যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
রিকশা জিনিসটার সাথে সবার পরিচিত থাকার কথা। রিকশার যিনি চালক থেকে বলা হয় রিকশা ড্রাইবার। কেউ কেউ রিকশার পাইলট ও বলে থাকেন।
রাস্তায় বের হলেই ইনাদের দেখা যায়। বাংলা সিনেমার নায়কের মত “চলে আমার রিকশা হাওয়ার বেগে উইড়া উইড়া গানের মাধ্যমে বাতাসের কনার মধ্যে তুমুল হৃদস্পন্দন ঘটিয়ে তাদের চলে যেতে দেখা যায় দুরন্ত বেগে। পুরো রিকশা খালি।
আপনি যদি বলেন,ভাই যাবেন??
একেবারে মুখের উপর সাফ জবাব, না। ।
আপনি হয়ত অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষা করছেন,তাই কিছু সাদাসাদি করলে এবং টাকা একটু বেশী দিলে পাইলট সাহেব আপনাকে নিতে রাজি হবেন। ।
কিন্তু এখানেও একটু সমস্যা যদি আপনার সাথে অপেক্ষমান লিস্টে কোন ঈভ শ্রেনীর কেউ থাকেন। ঈভ তথা মেয়ে বা মহিলা শ্রেনীর কেউ থাকলে আপনি যতই চাপাচাপি করেন কোন লাভ নাই। পাইলট সাহেব আপনাকে ফেলে ঈভ শ্রেনীর ওই সম্মানিত সদস্যকে নিয়ে আপনার চোখের সামনে দিয়ে চলে যাবেন।
। তখন পাইলট সাহেব কোন গান ও ধরতে পারেন। সবই তার ইচ্ছা।
আবার মাঝে মাঝে দেখবেন কোন পাইলট সাহেব বসে আছেন। এমন ভঙ্গিতে যে থাকলে দেখলেই আপনার বাংলার প্রাচীন জমিদার প্রথার কথা মনে আসবে।
পা রিকশায় তুলে মোহনীয় ভঙ্গিতে বসে আছেন। তখন আপনার যতই প্রয়োজন হোক তিনি নড়বেন না। তার সাফ কথা, যামু না। ।
এরকম ঘটনার সাথে আমরা প্রায় সবাই ই পরিচিত।
তবে আজকে আমি একটি মহান ঘটনা এবং মহান উক্তির সাথে পরিচিত হই। যাকে তুলনা করার মত একটাই জিনিস আমার মনে আসছে। তা হল হ্যালীর ধুমকেতু। হ্যালী সাহেবের ধুমকেতু যেমনি ৭৫ বছর পর পর দেখা যায় তেমনি এই রকম ঘটনা অনেক অনেক সময় পর হঠাৎ হঠৎ ধরাধামে ঘটে থাকে। ।
ঘটনাটি হলঃ
আজকে ভার্সিটি যাওয়ার সময় জামের মধ্যে আটকা আছি। রোদের তেজ অতি উত্তপ্ত হয়ে ঝরে পড়ছে পৃথিবীতে। হঠাৎ দেখলাম পাশে একটি খালি রিকশায় একজন লোক বীরদর্পে লাফিয়ে উঠল। হয়ত উনার কোন বিশেষ প্রয়োজন।
রিকশাওয়ালা পাইলট সাহেব বললেন, না আমি যাব না।
।
ভদ্রলোক যতই অনুরোধ করেন পাইলটের সাফ জবাব,যাব না।
অবশেষে অনেক অনুরোধ করে এবং রোদ্রতপ্ত ধরিত্রির বুকে ক্লান্ত এবং ব্যর্থ মনোরথ হয়ে রিকশা থেকে নেমে পড়লেন ভদ্রলোক।
আমি পাশের রিকশায় প্রখর রৌদ্রের প্রচন্ড উত্তাপে বসে এই দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।
ভদ্রলোক নেমে যেতেই রিকশাওয়ালা ওরফে পাইলট সাহেব বলতে লাগলেন “জোর করে যেমন ভালবাসা পাওয়া যায় না তেমনি জোর করে রিকশায় ও চড়া যায় না।
। “
এই মহান উক্তি শোনার পর কোন এক বিচিত্র কারনে আমি হাসি আটকাইয়া রাখতে পারি নাই......এখনো বুঝতে পারি নাই। এত সিরিয়াস একটা কথা শুইন্যা হাসি আসল ক্যামনে!!
ফেসবুকে এটা নিয়া স্ট্যাটাস দিলাম। কমেন্টে একেকজন এই উক্তিটাকে মহান উক্তি বলে সম্মানিত করলেন। কেউ কেউ বললেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে এই দামী উক্তিটাকে অন্তর্ভূক্ত করা যায় কি না ভাবতে।
এরকম উক্তি সহস্র বছরে একটা আসে কিনা সন্দেহ। । রাজি(আলিম আল-জনপ্রিয় ব্লগার) টানিয়া টুনিয়া লম্বা করে পোস্ট দিতে বলল। তাই পোস্ট হিসেবে জন্ম নিল এই মহান স্মরনীয় উক্তি।
এখন ব্লগারদের কাছে জিজ্ঞাসা আপনাদের কাছে এই উক্তিটাকে কীরকম মনে হয়????
ছবিঃ
একটা রিকশার ছবি,লন্ডন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।