বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার পদ চারণা খুব বেশী দিনের নয়। সবে তো ৮ মাস পার করলাম মাত্র। আগে থেকেই ব্লগ সম্পর্কে জানা থাকলেও ব্লগে কখনো আসা হয়নি ।
এ বছরই (২০১০ সাল) বিবিসি-বাংলায় সান্ধ্য অনুষ্ঠানে ব্লগ নিয়ে একটি আলোচনা প্রচারিত হয়। সেই আলোচনা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই রাতেই রেজিস্ট্রেশন করি সামহোয়্যার ইন-এ।
রেজিস্ট্রেশন করার পর যে কাজটি করা যায় তাহলো নতুন লেখা পোস্ট করা যায় এবং নিজের পোস্টে মন্তব্য করা যায় কিংবা নিজের পোস্ট কেউ মন্তব্য করলে তারা জবাব দেয়া যায়। অন্যের কোন পোস্টে মন্তব্য করা যায় না। কিন্তু যেহেতু পোস্ট প্রথম পাতায় আসে না তাই প্রথম দিকের লেখায় সাধারণত কোন মন্তব্য আসেনা ।
কারণ পোস্টকারী নিজে ব্যতীত অন্য কোন পাঠক তা পড়ার সুযোগ পায় না। প্রথম দিনে পর্যব্ক্ষেণরত থাকা অবস্থায় তো আর আমার লেখা প্রথম পাতায় আসবে না। তারপরও আমি আমার প্রথম পোস্টটি পোস্ট করে দিলাম। যথারীতি প্রথম পোস্টের পাঠক আমি নিজেই । আজ পর্যন্ত আমার সেই পোস্টে কোন পাঠকের মাউসের ক্লিক পড়েনি।
এটা যে কেবল আমার ক্ষেত্রে ঘটেছিল তা নয় বেশীর ভাগ নতুন ব্লগারের পাঠক নিজেই হয়। তবে সেই রাতেই আমি যে দ্বিতীয় পোস্টটি করি তার পাঠক পেয়েছিলাম।
আমার প্রথম পোস্টের লিঙ্ক: পর্যটন শিল্পের বিকাশ করুন
প্রথম পোস্টটি অনলাইনে দেখে আমার বেশ ভালই লাগল। যদিও কোন পাঠক ছিল না।
সেই রাতেই খাবারের পর আরেকটি পোস্ট রচনা করলাম।
পোস্টও করলাম।
আমার দ্বিতীয় পোস্টের লিঙ্ক: নিহিম তাজরিয়ান: আমার মামণি
ভাগ্যক্রমে আমার এই পোস্টে এক জন ব্লগার তার মাউসের ক্লিক করলেন।
আমার দ্বিতীয় পোস্টের প্রথম পাঠক তথা মন্তব্যকারী হলেন ব্লগার তিমির।
লিঙ্ক: ব্লগার তিমির
এই পোস্টের দ্বিতীয় পাঠক হলেন আমার অনেক প্রিয় এক জন ব্লগার হাম্বা:
লিঙ্ক: ব্লগার হাম্বা
জনাব হাম্বা অনেক রসিক এক জন মানুষ। তার লেখালেখি পড়ে মনে হয় তার নিবাস কুষ্টিয়ায়।
জনপ্রিয় ব্লগার রাজ সোহানের লেখাও আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
সংযুক্ত আরব আমীরাত নিবাসী জনাব মোহাম্মদ লোমান এর লেখাও আমি ভাল ভাবে পড়ি।
আরেক জন ক্ষুরধার লেখক হলেন লেখাজোকা শামীম। তার লেখা পড়ে আমি গভীর চিন্তার খোরাক পাই। আরো অনেকের লেখাই আমার অনেক ভাল লাগে।
এই লিস্ট অনেক দীর্ঘ হবে বলে আর বাড়াচ্ছি না।
এই ৮ মাসে অনেক পোস্ট পড়েছি। অনেক মজা পেয়েছি। শিখেছি অনেক। তবে আমার সব চেয়ে বড় শিক্ষা হল – প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাই অনেক বেশী কট্টর আর উগ্র।
