গণমাধ্যমকর্মী, চেয়ারম্যান - উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান, সদস্য সচিব - সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন।
১৯৭০-এর ভয়াল ১২ নভেম্বর ঘুরে ফিরে বারে বারে
প্রতি বছরই ১২ নভেম্বর আসে একবার। ইতোমধ্যে দুই প্রজন্ম’র ৪০ বছর পার হয়ে গেল। ১৯৭০-এর এই দিনে ভয়াল কালো রাতে উপকূলীয় হাতিয়া, চর আবদুল্ল্যা, রামগতি, সন্দ্বীপ, ঢালচর, চর জব্বার, তজুমুদ্দিন, চর কচ্ছপিয়া, চর পাতিলা, কুকরী কুমড়ী, মনপুরা, চরফ্যাশন, দৌলতখান, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি এলাকায় জলোচ্ছ্বাস তেড়ে আসে।
সরকারি হিসাবে প্রায় ৫ লাখ এবং বেসরকারি হিসাবে প্রায় ১০ লাখ আদম সন্তান স্রোতের টানে নদী-সমুদ্রগর্ভে, তীরে-ঢালে, ডালে-জলে-ঝোপে, চরে প্রাণ হারায়, তখন ছিল রমজান মাস।
একই সাথে প্রাকৃতিক থাবায় কোটি কোটি টাকার পশু, মৎস্য, ফসল, রাস্তা, কালভার্ট, বাড়ি-ঘর, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। দেশি-বিদেশি প্রচার মাধ্যমে এই ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা ছিল ‘মানুষের মৃতদেহগুলো কচুিরপানার ঝোপের মতো সমুদ্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে’।
উপকূলীয় জনপদে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভৌগলিক বন্ধনের বাঁধ ছিন্নভিন্ন এবং লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ধ্বংসযজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকা উপকূলীয় চরাঞ্চল স্থানীয়দের অসহায়ত্বসহ পূর্ব পাকিস্তানি জাতীয় রাজনৈতিক চৈতন্যবোধের ঝাঁকুনিতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি নির্লিপ্ত শাসক-শোষকদের পিণ্ডির মসনদে আঘাত হানে। উপকূলীয় এলাকায় জাতীয় পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হয়।
লাখ মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর বিনিময়ে মুক্তির স্বাদ পথ রচনা হয়, মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগমনী হাতছানির মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সনদ ৬ দফা ও ছাত্রদের ১১ দফা পরিণত হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করার ১ দফার আপসহীন দাবিতে, মওলানা ভাসানীর ওয়ালাইকুম সালামের মাধ্যমে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের ফলে স্বাধিকার আন্দোলন তথা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো ২৬ মার্চ ’৭১। টানা ৯ মাস রক্তয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে দেশ মুক্ত হলো।
১২ নভেম্বরের ধ্বংস এবং মুক্তিযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের পাশাপাশি শুরু হলো ত্রাণ, পুনর্বাসন, উন্নয়ন তথা ‘মুক্তির’ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘সৃষ্টি’র পালা।
প্রেরণা ছিল ‘ধ্বংস থেকে সৃষ্টি’। বক্তব্য ছিল কবি গুরুর ভাষায়, ‘যাহা চাই যেন জয় করে পাই, গ্রহণ না করি দান-হে সর্বশক্তিমান। ’
