You can't buy love on eBay.
আজকের আবহাওয়াটা মোটেও সুখকর নয়। তাপমাত্রা -৩° সে. সেই সাথে শরীরটাও ভালো লাগছে না। কি যে করি, ঘরের মাঝে হিটিং সিষ্টেম ছেড়ে বসে থাকার চেয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আসা যায়। এতে গ্যাস বিলের উপর চাপটাও কমবে। কিন্তু কোথায় যাব! ইউনিভারসিটি যাওয়া যাবেনা, প্রফেসরকে ইতিমধ্যে ফোন করে দেয়া হয়েছে যে শরীর ভালো না তাই ল্যাব-এ যা্ব না।
চলে গেলাম বাসার কাছেই একটা পার্কে। যদিও এত শীতে সাধারণত কেউ পার্কে বসে থাকতে যায় না। এক প্যাকেট মার্লব্রো লাইট (আমার পছন্দের ব্রান্ড) সিগারেট কিনলাম, এই ঠান্ডায় একা বসে সিগারেট ছাড়া আর কিছুতো চলবে না। ঝাল মুড়ি বা মনু (আসল নাম মনে নাই) মিয়ার ফুস্কা/চটপটি হলে কি যে ভালো হতো কিন্তু কোথায় পাব এসব। মনে পড়ে ক্লাসের ফাকে অথবা সকালে বা বিকালে যখন ব্রহ্মপূত্রের পাড়ে যেতাম তখন মনু মিয়ার কথা, স্যার ঝাল বেশি দিয়া……!! মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেই ঝাল মুড়ি, ফুস্কা/চটপটির একটা ব্যবসা খুলে বসি আর শালাদের ফ্রী খাওয়াই, বলি দেখ আমাদের ফাস্ট ফুড কত মজার!! পরে এরা নিশ্চয়ই কিনে খাবে আমার কাছ থেকে!! এই ইউরোপিয়ানরাই নাকি আমাদের দেশে প্রথম ফ্রি’তে চা পান করাতো।
আর এখন আমরা সেই চা’য়ের পেছনে অনেক টাকা খরচ করি। পড়াশুনা বাদ দিয়া চটপটি/ফুস্কা’র দোকান দিতে মন চায়!!! কি যে মরার দেশে আসলাম, শালার পিজ্জা ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগেনা, তাও আবার নির্দিষ্ট কিছু পিজ্জা (বাকি সব গুলোতেই শুকর বা এর বাই-প্রোডাক্ট থাকে)। ইউনিভার্সিটি’র ক্যান্টিন বা রেস্টুরেন্ট কোথাও মজা করে খেতে পারিনা। রেস্টুরেন্ট-এ গিয়ে যে খাবারটা মনে করি যে খুব মজা হবে, খাবার ইচ্ছা জাগে সেটাতেই শুনি শুকরের মাংস দেয়া। মাঝে মাঝে মেজাজ এত খারাপ হয়!! মেজাজটা আরো বিল্লা হয় যখন অন্য ছাত্রদের সাথে রেস্টুরেন্ট-এ খেতে যাই আর আমি না খেয়েই ওদের সমান বিল দেই।
ওরা তো সব খায় রাক্ষসের মত খায় আর সাথে প্রচুর হট ড্রিংস। কিন্তু মোট বিল মানুষ সংখ্যা দিয়া ভাগ হয়………!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।