বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে এখন নতুন ফসল কাটার মৌসুম। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পরিবেশও ছিল একই। নবান্নের মৌসুমেএমনি আনন্দ ঘন পরিবেশে আকস্মিক বয়ে যায় প্রলয়ংকরী ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাস , কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারায়,মারা যায় অগনিত পশু ,বিরাণ হয় জনপদ । প্রকৃতির কাছে আজো অসহায় উপকুলের মানুষ। বৈশ্বিক জলবায়ূর পরিবর্তন তাদের আতংক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ভয়াল গোর্কী নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের হাতিয়া, সুবর্নচর,সদর ,কোম্পানীগঞ্জের উপকূলকেও বিরান জনপদে পরিণত করে। ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস থেকে সেদিন যারা প্রানে বেঁেচ ছিলেন তাদের স্মৃতিতে সেই দুঃসপ্নের দিনটি আজো অমলিন।
দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে এখন বিস্তৃর্ণচরাঞ্চলের সমারোহ। ছোট বড় ১৯ টি চরাঞ্চলে ভূমির আয়তন প্রায় ১৫০ বর্গ কিঃ মিঃ । এ সকল চরাঞ্চলে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া প্রায় দুলাখভূমিহীন মানুষ বসতি স্থাপন করে তাদের জীবিকায়নের পরিধি বিস্তৃত করছে।
অথচ সেখানে কোন বেড়ী বাাঁধ,আশ্রয় কেন্দ্র নেই। পুরাতন জরাজীর্ন আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ভেঙ্গে ফেলা হলেও নতুন করে গড়ার উদ্যোগ নেই।
বা¯তবতার নিরিখে স্বজন হারা মানুষেরা ঘটনার ৪০ বছর পরও নিরাপত্বাহীন জীবনের কথা বলতে গিয়ে তাদের কণ্ঠ বাস্প রুদ্ধ হয়েছে।
নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষগুলোর চাওয়া,তাদের নিরাপত্বার জন্য পর্যাপ্ত বনায়ণ,আশ্রয় কেন্দ্র ও বেড়ীঁ বাঁধ নির্মান করে তাদের জীবন নিরাপদ করা হোক। স্বাধীনদেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাছে এ’চাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
http://www.youtube.com/watch?v=FymLy-uUc6o
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।