দেশের এই যে দুরবস্থা তার পিছনে যত না রাজনৈতিক অস্থিরতা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে আমাদের পথভ্রষ্ঠ যুব সমাজ। ছাএদের প্রধান দায়িত্ব কি আমরা সবাই জানি কিন্তু সেটা তারা পালন করছে কি? এই দেশের ছাএদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে তাকে তারা বিকশিত করতে পারছে না। তার পিছনে অনেক কারন রয়েছে।
আমাদের ভ্রান্ত শিক্ষা-ব্যবস্থা, শিক্ষকদের মিসগাইডেন্স, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া ও মাদকাসকক্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি।
যারা ভবিষ্যত প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তারাই যদি এভাবে পথভ্রষ্ঠ হয় তবে দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকবে!
এইতো সবে শেষ হলো প্রাইমারি শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষা।
তাতেই তো দেশের দুরবস্থার ছবি ফুটে ওঠে। ২৪,০০০০০ পরিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ অনুপস্থিত আর ৬৫ জন ভুয়া পরিক্ষার্থী! এতোগুলো শিক্ষার্থী যদি প্রাইমারি লেভেই ঝরে পরে তবে দেশের উন্নয়ন হবে কি করে?
ছাএরা যারা পড়ালেখায় ভাল রেজালট করেন তারা তো সবর্দা চেষ্টা করন যাতে বিদেশে গিয়ে পারি জমাতে পারেন।
তাদের স্বরূপ আমি আগের ব্লগে তুলে ধরেছি। এভাবে দেশকে পঙ্গু করে চলে যেতে তাদের বিন্দুমাএ দ্বিধা হয় না।
রাজনৈ্তিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরা তো এখনকার দিনে বেশ স্বাভাবিক বিষয়।
আমার বোধগম্য হয় না সরকার কেন ছাএ রাজনীতি বন্ধ করছে না। (তার সম্ভাব্য কারন হতে পারে ছাএরা না থাকলে বিরোধি দল থাকা অবস্থায় হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুর কে করবে!!)
আর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাদকাসক্ত হওয়া অথবা খুন করা খুবি পুরানো ফর্মুলা আর এর হোতা হল দেশের ভুয়া চলচিএ যাতে এইসব বিষয়কে বেশ আকর্ষনীয় করে তুলে ধরা হয়।
যাক; এই সব সমস্যার মূল কেন্দ্র হল সুশিক্ষার অভাব। শিক্ষার অপ্রতুলতার কারনে কেউ হয়তো ইভ টিজ়িং এর মতো কান্ডজ্ঞানশূন্য কাজ করবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ছাএদের শিক্ষার প্রতি এত অনিহা কেন?
কারন এটা তাদের চাপ মনে হয়।
ঠিক আমির খান ৩ ইডিয়টস এ যা বলেছিলেন, আমাদের ব্রেন নয় যেন প্রেসার কুকার যাতে যত চাপ বাড়াবে ততো তাড়াতাড়ি গরম হয়ে ফেটে যাবে। অনেকেই আবার এই ক্ষেত্রে কন্সেপ্সন দিয়ে পরতে বলেন যার নিজেরি নেই বা তিনি নিজেই আবার এটা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এই হল আমাদের চারিএিক দর্পণ !!
তাই যখন কোনো শিক্ষককে আমি দেশের দৃশ্যপট পাল্টাবে কি না জানতে চাইলে তারা এক বাক্যে এটা কখনো হবে না বলে দেন। কারন তারা ও এই সিস্টেমেরই অংশ!!
তাই কেউ সত্যিকারভাবে দেশকে ভালোবেসে থাকলে আগে নিজেকে বদলানো শুরু করুন, কথা নয় কাজেই এর পরিচয় দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।