আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক জন সম্রাজ্ঞীর হুঙ্কার!

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

খবরে প্রকাশ, খালেদা স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন বলে আইএসপিআর শুরু থেকে বলে এলেও খালেদা সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, তাকে এক কাপড়ে জোর করে বাড়ি থেকে বের করা হয়েছে। তার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণও করা হয়। তবে শনিবার রাতে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বিধিসম্মতভাবে বাড়িটি খালি করার উদ্যোগ নেয়।

বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পর খালেদা জিয়া 'আয়েশি' ভঙ্গীতে প্রস্তুত হতে থাকেন। তার অনাবশ্যক দেরি দেখে দুজন নারী কর্মকর্তা তার দরজায় টোকা দিলে তিনি (খালেদা) ক্ষেপে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন। "তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অকৃতজ্ঞ কুকুর ও জাতীয় দুশমন বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। সবার সামনে চিৎকার করে বলতে থাকেন- 'আমি সবার চেহারা চিনে রাখছি, ক্ষমতায় যেয়ে একে একে লাথি দিয়ে চাকরি থেকে বের করে দেবো'। " খালেদা অবশ্য অভিযোগ করেছেন, শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে টেনে-হিঁচড়ে তাকে বের করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গালাগালি ও হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে জন্য সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাওয়া হলে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই বিষয়টি ভেবে দেখবেন। যা ঘটেছে, আমরা শুধু তাই তুলে ধরলাম। " খালেদা স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন দাবি করে এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্মকর্তারা মইনুল সড়কের ওই বাড়িতে যায় সকাল ৮টায়। জোর করা হলে তিনি সকাল ৮টার মধ্যে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হতেন। "কিন্তু বাস্তবে তিনি ৩টা ১৫ মিনিটে নিজস্ব গাড়িতে করেই সেনানিবাস ছেড়ে যান।

এটা তার স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়ারই প্রমাণ। " খালেদা তার কর্মচারীদের দিয়ে ১০টি বড় ব্যাগ ও চারটি বড় কার্টন গুছিয়ে নেন এবং বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না দেখেন বলে শাহীনুল জানান। খালেদার ব্যবহার্য জিনিস ও গাড়ির সংখ্যা তুলে ধরে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, "তার নিজস্ব পরিবহন পুলে আটটি অত্যাধুনিক মডেলের গাড়ির উপস্থিতি এবং একটি মাত্র পরিবারের জন্য ৫০ জনের মতো পরিচারক/পরিচারিকা থাকা তার বিলাসবহুল জীবন যাপনের সাক্ষ্য বহন করে। " মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটি এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। খালেদার জন্য সরকারিভাবে গুলশানে ৩২ কাঠার একটি বাড়ি বরাদ্দ রয়েছে বলে আইএসপিআর পরিচালক জানান।

একইসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তার জন্য মিন্টো রোডের বাসা নির্ধারিত থাকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।