আমি এমন কেউ না। খুব সাধারণ মানুষ। তোমার মত, তোমাদের মত। হাসি খুশি থাকি, আনন্দে থাকার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে হতাশ হয়, অভিমান করি।
ভাবি বেঁচে থেকে কি হবে। একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারি। নিজের মাথার পিছনে আনমনে হাত রাখি। মুচকি হেসে ভাবি, এত ভালবাসা আমি কোথায় ব্লগার অনলাইন এক্টিভিটিস্টরা আন্দোলনের শুরু থেকেই ঠিক করেছিল শাহবাগ আন্দোলনের ফাইনাল গোল হবে ধর্মীয় রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধকরণ, যেগুলো মূলত বামধারা প্রভাবিত দলগুলোর সেকুলার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার একটা দুর্বল প্রচেষ্টা ছিল। সেটা হয়ত একশ-দুশ মানুষ চালিয়েছে পুরো আন্দোলনে, কিন্তু তারা সাধারণ আন্দোলনকারী (যারা নির্দলীয় এবং জাস্ট রাজাকারদের বিচারের আশায় শাহবাগে গিয়েছিল) মানুষের উপর এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করে বসেছিল সেটা অকল্পনীয়।
আমাদের খেয়াল করতে হবে বাংলাদেশ থেকে সকল সময়ের জন্য ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী যখন ব্লগার অনলাইন এক্টিভিটিস্টরা তাদের ছয় দফা দাবীতে প্রস্তাব করেছিল শাহবাগ থেকে; তখন উপস্থিত মুসলমানরা সেটার প্রতিবাদে ফেটে পরা যেখানে স্বাভাবিক ছিল, সেটা না করে উলটো তারা (না বুঝে নিশ্চয়ই) আবার সমর্থন জানিয়েছিল। তবে ভার্চুয়াল জগতের ইসলামিস্টদের তীব্র প্রতিবাদে সাধারণ মুসলিমরাও সজাগ হয়। যার ফলশ্রুতিতে শাহবাগ থেকে ছয় দফা দাবীর মাঝে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবী প্রত্যাহার করা হয় এবং সেটা কেবল জামাতশিবির নিষিদ্ধকরণের দাবী (যেটা কোন অন্যায় দাবি নয়) পর্যন্তই রাখা হয়। ইসলাম বিপন্ন নয়, কিয়ামাতের আগ পর্যন্ত জিহাদ চলবে এটা ইসলামেই বলা আছে। এই জিহাদ কখনো চলবে মুখে, কখনো কলমে, কখনো অস্ত্র দিয়ে।
যার ইচ্ছা সে এটাতে অংশ নিবে, যার ইচ্ছা সে সেইফ সাইডে থেকে মহানুভব আল্লাহর সন্তুষ্টি হারাবে। মুসলিম দেশগুলো চুপচাপ নয়, মুসলিম অনেক দেশই ব্লাসফেমি, এপোটেসির জন্য কঠোর শরীয়া আইন ফলো করে, যেটা আমাদের দেশে নেই বলে ম্যাস লেভেলের মুসলিমদের থেকেই ইসলামবিরোধীদের ব্যাপারে প্রতিবাদটা আসে। পৃথিবীর অনেক অনেক মুসলিম স্কলার এবং দা’ঈ সারা বিশ্বের মুসলিমদেরকে এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়া করানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।