সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
এই দেশে বাতাস ভবন নামে এক রাজপ্রাসাদ ছিলো সেই রাজপ্রাসাদ থেকেই দেশের উন্নয়ন পরিচালনা করা হতো। সে রাজ প্রাসাদে থেকে রাস্ট্রের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন দুই রাজপুত্র। যদিও তারা রাস্ট্রীয় ভাবে কোনো পদের অধিকারী ছিলেন না কিন্তু তাদের হুকুম ছাড়া রাস্ট্রের কোনো রকম উন্নয়ন হোয়া সম্ভব ছিলো না। আর উন্নয়নের জন্য বাধ্যতা মুলক ভাবে তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো।
সরি এই ট্যাক্স কোনো রাস্ট্রিয় ট্যাক্স ছিলো না। এটা ছিলো ব্যাক্তিগত ট্যাক্স। আপনি কোনো বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করবেন সঠিক ভাবে নিয়ম মেনেই আপনি ডিলিং জিতে নিলেন। কিন্তু বাধা আসবে সময় মতন হাওয়া ভহবন থেকে রাস্ট্রীয় উন্নয়নের পুর্বে তাদের ব্যাক্তিগত ট্যাক্স পরিশোধের । অপরাগ হলেই ডিলিং বাতিল।
বিভিন্ন হুমকি-ভীতি প্রদর্শন। এভাবেই একের পর এক ডিলিং বাতিল হওয়াতে আর কেউই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করতে এগিয়ে এলো না। ফলাফল ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ে দেশ নিমজ্জিত হয়।
বিদ্যুত সভ্যতার চালিকা শক্তি। বিদ্যুত ঘাটতিতে দেশের শিল্প-কারখানা অচল হয়ে পরে, অনেক মানুষ বেকার হয়ে পরে, সেচ ও কৃষি উতপাদনে ব্যাপক মন্দা দেখা দেয়।
বাতাস ভবন কেন্দ্রিক রাজত্ব যেই দল পরিচালনা করতো তাদের নামছিলো জাতীয়তাবাদী। সেই দলের অনেক নেতারা দেশের সংকট ময় মুহুর্তে বড় রাজপুত্রের দ্বারস্থ হয় কিছুটা নমনীয় হয়ার জন্য। কিন্তু বড় রাজপুত্র অনড়। কোনো ভাবেই তাকে টাকা না দিয়ে উন্নয়ন করা যাবে না। ছোট রাজ পুত্রের অবশ্য কোনো ভাবেই এই সব চিন্তা নেই।
তার চিন্তা হট ড্রিংস খাওয়া আর অনেক অনেক বান্ধবী নিয়ে লীলা খেলা খেলা। বান্ধবী ছাড়া যেন তার চলেই না। সাথে আবার বেশ কয়েক জন ব্যাবসায়ী বন্ধু ছিলো, যারা তাকে বান্ধবী জুটিয়ে দিতে সাহায্য করতো। আর সুযোগে ব্যাবসায়িক সুবিধা আদায় করে নিতো। ব্যাবসায়িক সুবিধা গুলো ছিলো রাস্ট্রের জন্য ভীষন ক্ষতিকর ।
দেশ কোথায় গেল, দেশের জনগন কোথায় গেল তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা ছিলো না কোনো রাজপুত্রের। আর এর দেখা দেখি রাস্ট্রের মন্ত্রী, এমপি, উজির, নাজির, সেনাপতি সকলেই দুর্নীতি তে জড়িয়ে পড়েছিলো। সবাই নিজের ব্যাক্তিগত ভাগ্য গড়ার জন্য উঠে পরে লাগলো। ফলাফল ভীষন অরাজকতায় ভরে গেলো দেশ। জাতীয়তাবাদী নামক যে দলটি দেশ পরিচালনা করতো তারা ছিলো ইসলামপন্থি দল।
কিন্তু ইসলামের বিন্দু মাত্রবালাই ছিলোনা।
এই দেশের মানুষেরা ধার্মিক, ধর্মকে তারা অনেক মর্যাদা দেয়। তাই জাতীয়তাবাদীরা বিভিন্ন ধর্মীয় কথা বলতো। এমনকি তারা সরসরি একটি ধর্মীয় দলকে রাস্ট্রিয় ক্ষমতার অংশিদার করে নেয়। এই ধর্মীয় দলটি ছিলো সংখ্যায় ক্ষুদ্র কিন্তু সংগঠিত আর দুরদর্শী।
তারা বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে গরীব মানুষকে অনেক অনেক সহায়াতা দিতো। উদ্দেশ্য জনসমর্থন বৃদ্ধি করা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা আর মেধাবী স্টুডেন্টগুলোকে তাদের দলে ভেড়াতো। আর তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতো। উদ্দেশ্য রাস্ট্রের উচ্চপদের আসন গুলোতে তাদের অনুগত দের অধিস্টিত করা, আর সেই আসন পর্যন্ত পৌছানো পর্যন্ত টাকা-পয়সা সব কিছু দিয়ে সেই মেধাবীদের সাহায্য করা।
দুরবর্তী উদ্দেশ্য ছিলো একক ভাবে রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়া।
স্বাভাবিক ভাবে একজন মানুষ জানে “ ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়-চলের চাইতে দেশ বড়”। কিন্তু জাতীয়তাবাদী দলটি মুখেই আর দলীয় প্রচার পত্রেই শুধু ইসলাম কে সীমিত করে রেখেছিলো। সব কিছুই ব্যাক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। রাস্ট্রের ক্ষতি করে সেই টাকা দিয়ে ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্লাট, বাড়ি বানিয়ে রঙ মহল তৈরি করা সেই রঙ মহলে যাতায়াত করা ছিলো এই দলীয় নেতাদের কাজ।
আর সেই রঙ মহলে যাতায়াত করতো অভিজাত শ্রেনীর ধান্দাবাজেরা। তারা ছিলো অতি মাত্রায় দাম্ভিক। যারা ছিলো কাজের বেলায় কাজি-কাজ ফুরোলেই পাজি।
