হইয়াচে ২০০৪ সালে। স্বাভাবিক অবস্থায় সেতুটি চুপচাপ পড়িয়া থাকিলেও তাহার নিচ দিয়া জলযান বাইবার কালে যখন সে নিজে গোটাইতে শুর করে তখন এক মনরম দৃশ্যের আর্বিভাব হয়। সেতুটি ধীরে ধীরে নিজে গোটাইয়া গোল একটি চাকার মতো করিয়া ফেলে। দর্শক তাহা দেখিয়া নয়ন স্বার্থক করেন। নয়ন স্বার্থক করিবার জন্য লন্ডন যাইতে না চাইলে নিচে ছবি দিতেছে- দেখিয়া দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইয়া লন, আমারই মতো।
এই রকমের আরো একটা মডেল দেখিতে পারেন ।
এইবার বিদায় নিচ্ছি, তবে দখা হবে আবারও অন্য কোনো "নড়ন-চড়ন সেতু ০৩"-এ। শর্ত একটাই................
"পাগলা সেতু নাড়াইস না"
সূত্রঃ উইকি
ছবিঃ google মামা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।