*~*জীবনে যত কম প্রত্যাশা থাকবে ... .. . তত বেশী ভালো থাকা যাবে*~*
সকালে বাইরে গিয়ে বাসার আশে -পাশে খালি ছাগল দেখলাম । আর বিকালে গরুর হাম্বা,হাম্বা ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠে মনে হলো আমি বুঝি নিজেরবাড়ীতে (গ্রামের )ঘুমিয়ে আছি। প্রতি বছর কোরবানীর কয়েকদিন আগে থেকে বাইরে কম যাই কারণ গরু ছোটবেলায় একবার যে দৌড়ানি দিছে ....সেই ধুকপুকানি আজ ও কমে নাই। বড় বড় শিংওয়ালা গরু দেখলেই ফ্রিজ হয়ে যাই
গরু যে লাল রং দেখলেই ক্ষেপে যায় তার চাক্ষুষ স্বাক্ষী এই অধম। ছোটবেলায় মা আমারে খালি লাল জামা পড়াতো....বেশীরভাগ বাপ-মায়রে দেখছি তাদের একটা মেয়ে থাকলে আহলাদ করে লাল জামা পড়ায়।
আর আমি সেই লাল জামা পরেই গরুর দৌড়ানি খাইলাম.....বাড়ী থেকে আমাদের প্রাইমারী স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৪৫ মিনিটের মতন আর হেটে হেটে স্কুলে যেতে হত। এটা ঠিক যে গ্রামের রাস্তাগুলোতো মানুষ আর যানবাহন কম গরু-ছাগলের আড্ডাই বেশী দেখা যায়। তো একদিন স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছি সাথে আরো কয়েকজন সখী ছিলো। গল্প করায় এতই মশগুল ছিলাম যে হঠাৎ শুনি"ঐ সর...সর...গরু আইতাছে".... কে কোন দিকে দৌড় দিছে জানিনা ...আমি খালি সোজা সামনের দিকে দৌড় দিছি আর জোড়ে জোড়ে বোয়াল মাছের মতন মুখ করে কান্দি আর ও বাবা...ও বাবা করে বাবারে ডাকি(বাবার সাথে সবসময়ই আমার যোজন যোজন দূরূত্ব তা-ও কোন বিপদে পড়লে কেন জানি মায়ের আগে বাবারে ডাকি)। আন্ধা মানুষের মতন বাঁকাত্যাড়া হয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে পাশের এক ক্ষেত ছিলো সেখানে পড়লাম।
মরবি তো মর এমন পচা জায়গায় মরতে গেলাম ক্যান....সেই ক্ষেতের কোমরপানিতে আবার পাট ভিজানো ছিলো। পানিতে পড়ে আরো হাউমাউ করে কাঁনতেছি কারণ আমি সাঁতার জানিনা আর ঐদিকে গরু বাবাজী দেখলাম সোজা সামনের দিকে দৌড়াইয়া চলে গেছে। পাটপচা পানির সুগন্ধ গায়ে নিয়ে বাড়ী ফিরছি পর মা মাইর তো দিলো তারউপর ফুটানো গরম পানি দিয়ে এমন ভাবে ঘষে ঘষে গোসল করালো যে নিজেরে জবাই করা মুরগী মনে হলো
কয়েকদিন আগে আবারো বাড়ী গেলাম। রাস্তায় গরু দেখে আমি দাড়িয়ে আছি দেখে বাবা আশ্বাস দিলো এই গরু গুঁতা দিবেনা। কারো কথা বিশ্বাস করে জীবনে সেই দৌড়ের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইনি বলে রাস্তা ছেড়ে পাশের ধান ক্ষেতে নেমে গেলাম।
আর মনে মনে তাদের খালি চৌদ্দ না আটাশ গোষ্ঠীরে গুল্লি মারলাম রাস্তাঘাটে এভাবে বড় বড় শিংওয়ালা গরু বেঁধে রাখার জন্য....
cow লিখে গুগলিং করে দেখলাম তেনারা এখানে নাচানাচি করছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।