প্রথমে রেডিওতে সংবাদ টা শুনে বিশ্বাস হচ্ছিলনা ।
ছুটে গেলাম আমার ল্যাবে সুনাম গঞ্জের ধরম পাশা মেডিকেল
এর বট বৃক্ষ সংলগ্ন ছোট ঘরে । ডিশ খুলে ঘটনা টা আমি আয়ত্ত
করলাম / তখন পরিনতি যা হবার হয়ে গেছে । সারা দেশ জুড়ে
একটা থমথমে ভাব / অতি শোকে চোখে পানির বদলে আগুন
বেরুল ।
দেখলাম প্রাত্তন সামরিক অফিসার মেজর মঞ্জুরুল হক গান অব
সিভিল কে আমার দিকে তাকিয়ে রাস্তায় দ্বারীয়ে / পড়ে মোটর
সাইকেল যোগে আরও এল তারা যথাক্রমে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের
সার্কেল আসিফ ইকবাল , রেবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কর্নেল
ছমির উল্লাহ বেলাল , আনসার ভি ডি পির মহাপরিচালক ,
ও ধর্ম পাশা উপজেলার টি এন ও সাহেব সহ অনেক শুশিল সমাজের নাগরিক গন ।
আমি একজন জনপ্রিয় লেখক সাহিত্যিক / এর আগেও সারা বাংলাদেশের সব মহলের প্রধান প্রধান ব্যক্তি বর্গ আমাকে জানতেন ।
আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কখনও উপস্থাপনা করেছি আবার কখন
২/৩ দলের মধ্য মধ্যস্থতা করে অনেক জটিল বিষয় নিস্পত্তি করেছি । এজন্য সবাই আমাকে / আমার সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম পাওয়ার
এর উপর দিয়ে নানা মহল বিবেচনা করত । সেদিন এর ব্যাতিক্রম হয়নি ।
ওঁরা সব আশা করছিল আমি যেন লাল কলম উঁটাই ।
তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিলাম । আমার ল্যাব বন্ধ করে আমি রিক্সায় চড়ে
সারা উপজেলা দ্রুত চক্কর দিলাম / সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন
সামরিক দপ্তরের নিয়ন্ত্রন নিমিষেই পাল্টে গেল ।
আমরা আর কাউকে সুযোগ না দিয়ে সাহারা খাতুন দিপু মনি
মতিয়া চৌ জাহাংগির সহ অনেক নেতা কর্মীকে দেখলাম
দরবার হল এলাকায় এগিয়ে আসতে , তাদের মধ্যস্থতায় এবং
সামরিক ইউনিটের নিকট প্রকৃত বিচারের আশ্বাস ও অপরাধীদের ধরে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন ছিল আমাদের আরেক টি গৃহ যুদ্ধ নির্বাণ করার বড় কৌশল ।
সামরিক অফিসার গন দশ মিনিট সময় ছেয়েছিল কিন্তু তাদের
কে গুলির অর্ডার দেয়া হয়নি / আসলে আতংকিত ঢাকা বাসি
ছিল ঘরে /বাইরে সমান কৌতূহলী ও উপস্থিত । গুলি কার
উপর চালাবে ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে / আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচি ।
পরবর্তী যা যা ঘটমান সবি মিডিয়ায় প্রকাশ হতে লাগল ।
আমিও আমার দায়িত্ত যারা সংশ্লিষ্ট ছিল ,
তাদের নিকট ছেড়ে দিয়ে পড়ে রইলাম বিছানায় / সেই থেকে আজও মাঝে মধ্য
দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমের ঘুরে চিৎকার দিয়ে উটি । আমি শান্তির
বারতায় মাবাবা কে নিয়ে চলে আসি মিরপুরে । এখানে লিখা
আর আমার ভাইদের ছত্রছায়ায় অবসর মুহূর্ত গুলু কাটছে ।
দিক নির্দেশ আজও র্যাব, পুলিশ , আনসার ও জনপ্রশাসন সেই
কমান্ড ফলু করে । তবে কি শেষ কথা বলব ইতিহাসের এমন
জগন্য তম কলংকিত অধ্যায় আর জাতি দেখতে চায়না ।
পরে আমরা ৮ দফা দাবিতে লং মার্চের ডাক দিয়েছিলাম ২০১১ ২৫শে মার্চ । এবং অঙ্গ সংঘটন ২৮থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ।
বাদশাগঞ্জ ঐতিহাসিক খেলার মাট থেকে শুরু হয়ে সারা বাংলায়
সব মহলের এক্য ও দাবি পৌঁছে যায় প্রত্যকের কানে কানে
কিন্তু আজও বাস্তবায়ন হতে অনেক দেরি ।
যেমন সুনেত্র গ্যাস ক্ষেত্রের দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে উত্তোলন এবং দেশের কাজে
ব্যবহার । স্থানিয়দের নিয়ে কলখারখানা প্রতিষ্ঠা এবং
সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি । ভারত কর্তৃক টিপাই মুখ বাধ নির্মাণের
বিরুদ্ধে জনমত গ টন এবং আন্তর্জাতিক বহুজাতিক কম্পানি
কর্তৃক বাংলাদেশের নৌ বন্দর স্থাপনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা । আরও
বাংগালির বহু দাবি
আজও বাঙ্গালী জাগ্রত চেতনায় ,
শান্তির সুবাতাস দেখতে চাই একতায় ।
আমরা এখন জাগ্রত ইনশাল্লাহ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।