রাজ পুত্রেরা যখন কাড়ি কাড়ি টাকা কামাতে লাগলো, তারা এক সময় বুঝতে পারলো এতো টাকা দেশে রাখা নিরাপদ নয়। ভবিষ্যতে চিরস্থায়ী সুখ আর শান্তি পাওয়ার জন্য নিরাপদে বসবাসের জন্য অসংখ্য পরিমান টাকা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিলো।
জনগন মারাক্তক আর্থিক সংকটে বেচে থাকতো। নদী ভাঙ্গনের শিকার অনেক অনেক মানুষ ঢাকায় চলে আসতো। ভিক্ষার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতো। অভাবের জীবন নিয়ে অতিকস্টে অনেকেই শ্রমজীবি মানুষের জীবন নির্বাহ করতো। বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা-খাবার-ঔষধ-বিভিন্ন সামগ্রী আসতো গরীব মানুষের সাহায্যের জন্য।
কিন্তু জাতীয়তাবাদি নেতারা সেই সকল জিনিসো মেরে দিতো। গরীবেরা গরীব রয়ে যেতো। কিন্তু জাতীয়তাবাদীরা প্রচার করতো আমরা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নে দেশ ভেসে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মকেও আমরা সমুন্নত রেখেছি।
ভবিষ্যতে আমাদের বিকল্প নেই।
জনগন ভীষন ক্ষুদ্ধ হয় রাজপুত্র আর তাদের দলীয় কার্যকলাপে। দেশ প্রেমিক জনগন ঠিকই এই জাতীয়তা বাদীদের আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত করে। ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয় জাতীয়তাবাদীরা । দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ধান্দাবাজেরা।
দেশ প্রেমিক জনতা ক্ষমতা প্রদান করে নতুন একটি দলের কাছে, যারা বাকশালী নামে পরিচিত। বাকশাল মানে হচ্ছে কন্ঠ রোধ করা। মানে আপনি নিজ স্বাধীন মতামত দেয়া যাবে না কখনোই। যদি দিতে চান আপনার কন্ঠ রোধ করে দেয়া হবে প্রয়োজনে হত্যা করেও আপনার কন্ঠ রোধ করা হবে। শুধু তাদের নেতাকে সকলের পিতা মেনে নিতে হবে।
তারা দলীয় ভাবেই মুক্তিযোদ্ধা এটাও মেনে নিতে হবে। তাদের ধর্মিয় ভন্ডামীও মেনে নিতে হবে।
জনগন দেখলো জাতীয়তাবাদী পুকুর চোর......সরি সমুদ্র চোর থেকে বাকশালীরা ভালো। গরীবের পেটে অন্তত লাথি পড়বেনা। ১০ টাকায় চাল, বিনা মুল্যে সার আর একটা চাকুরী পেলে সরকারের বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই।
তাই বাকশালীরা তার বাকরুদ্ধ করবে এই প্রশ্নই আসে না। আর যদি কম্পিউটার দিয়া সব কিছু ডিজিটাল বানানো যায় তাহলে তাদের এনালগ জীবনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে।
বাকশাল ক্ষমতায় এসেছে ...... বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ৩৩ টাকার চাল ৪৭ টাকা হয়েছে। এটাও তারা সাফল্য দাবী করছে কারন চালের কেজি ১০০ টাকা হয়নি।
চোরেরা থাকলে ১০০ ছাড়িয়ে যেতো। বাকশালীরা সন্ত্রাস দমনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে যদিও কুত্তালীগ নামক একটি সংগঠন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘরে বেড়ায়। সরকার স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিচ্ছে যেহেতু তারা ছাত্রলীগ তাই তারা সন্ত্রাসী না। ধর্মীয় ভন্ডামীতে বাকশালীরা সবার সেরা। ওলামালীগ গঠন করে বিভিন্ন ফতোয়া প্রদান আর মুরতাদ ঘোষনা করা এই দলের দ্বায়িত্ব।
তাছাড়া আছে মাজার লীগ......বিভিন্ন মাজারের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে নেয়া। কারন হাজার হাজার ভক্তকুলের কাছ থেকে রাজনৈতিক সাপোর্ট দরকার আছে। দেশের প্রায় সকল মসজিদ কমিটিতে ও তারা দখল নিয়ে নিয়েছে, এবং নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবী করছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থাপনা যার মালিক জনগন তার নাম পরিবর্তন করে নিজেদের পছন্দ মতন নাম রাখা। ব্যাপক উন্নতির দাবীদার .....শুধু হাসি পাচ্ছে।
দেশপ্রেমিক জনগন সবই দেখছেন। তারাই সব চাইতে বড় বিচারপতি। অপেক্ষায় আছে বাকশালকে আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত করার......।
তার পরেও মনে করি বাকশাল টিকে থাকুক। এট লিস্ট তারা অন্তত জাতীয়তাবাদীদের থেকে মন্দের ভালো।
ব্যাক্তিকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ,ধান্দাবাজি, চুরি, উসৃঙ্খলতা, দাম্ভীকতার ব্যাক্তিদের রাস্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই না। যারা গরীবের পেটে লাথি মেরে অট্টালিকার প্রাসাদে ভাম্ভিক জীবনে অভ্যস্ত তারা যেন কখনোই দেশের মানুষের ভাগ্য বিধাতা না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।