আমি আমার মতো
হায়! আমাদের ওয়াটার বাস প্রকল্প ...... শুরু হতে না হতেই শেষের কবিতা!
কয়েকদিন আগে ঢাকা মহানগরের যানজট নিরসনে ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু করা সরকারের ‘ওয়াটার বাস’ প্রকল্পের লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছে মাত্র তিন মাসের মধ্যে। যাত্রীসেবা দিতে ব্যর্থতার কারণে বিপুল লোকসানের শিকার এই প্রকল্প এখন বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি মালিকানায় আগামী মার্চ মাস থেকে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি খাতে নিটল-নিলয় গ্রুপের পরিচালনায় দেওয়া হচ্ছে এই বাস। ওই উদ্যোক্তারা ভারতের ম্যারোলিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস থেকে আধুনিক ও নতুন মডেলের চারটি ওয়াটার বাস আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালনায় গত ২৮ আগস্টে চালু হওয়া এম এল বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নামের দুটি ওয়াটার বাসের মধ্যে বর্তমানে একটি মেরামতে আছে।
আরেকটি চলছে ঢিমে তালে, যা বন্ধ হয়ে যেতে পারে যেকোনো সময়। প্রতিদিন এই বাস পরিচালনায় ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় হলেও আয় হচ্ছে না তিন হাজারও। এই অবস্থায় সরকারি খাতে ওয়াটার বাস পরিচালনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যে কারণে ব্যর্থ: তাড়াহুড়া করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ওয়াটার বাস দুটিতে শুরু থেকেই নানা যান্ত্রিক ও কারিগরি ত্রুটি দেখা দিচ্ছিল। ফলে দুই-এক দিন পরপরই এগুলো বন্ধ থাকে।
নির্ধারিত কোনো জেটি না থাকায় সাধারণ নৌকার মতো বাস দুটিকে ভাঙাচুরা ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে ভেড়াতে হয়। বাস থেকে নামার সিঁড়ি এতটাই উঁচু যে বয়স্ক লোকজনের ওঠানামা করতে সমস্যা হয়। এই নৌপথে কোথাও যাত্রীছাউনি নেই। বাস দুটির জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা হয়নি। বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পালা করে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি করে অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাস চালু করায় এসব সমস্যা রয়ে গেছে।
সরেজমিনে সদরঘাট: গতকাল সদরঘাটে গিয়ে একটি ওয়াটার বাসে দুই-তিনজন যাত্রী দেখা যায়। বিকেল তিনটায় সেটি ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে সন্ধ্যা ছয়টায়। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, দেড় ঘণ্টা পর পর বাস ছাড়ার কথা থাকলেও কখনোই তা ছাড়ে না। যে বাসটি এখন চালু আছে, সেটির অবস্থা এত খারাপ যে যাত্রীরা উঠতে চান না।
যাত্রীদের একই অভিযোগ, এ নৌযান ব্যবহার করতে গিয়ে তাঁদের সময় বাঁচানোর বদলে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে।
নতুন বাস কেমন হবে: বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রথম পর্যায়ে চারটি ওয়াটার বাস আনবেন, পর্যায়ক্রমে ২০টি বাস আনা হবে। প্রতিটি বাস হবে ৬০ সিটের। দশ মিনিট পর পর বাস ছাড়বে। যেখানে বাস থামবে, সেখান থেকে অন্য পরিবহনের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রথমে বাসগুলো চলবে টঙ্গী থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে রুট বাড়ানো হবে। তবে নতুন বাসের ভাড়া বাড়বে না, ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যেই থাকবে। View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।