আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়া করে লেখাটিকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হিসেবে চিহ্নিত করে বিষয়টিকে হালকা করবেন না

তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি

পিস টিভির এক অনুষ্ঠানে জনৈক ব্যক্তি ডাঃ জাকির নায়েক-কে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন অমুসলিম ব্যক্তি যদি তাঁকে প্রসাদ (দেবতার জন্য সমর্পিত ভোগ) খেতে অনুরোধ করেন তবে তা খাওয়া যাবে কিনা। উত্তরে ডাঃ নায়েক বলেছিলেন, আল্লাহ'র সাথে শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধ যার কোন ক্ষমা নেই। কাজেই শিরকের কাজে ব্যবহৃত কোন উপাদান, বস্তু বা কোন কিছুই খাওয়া বা ব্যবহার করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য হারাম। জনাব নায়েকের কথার সূত্র ধরেই আমার আজকের আলোচনা। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে এ লেখাটিকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হিসেবে চিহ্নিত করে বিষয়টি হালকাভাব না করার জন্য।

আমরা জানি প্রতিবছর কুরবানীতে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় গরু জবাই করা হয়। একথা সর্বজনবিদিত যে, সনাতন ধর্মালম্বীরা গরুকে দেবতাতুল্য মনে করে এবং এর পুজা করেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে গরুগুলো শিরকের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই জাকির নায়েকের ফতোয়ার সূত্র ধরে ভারত থেকে আগত এ প্রচুরসংখ্যক গরু যা শিরকের কাজে ব্যবহৃত হয় তা কুরবাণী করা যাবে কিনা এনিয়ে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে। জনাব জাকির নায়েকের কাছে এনিয়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ আপাতত আমার নেই।

সে কারণে ব্লগে যারা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন তাদের কাছে বিনীতভাবে জানতে চাই, ভারতীয় গরু যেগুলো শিরকের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো কুরবাণী করা হালাল হবে কিনা। আমার মনে হয় এটা নিয়ে জরুরী আলাপ হওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশের লক্ষ, লক্ষ মুসলমানের সঠিক ও হালাল উপায়ে কুরবানী করার বিষয়টি এর সাথে সংশ্লিষ্ট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।