পরাঞ্জয়ী...
এক জীবনে কতটা সুখি হলে দুঃখের চাষ করা যায় জানো তুমি? এক জীবনে কতখানি ভালবাসলে নিজ হাতে শাস্তি দেওয়া যায় জানো? এক জীবনে কতখানি সুখ দিলে দুঃখ দেওয়া যায় অনায়াসে তাও কি জানো? কিছুই জানো না তুমি। তুমি শুধু জানো, হৃদয় মাড়িয়ে পেছনে ফেলতে, তুমি জানো বুকের ভেতর রক্তগঙ্গা বইয়ে তাতে সাম্পান চালাতে! তোমার কি কোনদিন মনে হয়েছে তুমি যে ছন্দে বৈঠা চালাও তার সুর লয় আমার বুকের ভেতর তান্ডব চালায়? জানি ভাবনি। ভাববার সময়ই বা কোথায় তোমার? তুমি এখন অষ্টপ্রহর বিষয়াসক্তিতে মত্ত। আমার উন্মাতাল আহ্বান তোমার কানে পৌছবেনা এই স্বাভাবিক!
আমার খুব কান্না পায় জানো তো! পায় আবার পায়না। শুন্য চোখে কী কাঁদা যায় বল? তুমি নেই, আমার ঘর খালি, আঙিনাও আগাছা ভরতি! জানলা দিয়ে আকাশ দেখিনা, দেখিনা জ্যোৎসা।
কত পূর্ণিমা এল গেল, আমার ঘরে তার একবিন্দু আলোও আসেনি। আবছায়া অন্ধকারে নিজের ছায়া দেখে ভয়ে কুঁকড়ে থাকি আমি। আগের মত কারও বুকে মুখ লুকিয়ে সাহস খোঁজা হয় না আমার। ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যে ছ'টায় এসে থামলে মন নাচেনা বহুদিন। তুমি আসবেনা জেনেও দরজায় দাঁড়িয়ে থাকি, ভাবি যদি আমারই মত ভুল করে আসো কোনদিন! সবই ভ্রম! যেন ভ্রমটাই ভ্রমর হয়ে জীবনের সমস্ত সঞ্জিবনী শুষে নেয়।
আমি শুধু চেয়ে থাকি অপলক!
তুমি কেমন আছ? গতকাল বলছিলে "ভাল নেই আমি"। "ভালো নেই" শুনে আমি কেমন করে ভাল থাকি বল? সৃষ্টিকর্তা পাষন্ডের মত আমাদের আলাদা করে দিলেন কোন মঙ্গলের আশায় তা শুধু তিনিই জানেন! লোকে বলে আমি মন্দ মেয়ে। সেই মন্দের মাঝে যেটুকু "ভাল" সে যে স্রেফ তোমার জন্য তা আমার চেয়ে বেশি আর কে জানে বল! আমরা দুজনেই জানতাম "ভাল থাকব না"। অথচ দু'জনেই কেমন উঠে পড়ে লেগেছিলাম একে অন্য কে ছাড়ব বলে! বল এমনি বিনাশী তুমি, আমি ছাড়া আর কে হতে পারত? প্রতি মুহূর্ত ভেবেছি "ভুল করছি"!তবুও সেই ভুলের নেশাই পেয়ে বসেছিল দুজনকে। ছন্নছাড়া হয়ে আজ পথে পথে ঘুরছি।
হয়ত এই পথের শেষেই দু'জন মিলব আবার!
" তুমি নেই তাই তোমার জন্য দহন সারাবেলা
তুমি নেই তাই নিজের প্রতি নিজের অবহেলা
তুমি নেই, সেই তুমি এই আমি একা
তুমি নেই, নেই সুখ, নেই ভাল থাকা "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।