রবার্ট ল্যাংডনকে চেনেন তো? সেই যে,হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্নতত্বের অধ্যাপক,যিনি বিখ্যাত বিখ্যাত রহস্যের সমাধান করেছেন। দ্য ডা ভিঞ্চি কোড উপন্যাসে তার কার্যকলাপ দেখে সারা পৃথিবী তো হতবাক হয়ে যায়। আবার সেই ল্যাংডন,আবার একটি টানটান রুদ্ধশ্বাস পুরাতত্ত্বীয় গোলকধাঁধার থ্রিলার। বইটি প্রকাশের প্রথম দিনই ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় শুধু উত্তর আমেরিকায়। দীর্ঘ দিন ধরে নিউইয়র্ক টাইমসের বেষ্টসেলার তালিকার শীর্ষস্থানে ছিল বইটি।
বইটি আসলে বছর দেড়েকের পুরানো। কিন্তু এর বাংলা অনেকেরই পড়া হয় নি। তাই সংক্ষেপে কাহিনীটা বলার চেষ্টা করি।
ড্যান ব্রাউনের কাহিনীতে অনেকেই মিল খুঁজে পান,তার পূর্ববর্তী ভিঞ্চি কোডের সাথে দ্য লষ্ট সিম্বলের। আসলেই কিছু মিল আছে।
এখানে কাহিনী শুরু হয় যখন ল্যাংডনকে তার বিশেষ ধনাঢ্য জ্ঞানবান বন্ধু পিটার সলোমন,যিনি কিনা আবার স্মিথসোনিয়ান ইনষ্টিটিউট এর পরিচালক এবং একজন ম্যাসন,যা নিয়ে মূল কাহিনী আবর্তিত,তিনি একটি অনির্ধারিত সভায় ডেকে পাঠান বক্তৃতা দেয়ার জন্য। প্রকৃতপক্ষে সেখানে ল্যাংডন পায় পিটারের কাটা হাত,যা আসলে ফ্রিম্যাসন গুপ্তসংস্থার প্রতা অনুযায়ী একটি আমন্ত্রন। মাল'আখ,যে নামে ভিলেন নিজেকে পরিচিত করায়,সে ল্যাংডনকে জানায় যে তার একটি প্রাচীন পিরামিডের সিংহদ্বার খুজেঁ দিতে হবে,যা একমাত্র তার পক্ষেই করা সম্ভব। এর পরেই ঘটনায় আবির্ভাব হয় ইনাউ সাটো'র,যিনি সিআইএ'র অপারেশন্স সেক্টরের প্রধান। সাটো ল্যাংডনকে নিয়ে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল হিলের বেসমেন্টে নামে এবং একটি লুকানো ঘরে কাঙ্খিত পিরামিডটি পায়।
কিন্তু তথ্য উদ্ধারের আগেই ঘটে আরেক ঘটনা, ক্যাপিটাল হিলের পরিচালক সাটো ও পুলিশ অফিসারকে মেরে অজ্ঞান করে সেখান থেকে রবার্টকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন।
বইটিতে এর পরবর্তিতে ঘটনা ঘনঘন পরিবর্তিত হয়েছে,এবং ড্যান ব্রাউন মুন্সিয়ানার সাথে প্রতীকের সর্বোচ্চ ব্যবহার দেখিয়েছেন। বইটা একবার পড়া শুরু করলে আপনি ঘটনার সাথে মিশে যাবেন,আর শেষ না করে উঠতে পারবেন না নিশ্চিত। পুরো ঘটনাটাই একরাতের ভিতরে ঘটে,সুতরাং আপনি ল্যাংডনের পাশে দৌড়াতে গিয়ে দম ফেলতে পারবেন না,নিশ্চিত।
তো এবার শেষ কথা,কোথায় পাওয়া যাবে বইটা?
বইটা বাংলাদেশে বাংলায় বেরিয়েছে,কিনি ফেলতে পারেন।
২৫০ টাকার মতো দাম। তবে কিনলে মোটেও ঠকবেন না। এমন সব জিনিস জানতে পারবেন,যা আপনার কখনও জানা ছিল না। আর পিডিএফ পেতে চাইলে নিচের সাইটে চলে যান,
http://www.boiRboi.blogspot.com
গিফট্ হিসেবে বইয়ের প্রচলন বৃদ্ধি করুন,তাহলে আমরা এ ধরনের লেখা বেশি পাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।