ছিড়ে ফেলি ভিন্নতার ভেড়াজাল,মুক্ত করি মনুষত্ব্যকে।
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা সবাইকে আমার সালাম ও শীতের সকালেরে ঠান্ডা শুভেচ্ছা। কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই এই শীতের কোমল আবহাওয়ায় শিশির বিন্দুর মত ভাল আছেন। আজ আমি নিয়মিত কোন ব্লগ পোষ্ট করব না। এমন একজন অবুঝ বালকের নিজস্ব কিছু কথা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম।
আশা করি ভাল লাগবে।
আমার বাল্যকালের কিছু স্বরনীয় ঘটনাঃ
আমার বাল্যকালের সব ঘটনা এক এক করে স্বরন করলে দেখা যায় যে আমার বাল্য কাল ছিল খুবই সাধারন। কারন পারিবারিক অবস্থা ছিল অতি সাধারন। বাবা ছিলেন সরকারি অফিসের একজন সামান্য কর্মকর্তা। আমি যখন পঞ্চম শ্রেনীতে উঠি তখন আমাদের পারিবারিক অবস্থার আর অবনতি হয়ে যায়।
তখন বারবার মনে হচ্ছিল যেন ঘরটা ছেড়ে দূয়ে কোথাও চলে যাই। আলাহর অশেষ রহমতে আমি পঞ্চম শ্রেনীতে টেলেন্টফুলে বৃত্তি পাই। আমার এই বিরাট সাফল্যের পিছনে যে মানুষটির অবদান সব চেয়ে বেশি তিনি হলেন আমার বিদ্যালয়ে শ্রধ্যেয় প্রধান শিক্ষক সুজয় পাল স্যার।
আমার বাল্যকালের সব চেয়ে স্বরনীয় দিনঃ
আমি তখন আমাদের বাড়ীর পাশে একটা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। পড়া-লেখায় ভাল ছিলাম বিধায় আমাকে সরকারী বৃত্তি দেওয়া হত।
আমি যখন দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ি। আমাদের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শেষ হল। স্যার ক্লাসে এসে বললেন আজ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু আমাকে ডেকে বললেন আমি আর টাকা পাবনা। কিন্তু এই খবর আমার বাড়ীর কেউ জানে না।
আমি যখন টিফিন সময়ে আমার বাড়ীতে এ খবর বলতে আসতেছিলাম তখন সবার আম্মুরা টাকা নিতে আসছিল। আমার আম্মুও ছিল এদের সাথে। আমি আম্মুকে দেখে কেঁদে উঠে বললাম আমাকে আর টাকা দেওয়া হবে না। আম্মু আমাকে বিভিন্ন ভাবে সান্তনা দেবার চেষ্টা করল। অর্ধেক পথ থেকে আমাদের চলে আসতে দেখে সবাই হাসতে লাগল।
এর পরের বছর আমি দূরে একটা সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। শুরু করি আমার নতুন পথচলা। যতারীতি প্রাথমিক বৃত্তি পেলাম। সে দিন আমার নিকট ছিল মহা আনন্দের দিন। আমি এখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি।
কয়েকদিন হল জে.এস.সি পরীক্ষা দিলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এই পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট লাভ করি।
(আসফাক)
বি.দ্র: এই লেখাটি ছেলেটির ব্যক্তিগত ডায়রী থেকে সংগ্রহ করা।
বন্ধু লিঙ্কঃ এখানে ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।