আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

DNA! সকল জীবের গঠন কাঠামো ও অস্তিত্ব নির্নয়কারী

ভিন্ন কিছু। মহৎ কিছু

DNA কি? ডিএনএ( DNA) এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড। এটি একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রনের জিনগত নির্দেশ ধারন করে। DNA ব্যাখ্যার আগে জীবদেহে এর অবস্থান টা একটু দেখে আসি। সকল জীব কোষ দ্বারা তৈরি।

যা সকলেরই জানা। এই কোষের ভিতর থাকে নিউক্লিয়াস, সাথে আরো অনেক কিছু আমি শুধু DNA এর কথাই লিখি । নিক্লিয়াসের ভিতর থাকে ক্রোমোসোম। আর ক্রোমোসোম তৈরি হয় নিউক্লিক এসিড দ্বারা। এই নিউক্লিক এসিড দু প্রকারঃ DNA ও RNA।

ক্রোমোসোমে DNA ছাড়াও আরো অনেক কিছু রয়েছে। তবে DNA এ হচ্ছে এক মাত্র স্থায়ী পদার্থ এবং এটি বংশগতির ধারক ও বাহক। বংশগতির ধারক ও বাহক বলতে বুঝায় একটি সন্তান জন্মালে সে কি রকম হবে। কার মত হবে। মায়ের মত না বাবার মত।

নানার মত নাকি দাদার মত ইত্যাদি। দেখতে সুন্দর হবে না কালো হবে, নাক কয়টা থাকবে চোখ কয়টা থকবে ইত্যাদি। জন্ম থেকে যদি কেউ কোনো সমস্যা নি জন্মায় তার কারন হচ্ছে এ DNA । বোবা বা কানা ইত্যাদি সকল জন্মগত সমস্যা DNA এর কোন সমস্যার কারনে হয়। এমন কি হিজড়া সন্তান জন্মায় এ DNA এর কোন সমস্যার কারনে।

একেক জনের চেহারা একেক রকম হয় এ DNA জন্য ই। এমন কি কারো DNA প্রিন্ট এর সাথে কারো টা মিলবে না। আর এটি প্রথম আবিষ্কার করেন Jon Miecher 1886 সালে। আসলে উনি এটা আবিস্কার করেননি science ছেলে মেয়েদের জন্য বিশাল এক বোঝা তৈরি করেছেন। সকলেরই এটা পড়তে একটু সমস্যা হয়।

তবে পড়তে অনেক মজা লাগে। নতুন কিছু জানা যায়। আপনি কত বড় একজন মানুষ। আর আপনার সম্পূর্ণ শরীর নিয়ন্ত্রন করে এই ক্ষুদ্র DNA. আর DNA এর যে অংশ এ সব তথ্য বহন করে তাকে বলে জিন। আপনি যে খাবার খান তা কিভাবে কি করতে হবে এ DNA বসে বসে নির্দেশ দেয়।

দেখবেন কাউকে অনেক ঘামায় এবং দূরগন্ধ সৃষ্টি হয়। আবার কাউকে কোন ঘাম ই দেয় না। এ সকল হয় DNA এর নির্দেশে। যাক DNA এর কাজ সম্পর্কে অনেক কিছুই লিখলাম, কেমন হল জানাবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।