স্লোগান ছিল ভিখারির হাত হোকÑকর্মীর হাতিয়ার। সংগঠন ছিল দ্বি-স্তরবিশিষ্ট কুমিল্লা মডেলের সেল্ফ জেনারেটিং সমবায় সমিতি। উৎপাদন করা হয়েছে আলু, চিনাবাদাম, সোয়াবিন, ভুট্টা, যব, গম, ফুলকপি-বাঁধাকপি, লেটুস লাইন চাষে ইরি।
প্রয়োগ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশীল বীজ। গরু, মহিষ চাষের পশু নিশ্চিহ্ন হয়েছিল, তাই ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত চাষ ট্রাক্টর, লো লিট পাম্প, থ্রেসার, নিরানি ইত্যাদি। একই সঙ্গে অনেক জমি ব্লকে চাষ করতে হবে হেতু ভোলা, রামগতি, সুধারামে ট্রাক্টর ওয়ার্কসপ স্থাপন করা হয়েছে। তাৎণিক মেরামতের জন্য মেকানিকসহ ভ্রাম্যমাণ ওয়ার্কসপ রাখা হয়েছে। ডবল শিফটে চাষ করার ল্েয দ্বিগুণ ড্রাইভার নিয়োগ ও কাজে লাগান হয়েছে, কনসোর্টিয়াম অব ব্রিটিশ চ্যারিটিজ (সিবিসি) সহায়তায় বিএডিসির আওতায় রামগতি থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি এ সব পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কাজে অন্যতম নেতৃত্ব দেয়।
জলোচ্ছ্বাসে বেঁচে থাকা তিগ্রস্ত, মুক্তিযুদ্ধে তিগ্রস্ত, নদী ভাঙা, ভেড়িবাঁধের বাইরে থাকা সর্বোচ্চ তিগ্রস্ত চর আবদুল্ল্যাবাসীদের নিয়ে চর আলেকজান্ডার এলাকায় পাইলট আকারে ২০০ পরিবার নিয়ে দেশে প্রথম গুচ্ছগ্রাম ‘বিশ্বগ্রাম’ স্থাপিত হয়।
পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ শেষে ’৭২ সালে রামগতির পোড়াগাছায় সরকারিভাবে বিশ্বগ্রাম অভিজ্ঞতায় গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা হয়। নোয়াখালীর ভাটিরটেক চরকে ১২ নভেম্বর ও নদী ভাঙাদের পুনর্বাসনের জন্য ২৬ মার্চ ১৯৭১-এ স্বাধীনতা ঘোষণার দিনে সৃষ্টির স্মারক হিসেবে তাৎণিকভাবে ‘স্বাধীন গ্রাম’ ঘোষণা করলেন মুক্তি পাগল সাবেক এক আমলা। যা পরবর্তীতে ঠিকানা-আদর্শ গ্রাম-আশ্রায়ন নামে সারাদেশে স্থাপিত হয়েছে ও চলছে। বোট বিল্ডিং সেন্টার করে জেলেদের মধ্যে নৌকা, জাল, ইঞ্জিনচালিত মৎস্য যান, সঠিক বাজার মূল্য প্রাপ্তির জন্য কেরিয়ার ভেসেল ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছিল সারা উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে।
গ্রামে একেবারে নতুন ও অপরিচিত এসব বীজ, সোয়াবিন সবজি কিভাবে খায় বা কি কাজে লাগে সাধারণ চাষিরা বা লোকজন তা জানত না, বাজারে বেচাকেনা হতো না।
একদিন চর আলেকজান্ডার বাজারে এক গাদা লেটুস শাক বিক্রির জন্য এক সমবায়ী কৃষক সবজি বাজারে বসে আছে, কোনো ক্রেতা নেই বরং অনেকেই উৎসুক চোখে দেখে চলে যায়। ব্রিটিশ কৃষিবিদ ডেভিড জে স্টকলি তখন সাইকোন পুনর্বাসন কাজে সমবায়ীদের নিয়ে এসব উৎপাদন কাজে মাটি পরীা, ব্যবহার বিধি, চাষ প্রণালীসহ উৎপাদন প্রশিণ ও ব্যবহারিক আয়োজনে রামগতিতে স্ত্রী জয়সীসহ সপরিবার থেকে কাজ করছিলেন। তিনি লেটুস শাক বাজারে দেখে আমাকে ডেকে দারুণ খুশির সঙ্গে বললেন, ‘যান, সঙ্গে আরো ক’জনসহ ভালো দাম দিয়ে শাকগুলো কিনে আনুন, এতে সবজি চাষি খুশি হবে, দাম পাবে, ভবিষ্যতে উৎসাহিত হয়ে আরো উৎপাদন কাজে নিয়োজিত হবে’। এভাবেই চর বাদামের মৌলভী নাজমুল হক, চর আলগীর আতিক মিয়াসহ আরো অনেক চাষি এলাকায় মডেল চাষি হয়ে পরিচিতি লাভ করেন।
