আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
চারপাশে এতো বাঁধা তবুও কিছুই থেমে নেই,
আমি বদলাচ্ছি, তুমি বদলাচ্ছ,আপনি এবং আপনারা বদলাচ্ছেন,
দিন বদলের এই মহোৎসবে আমরা কেউ পিছিয়ে নেই,
কোছভর্তি লালসা,মাথাভর্তি কুটনৈতিক বুদ্ধিমত্ত্বার সম্ভার নিয়ে
মা স্বরস্বতীর বীনার তারে ঝুলে আছে আমাদের শৈল্পিক অভিযোজন।
কেউ কোথাও নেই অথচ সবাই আছে,
একি অসহ্য রকমের রহস্যের জট ?
প্যাঁচ খুলতে না খুলতেই শেকড় উধাও,
বাহ্ ! বেশ মজার খেলাতো,
আসুন আমরা সবাই এই অদ্ভুদ শুডোকু খেলায় শামিল হই,
তুরূপের তাস হাতে নিয়ে অন্যরা যখন আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারনের জুয়ায় মত্ত্ব,
তখন আর শুধু শুধু নিজের ভাবনা ভেবে কি হবে,
আসুন সজোরে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলি
“ ইচিং বিচিং চিচিং ছাঁ, প্রজাপতি উড়ে যা”
তারপর স্নান শেষে ফুরফুরে মেজাজে বলি
“ আসুন বদলে গিয়ে বদলে দিই”।
বামপাশে গলির কোনায় আঁধার মেখে দাড়িয়ে থাকা একজন মানুষ
ডানপাশে ফাঁপানো চুলে চিমনি মুখে অপেক্ষমাণ কয়েকটি ক্ষিপ্র তারূন্য
সামনে টয়োটা, বি এম ডব্লিউর ভেতর অসহ্য মেজাজে কযেকটি বেটপ শরীর
পেছনে বস্তা কাধেঁ গলির ডাস্টবিনে আমাদের কথিত ভবিষ্যত।
তবে যাই হোক না কেন , মোদ্দাকথা আমার বদলাচ্ছি ;
দামি ঠিস্যু পেপারে সঞ্চিত কয়েক ফোঁটা আনবিক জলের দাম দিতে
আমরা কয়েক সমুদ্র জলকে উপেক্ষা করতে জানি,
বেপরোয়া সত্যের কই মাছগুলোকে শাক-চাপা দিতে না পারলে
নিয়তান্ত্রিকভাবেই কবর দিতে পারি কৃতজ্ঞতার ছাঁইপাশ।
“ও আমার নতুন শার্টে অযথা থুতু ছিটিয়ে দিলো,
আমি রেগেমেগে কিছু বলতেই ধারালো কুনুই দিয়ে আমার
বুক বরাবর বসিয়ে দিলো তীব্র যন্ত্রনার শেল,
অথচ কি আশ্চর্য দেখুন! এসব দেখে শুনেও কেউ কিচ্ছু বলছেনা” ।
ও এই কথা, রাগ করোনা ছোট্র সোনা এতো সামান্যতে
অভিমান করলে কি চলে ? কেন ? সেই বিখ্যাত কবিতাটি পড়োনি ?
“ বিশ্ব জুড়ে পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র.......”
তোমাকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করবার এটি একটি অভিনব পদ্ধতি;
কেউ কিছু বলেনি ,কেউ কিছু বলেনা, দর্শনপ্রিয়তাই আভিজাত্যের প্রতীক,
হাত বাড়িয়ে সূর্য ছূতে যাওয়া প্রীতিলতা- সূর্যসেনের
স্বপ্নেরা বাকরূদ্ধ হয় পতনের শব্দ শুনে ,
ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়ানো ক্ষুদিরামের ওষ্ঠ কেঁপে ওঠে পুনর্জম্নের বিভ্রান্তিতে।
গাঢ় শীতে ছেড়া চাঁদর গায়ে জড়িয়ে আঁকা-পথে হেঁটে চলেছে একজন শতবর্ষী বৃদ্ধ,
তার একহাতে ধরা কেরোসিনের শিঁশিঁ,অন্যহাতে ময়লা বাজারের ব্যাগ
পেছনে ছুটে আসা কয়েকটি গেয়োঁ কুকুরের চোখে মাংসের দুর্লভ চাহনী,
তারা মোটেও জানেনা বাজারের ব্যাগভর্তি
মাংস কিংবা তরকারীর পরিবর্তে রয়েছে পাঁচমিশালী ভিক্ষার চাল,
তিনি বাজারে চলেছেন শুধু একটুখানি কেরোসিনের প্রত্যাশায়;
সাবধান এটিকে আবার স্বদেশ মাতৃকার প্রতীকি বলে ভূল করবেন না,
আমরা প্রতি চার বছরে একবার দেশের চেহারা পাল্টে দিই ঠিক
কিন্তু বয়স বাড়তে দিইনা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।