আমি এমন কেউ না। খুব সাধারণ মানুষ। তোমার মত, তোমাদের মত। হাসি খুশি থাকি, আনন্দে থাকার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে হতাশ হয়, অভিমান করি।
ভাবি বেঁচে থেকে কি হবে। একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারি। নিজের মাথার পিছনে আনমনে হাত রাখি। মুচকি হেসে ভাবি, এত ভালবাসা আমি কোথায় কয়েকটা ব্যাপার একটু ক্লিয়ার করে নেই।
১/ জামাত শিবির
২/ যুদ্ধপরাধি
৩/ থাবা বাবা/ এথিসট
৪/ শাহবাগ
১/জামাত শিবিরঃ কোন দেশে এত গুলো বছর ধরে ধর্ম ভিত্তিক একটা দলকে রাজনিতিকরা মদত দিল।
আজকে উঠে পড়ে লাগল সেটা নিষিদ্ধ করতে। সেটা রাজনিতিক স্বার্থ ছাড়া কিছু না। আমার ভাবতে অনেক লজ্জা লাগে এই তরুণ প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে ভুল কিছু তথ্য! আমরা চাইলেই ওদেরকে দুই দিনে নিষিদ্ধ করে ঝামেলা চুকায়ে ফেলতে পারি। কিন্তু তা হবে কেন? সাপকে না মেরে ঝুলায় রাখতে এদেশের কিছু মানুষের / সরকারের উৎসাহ বেশি। আমি চাই! ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ হোক।
তারমানে কিন্তু "ধর্মভিত্তিক রাজনীতি" না। এখানে ধর্ম আসলো কেন? জামাত শিবির খুবই নগন্য, ফালতু একটা ইসু।
২/ যুদ্ধপরাধিঃ এ ব্যাপারে কিছু বলার নাই! আমি যদি বলি। সব গুলো যুদ্ধপরাধির একটা তালিকা বানিয়ে তাদেরকে সবাইকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারা হোক বা ফাসি দেয়া হোক। তাহলে অনেকেই নড়েচড়ে বসবে।
কারণ সেখানে কারো না কারো স্বার্থ জড়িত।
৩/ থাবা বাবা/ এথিস্টঃ একজন নাস্তিক মানুষ কি লিখেছে বা বলেছে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার! গ্রহন করা না করা মানুষের ব্যাপার। আমরা কেউ অন্ধ না। আমাদের সাথে অন্যায় অবিচার এবং আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য জামাত শিবিরের পাশাপাশি ঐসব এথিস্টদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ দেশের মানুষ অত বোকা না।
ধর্মকে যারা গালি দেয়, যাদের নিজেদের কোন ধর্ম নাই। আমরা তাদেরকে দেশ রক্ষার্থে কতটুকু বিশ্বাস করতে পারি।
৪/ শাহবাগঃ গনজাগরন মঞ্চে মুহুর্মুহু শ্লোগান দিয়ে আমিও খুব আবেগি হয়ে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম আমাদের দাবি, চাওয়া আমরা পূরণ করতে পারবো। পড়ে বুঝলাম গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করা মাইক হাতে সেই মানুষটি আসলে কোন দলের স্বার্থে কাজ করছে।
পিছনে যেয়ে বিরানির প্যাকেট সাবাড় করছে। আক্ষরিক অর্থে আমার সকল বিশ্বাস ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আমি জানি এদেশের মানুষ চাইলেই তাঁদের দাবি পূরণ করতে পারবে। সেটা কোন তথ্য বা উপাত্ত বা ব্লগ থেকে না। যাচাই বাছাই করে সঠিক পথটা বের করে।
শাহবাগের নাম বিক্রি করে অনেকেই নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। কিছু হলেই শাহবাগের দোহাই দিচ্ছে। ঘৃণা হয়, লজ্জা হয়। শাহবাগে নিজেদের দাবি মেটাতে ১৮ দিন-রাত নাচ গান না করে সরাসরি সরকারকে ধরা হোক। না না ! তাও হবেনা।
সবাই আমাদেরকে আমাদেরকে ঘুম পাড়ানি গান শোনাবে আর আমরা চোখ বন্ধ করে শুনে ঘুমিয়ে পড়ব। এটাই তো চান।
* আমি জানি! খুব বড় একটা সুযোগ আছে আমাকে কোন ভাবে পর্যুদস্ত করার। সেটাতে কোন সমস্যা নেই। শুধু এতটুকু ভাবেন।
কি বলছেন আর কি চেপে যাচ্ছেন!
* সেই দিন খুব দূরে না! কে কি স্বার্থে এসব করছে। সেটা সবার সামনে প্রকাশ পাবে। আমরা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ সমাধান চাই। ( এই শব্দটা ইদানিং খুব ব্যাবহার হচ্ছে। আমার কেন যেন হাসি পায়।
হাসি চেপেই লিখলাম)
*ব্লগিং যদি আমাদেরকে খারাপ কিছু দিয়ে থাকে ভাল অনেক কিছু দিয়েছে এবং দিবে এই আশা রাখি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।