কিছু না লিখে আর পারলাম না। কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই ব্লগকে আশ্রয় করেই বলতে হলো। আমার লেখাটি হয়ত তথ্যবহুল না। ব্লগে অনেক তথ্যবহুল ভালো লেখা আছে।
আমার লেখাটি হয়ত শুধুই আবেগ। তবুও কিছু বলে যাব, কিছু প্রশ্নের জবাব চেয়ে যাব।
গতকাল খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হল। সরকারী ভাষায় তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। আজ বিটিভি সহ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে যা দেখলাম তা দেখে বাক হারা হয়ে গেছি।
যে মানুষটি(জিয়া) প্রেসিডেন্ট হয়ে এই বাড়িটি ছাড়েন নি, তার স্ত্রী কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাড়িটি ছেড়ে অন্য কোথাও যান নি সেই মানুষটি নাকি স্বেচ্ছায় বাটিটি ছেড়ে দিয়েছেন? আপনি বিশ্বাস করতে চাইলে করুন আমি আপনার মত জ্ঞান বুদ্ধিহীন হই নি। তার বাসায় ড্রায়ারে কিসব নাকি পাওয়া গেছে...কতটা নিম্নরুচির হলে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে পারে আমি ভেবে পাই না। বাড়িটি নাকি বিলাশ বহুল সব আসবাব পত্রে ভরা! থাকতেই পারে। চল্লিশ বছরের এই বাড়িতে না চাইলেও অনেক কিছুই থাকতে পারে। আজ সাংবাদিকদের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হল।
আর আবিষ্কার হল আলাদিনের চেরাগ। কাল কেন সাংবাদিক ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি? শেখ হাসিনা আজ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় যে শাড়িটি পড়েছেন তা কি সস্তা?তিনি যে স্বর্ণের নৌকাটি শাড়িতে লাগান তা কি পানির দামে কেন? আজ যেভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িটি দেখানো হল সেইভাবে শেখ হাসিনার বাড়িটি জনগণের সামনে দেখানো হলে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যেত। বাঙ্গালী সেন্টিমেন্ট হিসেবে একজন স্ত্রী তার স্বামীর ভিটায় থাকতে চান। খালেদা জিয়াও তাই চেয়েছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অন্য বাড়িতে উঠেন নি।
গুলশানে বাড়ি পাওয়ার পর সেখানে যান নি। বলা হয় তারা নাকি বাড়িটির অবৈধ ব্যবহার করেছেন। যদি তাই হয় তাহলে আমি বলব বাড়িটি দেয়ার সময় যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল না। আমাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়েছে তা আমি সেই বাড়ি দিয়ে কি করবো তা আমার ব্যাপার আইন ভংগ না করলেই হল।
সেনাবাহিনীকে বলতে চাই আজ আপনারাই আপনাদের একজন প্রাক্তন সেনাপ্রধানের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলেন।
তাই রুপগঞ্জ বা অন্যান্য যে সব জায়গায় আপনারা বাড়ি বা জমি লিজ পেয়েছেন তা হয়ত একদিন সরকার ফিরিয়ে নিতে পারে। নিজেরাই সেই কাজের শুরুটা করলেন।
দেশপ্রেমিকদের বলতে চাই আজ একজন সেক্টর কমান্ডারের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। কাল আপনার দেশ হতে আপনাকে উচ্ছেদ করা হতে পারে। ট্রানজিট দিয়ে সেই রাস্তা অনেকটা সুগম করে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যারা আছেন তাদের বলছি আপনাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সব কয়টা কি অকেজো হয়ে গেছে? কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তাও বুঝেন না? দশ টাকার চালের কথা বাদ দিয়ে এখন অন্য কথা বলছেন কেন? যানজট আর বিদ্যুৎ সমস্যা কি আপনাদের স্পর্শ করছে না? নাকি মনে করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ধুলা দিয়ে মানুষকে সব ভুলিয়ে রাখবেন? বিচার আমিও চাই। চাই একটা যুদ্ধাপরাধী যেন বাংলাদেশে বেচে না থাকে। কিন্তু সেই সাথে চাই কিছু খেয়ে বাচতে। রাস্তায় বের হয়ে সময়মত কাজে যেতে চাই। বাসায় ফিরে ফ্যানের বাতাসে ভাত খেতে চাই।
আর চাই বিরোধী দলীয়দের সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের শান্তিময় একটা অবস্থা দেখতে।
পরিবর্তনের কথা বলে এসে এসব কী করছেন? আছে জবাব?
**নিতান্তই আবোল তাবোল কথা। পছন্দ না হলে মাইনাস দিয়েন কিন্তু গালাগালি করলে ব্লক করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।