আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দা নাইনথ গেট(The Ninth Gate) : আমার প্রিয় সুপারন্যাচারাল মিসটেরি থ্রিলার মুভি


দা নাইনথ গেট(The Ninth Gate) আমার প্রিয় থ্রিলার মুভিগুলোর একটি। ১৯৯৯ সালে নির্মিত এই মুভিটি পরিচালনা করেছেন রোমান পোলনস্কি,অভিনয় করেছেন জনি ডেপ,ফ্র্যাঙ্ক লাঙ্গেলা,ইমানুয়েলে সেইনার প্রমুখ। মুভিটি দা ক্লাব দুমাস নামে একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এই মুভি নিয়ে আমার রিভিউ লেখার কারন একটাই-আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর মধ্যে যেগুলো সর্বাধিক অবমুল্যায়নের শিকারের তার তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে দা নাইনথ গেট। আমার মতে,মুভিটি পোলনস্কি কর্তৃক নির্মিত মাস্টারপিস গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এ যাবত নির্মিত সুপারন্যাচারাল মিসটেরি থ্রিলার ফিল্ম গুলোর একটি।

ট্রেইলারটি দেখুন The Ninth Gate ট্রেইলার ছবির প্লট মোটামুটি এরকম - বরিস বলকান(Frank Langella) নামে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি সতেরশ শতাব্দীতে রচিত "The Nine Gates of the Kingdom of Shadows" নামে একটি বই সংগ্রহ করেন সম্প্রতি আত্মহত্যা করা একজন ব্যক্তির কাছ থেকে। এই বইয়ের লেখক ছিল শয়তান নিজে। বলকান ধারণা করেন,বইয়ের নয়টি অনুচ্ছেদ যদি ঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট করা যায় এবং শ্লোকগুলো যদি সঠিকভাবে উচ্চারণ যায় তাহলে শয়তানের বাৎসল্য অর্জন সম্ভব। এই বইয়ের আরো দুই কপি পৃথিবীতে এখনো বিদ্যমান আছে,এটা জানতে পেরে বলকান ডিন করসো(Johnny Depp) নামক ব্যাক্তিতে বই সংগ্রহে নিযুক্ত করেন। যাতে করে জালিয়াতি দুই কপি বই থেকে প্রকৃত বইখানা আলাদা করা যায়।

ইতোমধ্যে করসো আবিষ্কার করে যে তার এক বন্ধু যার কাছে সে বইখানি লুকিয়ে রাখতে দিয়েছিল,সে আত্মহত্যা করেছে এবং তার মৃতদেহ এমন ভাবে ঝুলে আছে যা ওই বইয়ের একটি চিত্রের সাথে হুবহু সাদৃশ্যপূর্ণ। করসো ওই বই নিয়ে স্পেনে যায় এবং সেজিনা ব্রাদার্স নামে দুই জমজ ভাইয়ের সাথে দেখা করে। তারা তাকে দেখায় যে বইয়ের এনগ্রেভিংয়ে LCF লেখা আছে,যা শয়তানের নাম Lucifer কে নির্দেশ করে। করসো পরবর্তীতে পর্তুগালে যায় এবং ফারগাস নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে যার কাছে ওই বইয়ের দ্বিতীয় কপিটি সংরক্ষিত আছে। করসো আশ্চর্যান্বিত হয়ে আবিস্কার করে যে,ফারগাসের বইয়ের এনগ্রেভিংয়ের সাথে তার বইটির অন্তত তিনটি জায়গায় গরমিল রয়েছে।

এর মধ্যে করসোর সাথে একজন অদ্ভুত একটি মেয়ের(Emmanuelle Seigner) সাথে পরিচয় হয়,যে নিজেকে করসোকে সাহায্য করার বলকান কর্তৃক নিযুক্ত বলে দাবী করে। তারা দুজন ফারগাসের বাড়িতে গিয়ে তার মৃতদেহ খুঁজে পায় এবং দেখে নাইনথ গেটের দ্বিতীয় কপিটি খোয়া গেছে। করসো ওই মিস্টেরিয়াস মেয়েটিকে নিয়ে ফ্রান্স যেয়ে ব্যারোনেস কেসলারের সাথে দেখা করে,যে ওই বইয়ের তৃতীয় কপিটির মালিক। প্রাথমিকভাবে কেসলার করসোর পরিচয় জানতে পেরে তার সাথে সাক্ষাতের অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু করসোর চাতুর্যের কারণে সে তাকে বইটি দেখাতে বাধ্য হয়।

করসো এই বইটির এনগ্রেভিংয়েও তিনটি অমিল খুজে পায়। এর মাঝে কেসলার খুন হয়ে যায়। করসো হঠাৎ করে বের করে ফেলে,তিনটি বই-ই আসলে জেনুইন,শয়তানকে পাওয়ার নয়টি গেট মূলত এই এনগ্রেভিংয়ে LCF সিগনেচারের কম্বিনেশনের উপর নির্ভর করছে। অনেক কিছু বলে ফেললাম। করসো বা বলকান সেই আরাধ্য নয়টি গেট ভেদ করতে পেরেছিল কিনা জানতে চাইলে মুভিটি নিজের দেখতে হবে।

ডাউনলোড করুন এখান থেকে... The Ninth Gate ভাল লাগলে জানাবেন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।