আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ওয়াজ মাহফিলে জৈনক মোল্লা হুজুর ও বিদ্রোহী নারীর প্রশ্নঃ

একজন সুখী মানুষ

এক ওয়াজ মাহফিলে জৈনক মোল্লা হুজুরের বক্তব্যের প্রক্ষিতে এ রকমের একজন বিদ্রোহী নারী প্রশ্ন রাখেন- হুজুর, আপনার মতো প্রত্যেক পুরুষ পরকালে বেহেশতে সত্তুর জন হুরপরী পাবেন চিরকালের সঙ্গী হিসাবে; আর আমরা নারীরা কী পাবো? হুজুর জবাব দিলেন-আপনারা আপনাদের স্বামী সঙ্গ-সুখ লাভ করবেন। মহিলা বললেন- আপনারা রুপসী হুরপরী পাবেন সত্তুর জন; আর আমরা নারীরা একজন রুপবান ও পাবো না; কেবল পাবো কুৎসিত সেই কালো মিয়াকেই, এটা কী বলছেন! এতই অবিচার, অবহেলা নারীদের প্রতি! হুজুর নারীর বিদ্রোহের কথা শোনে একেবারে হতবাক, এমনকি নির্বাক রইলেন। বিদ্রোহী নারী বললেন, হুজুর আমর আরেকটি প্রশ্ন- যে পুরুষ চারটি বিয়ে করেছে সে পরকালে বেহেশতবাশী হলে তার চারজন স্ত্রীও কি বেহেশতবাসী হবে? হুজুর বললেন, এ ব্যাপারে ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে- কেউ কেউ বলেছেন, যে স্ত্রী ইসলামের শরিয়া মতে জীবন যাপন করেছেন; স্বামীর প্রতি যার অকৃত্রিম ও গভীর ভালোবাসা ছিল, যিনি কখনো স্বামীর অবাধ্য হননি, স্বামী সেবায় ত্রুটি-অবহেলা করেননি কেবল তিনিই স্বামীর সাথে বেহেশতবাসী হবেন। বিদ্রোহী নারীর অভিমতঃ ইতিপূর্বে যে বললেন, প্রত্যেক স্ত্রীই বেহেশতে তাঁর স্বামী স্বর্গ-সুখ লাভ করবেন, তা তো ঠিক নয়। নারীরা তো বেহেশতে তার স্বামীকেও পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই।

যদি সে দোজকবাসী হবে। তাহলে দেখা যায়, ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতেই পুরুষের চেয়ে নারীর সুযোগ-সুবিধা অ-নে-ক কম। অথচ ধর্মীয় বিধিবিধান পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশী মেনে চলে। এসব তো নারীর বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই, ব্রিটেনের যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল বলেছেন, স্বর্গে যদি হুরপরীর অস্তিত্ব না থাকতো, তাহলে স্বর্গরাজ্যের অধিপতির মৃত্যু ঘটতো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।