আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
সুধী ব্লগারবৃন্দ, শুভ দুপুর আমি নীল-দর্পণ ওরফে নীলু আপনাদের সামনে আবার হাজির হয়েছি গাল ভরা নামের সাধারন একটি রেসিপি নিয়ে। ভয়ের কিছু নেই খাবার যোগ্য এবং ঠিক ঠাক মতন রান্না করতে পারলে দারুন মজার একটি খাবার হবেই হবে
তো রেসিপিটি বাস্তবায়ন করতে যা যা লাগবে তা বলেই দিই, কি বলেন? হ্যাঁ আপনারা রাজী থাকুন আর নাই থাকুন বলে আমি দিবই...এই আমার পণ
উপকরণ:
১।
পামকিন(মিষ্টি কুমড়া আরকি)
২। প্রন(ইচা মাছ চিংড়ি মাছ যা ইচ্ছে দিতে পারেন)=ইচ্ছে মত
৩। পেঁয়াজ কুচি= ৩/৪টি
৪। মরিচ= ইচ্ছে মত
৫। রসুন কুচি= ২/৩টি(দেশী হলে)
৬।
হলুদ গুঁড়া= এক চা চামচ
৭। জিরা গুঁড়া= এক চা চামচ
৮। তেজ পাতা= ৩টি
৯। কালো জিরা= এক চিমটি
১০। তেল= পরিমান মত(মেপে দিইনি, আপনার আন্দাজ মত দিবেন)
১১।
লবন= পরিমান মত
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রান্নার জন্যে কড়াই আর খুন্তি। সব জোগাড় করলেন কিন্তু কড়াই খুন্তি না হলে...
যাক যারা উপকরনের লম্বা লিস্ট দেখে ভয়ে চলে যাচ্ছেন তাদের বলি গেলেন তো ঠকলেন, ধৈর্য্য নিয়ে একটু বসেন দেখেন, একেবারেই সহজ রান্না
তো দেরী না করে রান্নার প্রনালী টা বলেই দিই
প্রনালী:
প্রন/পামকিন-টামকিন বাদ দিয়ে খাস বাংলায় চিংড়ি-কুমড়ো ই বলি
মিষ্টি কুমড়ো আধা ইন্ঞির কম পাতলা করে কেটে ধুয়ে নিন। চিংড়ি মাছ বেছে ধুয়ে রাখুন। ছোট চিংড়ি হলেতো কাটার দরকার নেই বড় হলে একটু ছোট ছোট করে কেটে নিন। ধুয়েছেন? রান্না কিন্তু শুরু করে ছিয়েছি
চুলায় কড়াই চাপানোর আগে বা পড়ে অবশ্যই মনে করে চুলাটা জ্বালিয়ে নিবেন নয়তো... কড়াই গরম হলে তেল-পেঁয়াজ-মরিচ-লবন দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন।
এরপর হলুদ দিয়ে নেড়ে তার মাঝে চিংড়ি ঢেলে দিয়ে ২/৩ মিনিট কষিয়ে নিন। এর পরে মাছটুকু একটা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার সেই কড়াইতেই কুমড়োগুলো দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে পানি ঢেলে দিন। পানিটাতো মেপে দিই নি তবে কুমড়োগুলো ডুবে একটু উপরে ছিল পানি। ।
এবার কড়াই ঢেকে অপেক্ষ করুন কিছক্ষন পর পর ঢাকনা তুলে দেখুন পানি ফুটে উঠলে খুন্তি দিয়ে কুমড়ো গুলো ভেংগে দিন। এভাবে ভেংগে মোটামুটি ঘন হয়ে এলে তেজপাতা ও মাছ ঢেলে দিন কুমড়োর মাঝে। এর পরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। তরকারী মাখা মাখা হলে অন্য একটা কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে তাতে রসুন দিয়ে হালকা লাল করে ভাজুন তার পরে কালোজিরা দিয়ে একটু ভেজে তরকারীতে ফোড়ন দিয়ে নামিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া শুরু করেদিন।
ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি ফোড়ন দেওয়ার আগে মনে করে জিরাগুড়া দিয়ে দিবেন কিন্তু(না দিলেও সমস্যা নেই )
এই হল নীলু'স সিজলিং পামকিন উইথ প্রন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।