আরেকটা প্রেমের করুন সমাপ্তি! ছেলেটা আমার সাথেই থাকত, গত ছয় বছরের প্রেম. ছেলে স্বশিক্ষিত (পড়ালেখা শুন্য ) এন্ড মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী। দুই ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা নিন্ম মধ্যবিত্ত। কপোত কপোতী প্রেমে টুই টুম্বর, ছেলে অনেক কষ্ট করে রিচার্জ করে মোবাইল ব্যালান্স, কল্পনায় সংসার সাজায়.. মেয়ে বলে.. শুধু তোমাকেই চাই. আর কিছু জীবনে পাই বা নাই...!!!
মেয়ের বাবা রাজি এই সম্পর্কে.. শর্ত একটাই, মেয়ের পরীক্ষার পরে বিয়ে হবে.কিন্তু মেয়ে সবসময় ছেলে কে বলে.. এই ঈদ এর পরেই বিয়ে করতে কারণ পরীক্ষার পরে নাকি তার ফ্যামিলি ছেলের সাথে বিয়ে না ও দিতে পারে.. কোনো খরচ করার দরকার নাই যেহেতু ছেলের টাকা নাই এখন.
আমি তখনই বুঝতে পারলাম কোনো একটা ঝামেলা হবে, মেয়েকে কল করে বললাম যে আমাদের সবার উচিত মেয়ের বাপের দেওয়া সময়ের জন্য অপেক্ষা করা. তবুও মেয়ে যদি মনে করে যে অপেক্ষা করা উচিত হবে না..তাহলে যেন তার বাবাকে আমাদের সাথে কথা বলতে বলে.
ছেলে-মেয়ে বুঝলো যে আমার থেকে কোনো হেল্প পাবে না বা বাধা দেব বাপের অমতে বিয়ে করতে. তাই ছেলে আমার অগোচরে বাড়িতে চলে গেল.. মেয়ের কথা মত আত্তীয়দের পাঠালো মেয়ের বাপের সাথে কথা বলতে..
ভাল, সব ঠিক ছিল, ছেলের একটা টাকাও দাবি নেই.. তবুও বিয়ে টা ভেঙ্গে গেল কারণ মেয়ে ৩ ভরি গহনা চায় এখনি। জানে ছেলের বিয়ের খরচ নেই এখন, মেয়ের কথাতেই সে আগ্রহী ছিল এখন বিয়ে করতে.
ছেলের স্বপ্নের জগত চুরমার হয়ে গেল যখন দেখল মেয়ে নিজের মুখে এই দাবি করছে..একটু স্বান্তনা পেত যদি মেয়ের বাবা মা এই দাবি করত..
কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম যে..
মেয়েরা (মায়েরা ছাড়া ) জন্মগত ভাবেই লোভী এবং প্রতিহিংসা পরায়ন, কিন্তু মুখোসটা অনেক রংচঙে, শুধূ বিয়ের পরেই তারা সেটা খুলে!
আফসোস দিল্লিকা লাড্ডু !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।