আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শত বছর আয়ুর পূর্বাভাস ভুল

ভালো ..তবে কালো

কে কতো বছর বাঁচবেন তা আগে থেকেই শতভাগ বলে দেওয়া যাবে বলে গবেষকরা দাবী করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, জিন গবেষণা করে কে কতোদিন বাঁচবেন তা মোটেই শতভাগ বলা সম্ভব নয়। গবেষকদের দাবি, জিনোম গবেষণা করে শতকরা ৭৭ ভাগ নিখুঁতভাবে বলে দেয়া যাবে কে কতো দিন বাঁচবেন। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যারা একটি নির্দিষ্ট লংজিভিটি জিন ধারণ করেন তারা বয়সের গণ্ডিকে শত বছরেরও বেশি নিয়ে যেতে পারেন।

সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, এই গবেষণার ফলে কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি রোধের একটি উপায় বের করা সম্ভব হবে। গবেষকরা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা ১ হাজার মানুষের জিন গবেষণা করে দেখেছেন তাদের সবার মধ্যেই ‘জেনেটিক সিগনেচারস অফ এক্সসেপশোনাল লংজিভিটি’ জিনের অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি বস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, যে ডেটা ব্যবহার করে জীবনদৈর্ঘ্যরে স্থায়ীত্বকাল শতভাগ বলে দেবার দাবি করেছিলেন গবেষকরা সে ডেটা সংগ্রহে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা ছিলো। গবেষক পওলা সেবাসটিয়ানি জানিয়েছেন, জিনোম গবেষণা করেই জীবনমৃত্যুর শতভাগ পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। আর এই পূর্বাভাস সঠিক নাও হতে পারে।

কেবল দীর্ঘ জিনোম হলেই বেশি দিন বেঁচে থাকা যাবে তা নয়, বরং পরিবেশ এবং জীবনধারণও অনেক ক্ষেত্রে শত বছর পেরিয়েও অনেকদিন পৃথিবীর আলো-বাতাস ভোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।