আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবি রাজের কবিরাজি : সিজোফ্রেনিয়া(schizophrenia) সম্পর্কে জানুন।


সিজোফ্রেনিয়া(schizophrenia) একটি গুরুতর মানসিক রোগ। এটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে,"চিন্তাশক্তি(thought) এবং উপলব্ধির(perception) গঠনগত ও বৈশিষ্ট্যমূলক বিচ্যুতি এবং যেখানে আবেগের অনুপযুক্ত অথবা ভিন্নতর বহিঃপ্রকাশ(inappropriate/blunted affect) হয়। "কিন্তু মজার ব্যাপার হল,এসব ক্ষেত্রে রোগীর চেতনা এবং বুদ্ধিবৃত্তি ক্ষমতা সাধারণত বজায় থাকে। বুঝতে পারছি,ডেফিনেশানটি বেশ খটমটে হয়ে গেল,বিশেষত নন-মেডিকেল পাঠকদের জন্যে। যাহোক সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণসমূহ জানলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে আশা করি।

সিজোফ্রেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো হল- A = Auditory hallucination(এই সিরিজের পর্ব ১-য়ে বিশদভাবে বর্নিত,পুনরায় দেখে নিন-ইলিউশন(illusion) এবং হ্যালুছিনেশন(hallucination ) B = Broadcasting,insertion/withdrawl of thought(রোগী কমপ্লেইন করবে,তার চিন্তাসমুহ বাইরে ছড়িয়ে যাচ্ছে কিংবা তার মাথায় কেউ কিছু উদ্ভট চিন্তা ঢুকিয়ে দিচ্ছে কিংবা কেউ তার মাথা থেকে গোপন চিন্তা বের করে নিচ্ছে। ) C = Controlled feeling(রোগী কমপ্লেইন করবে,তার অনুভূতি,উদ্যম এবং কর্ম বাইরের কেউ প্রভাবিত করছে। ) D = Delusion(এই সিরিজের পর্ব ২-য়ে বিশদভাবে বর্নিত,পুনরায় দেখে নিন-ডিল্যুশন ) এছাড়া অন্যান্য সিম্পটমগুলোর মধ্যে নতুন অর্থহীন শব্দের উৎপত্তি(neologism),চিন্তাক্রমের বিক্ষেপ(breaks in train of thought),অসামঞ্জস্যপুর্ণ কথাবার্তা(irrelevant speech),অদ্ভুত অথচ অপরিবর্তনীয় দেহভঙ্গি(catatonia),ঋণাত্মক আচরণ(negetivism),বাকশক্তিহীনের ন্যায় আচরণ(mutism) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের মডালিটি অনুসরণ করা হয়। ১।

ঔষধ(pharmacological) বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-সাইকোটিক ড্রাগ রয়েছে। চিকিৎসক বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সঠিক ড্রাগটি নির্বাচন করেন। যেমন,প্রায় সকল ঔষধের কার্যকারিতা সমপর্যায়ের যদিও ব্যক্তি বিশেষে বিশেষটি ভাল কাজ করে। অধিক শক্তিশালী ড্রাগ অ্যান্টি-সাইকোটিক হিসেবে ভাল কাজ করে,কিন্তু এক্সট্রা-পিরামিডাল(extra-pyramidal) সাইড এফেক্ট বেশী হয়। ২।

মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক সহায়তা(psychosocial support) রোগী এবং তার পরিবারকে কাউন্সেলিং,সামাজিকভাবে সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা এবং পুনর্বাসন খুবই জরুরী। বিশেষত পাগল বলে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নতার বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ৩। ইলেক্ট্রো-কনভালসিভ থেরাপি(electroconvulsive therapy) এই রোগের গতিধারা(prognosis) মোটামুটি নিম্নরূপ- ২০% ক্ষেত্রে রোগী সম্পুর্ণভাবে সুস্থ হয়। ৩৫% ক্ষেত্রে রোগী কিছুদিনের সম্পুর্ণভাবে সুস্থ হয়,অতঃপর পূর্বাবস্থা ফিরে আসে।

৩৫% ক্ষেত্রে রোগী অসম্পুর্ণভাবে সুস্থ হয় এবং মাঝে মাঝে পূর্বাবস্থা ফিরে আসে। ১০% ক্ষেত্রে রোগী ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। আরও ভালভাবে জানতে চাইলে,SCHIZOPHRENIA IN DETAIL পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মতামত জানালে খুশি হব।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।