এতো বেশী কট্টর যে তাদের সমর্থিত দলের প্রধান ভুল বা অন্যায় করলেও তারা কষে তাদের সমর্থন চালিয়ে যায়। এটা গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই শুভ হতে পারে না। তাদের সমর্থনের ধরণ দেখে মনে হয় তারা সবাই যেন পার্টির কার্যকরী কমিটির কোন সদস্য। এই সুযোগ নিয়েছেন আমাদের নেতারা। বিএনপির নেতাবৃন্দ মনে করেন- ১৬ কোটি মানুষই তাদের কর্মী সমর্থক।
আবার আওয়ামীলীগের নেতাবৃন্দ মনে করেন- ১৬ কোটি মানুষই তাদের কর্মী সমর্থক। আমি যতদুর সম্ভব আমার পোস্টে রাজনীতি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করব। যে দেশের নেতারা স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌছে দিতে পারেননি সেই দেশের রাজনীতি নিয়ে আমার আর কোন আগ্রহ নেই।
রাজনীতির অমর কাব্যের কচকচানি তারাই চর্চা করুক যারা আছে মহাসুখে। আমি সাধারণ মানুষের দুই একটা সুখ-দুখের কথা ব্লগের মাধ্যমে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
সে যাক গে। আমি সাধারণ আম জনতার একটা আম। আমি কোন পার্টির সমর্থন করার দরকার মনে করি না। নিজের খাই । নিজের পড়ি।
নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোতে আমি বিশ্বাসী নই। কোন পার্টি ভুল করলে পরবর্তী নির্বাচনের সময় সিলের গুতোয় শ্রাবণ মাসে ভরা নদীর পানিতে ফেলে দেব। সিলের গুতোর অনেক ক্ষমতা। এটাই আপাততঃ জানি।
অনেক ব্লগার আছেন তারা খালি নোংরা রাজনীতি নিয়ে পোস্ট দেন।
রাজনীতির পোস্ট আর পড়তে মন চায় না। বাংলাদেশের রাজনীতি যদি ভাল হত তাহলে প্রাণ খুলে পড়তাম। কিন্তু এগুলো এখন অনেক অসহ্য লাগে। অনেক পচা লাগে।
অনেক ব্লগার আছেন খুব ভাল লিখেন।
তাদের অনেক পাঠক। তারা মন্তব্যও পান অনেক । কিন্তু তারা বেছে বেছে অল্প কিছু মন্তব্যের জবাব দেন। এরা মনে হয় ভিআইপি ব্লগার। সবার জবাব তাই তারা দেন না।
আমি অনেক ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য করে কোন জবাব পাইনি। ৬/৭ দিন পরে ও দেখেছি তারা জবাব দেননি।
এই ব্লগে কপি-পেস্ট ব্লগারের সংখ্যাও কম নয়। অনেক কপি-পেস্টার আছেন যে, তারা তাদের কপি-পেস্টের পোস্টে বলতেও চান না যে তার পোস্টটি কপি-পেস্ট।
ব্লগিং করতে গিয়ে আমার আরেকটি উপলব্ধি হয়েছে সেটা হল- লেখক হবার চেয়ে পাঠক হওয়া অনেক অনেক বেশী নিরাপদ।
পাঠকের কোন দায়বদ্ধতা নেই , নেই কোন জ্বালা। পক্ষান্তরে, লেখকের অনেক দায়বদ্ধতা আছে। লেখক হবার অনেক জ্বালা। সেই জ্বালায় জ্বলছেন আমাদের অনেক নবীন লেখক। সেই জ্বালা থেকে কোন ব্লগার কি মুক্ত আছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।