দেশের মানচিত্রে রামগতি-লক্ষ্মীপুর আজ কোটি কোটি টাকা আয়কারী ‘সোয়াবিন জেলা’ নামে পরিচিত।
বিশ্ব ব্যাংক খ্রিস্টমাস পার্টি ফান্ড থেকে প্রদেয় অনুদান সৃষ্ট তৎকালীন রিলিফ কমিশনার সিএসপি আবদুর রব চৌধুরী এ কলোনির নাম দেন ‘বিশ্বগ্রাম’। এটা কি সৃষ্টির আস্থায় বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের স্মারক নয়? এভাবে দেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গণশিা আন্দোলন, সবজিভাত আন্দোলন, মাছ-মুরগি-গবাদিপশু (মামুগ) আন্দোলন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শস্যবহুমুখীকরণ সহ বিবিধ আর্থসামাজিক উন্নয়ন আন্দোলনে দেশ গড়া, দেশপ্রেম দিয়ে আত্মত্যাগ ও আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে অর্থনৈতিক মুক্তিসহ ন্যায্যতা ও সাম্যতা অর্জনের আশায়। দেশ তখন যে দুর্যোগের সম্মুখিন তা ভয়াবহ। এর একটি মনুষ্য সৃষ্ট ভয়াবহ দুর্নীতি ও অন্যটি বৈষিক উষ্ণতা।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য যা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এরই ফলে দারিদ্র্য চরম পর্যায়ে উঠেছে। আর সুযোগ ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে চরম দরিদ্রতার দিকে বিরাট সংখ্যক মানুষ ধাবিত হচ্ছে। সময়ের ব্যবধানে সম্পদের অসম বণ্টনের বেড়াজালে, আত্ম প্রবঞ্চনার মাধ্যমে দুর্নীতি খুঁটি গেড়ে বসেছে। অসম বণ্টন ব্যবস্থাকে সুষম করতে হবে। দুর্নীতিকে গণতান্ত্রিক সৎ রাজনৈতিক আদর্শে সুনীতিতে প্রবাহ ঘটাতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগকে নিজ স্বার্থে দেশজভাবে মোকাবিলা, প্রতিরোধ ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগে পরিণত করতে হবে। নিজস্ব সম্পদে, চিন্তায়, পরিকল্পনায় কর্মনীতি ও আদর্শ দিয়ে। দান, খয়রাত-ভিা পরনির্ভরশীলতায় লজ্জাবোধ করতে হবে। অবয়রোধ করতে হবে, নৈতিক মনোবল নিয়ে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।
সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রকল্পমুখী, স্বল্পমেয়াদী, দাতা-ঋণনির্ভর আশু উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল দেশজ উদ্ভাবনী পরীতি ব্যবহারিক তথা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতে হবে।
দেশজ রাষ্ট্রীয় সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রমকে সমন্বিত রূপরেখায় এনে তা দীর্ঘমেয়াদী ল্যমাত্রা ঠিক করে বাস্তবায়নের পথ শুরু করতে হবে। এ জন্য গরিব মা’দের নিয়ে দেশে মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রতি ইউনিয়নে ১৭ জন মা দেশের নিজস্ব সম্পদে রেভিনিউ বাজেটের আওতায় এসেছে। অন্তঃসম্ভবা সময় থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩৫০ টাকা হারে বিশ্রাম, পুষ্টি-খাদ্য, বাল্যবিয়ে রোধ, বুকের দুগ্ধ পান, জন্ম নিবন্ধন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকল্পে মাত্র এক শিশুর জন্য ইত্যাদি শর্ত পূরণসহ সারাদেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকারের মা ও শিশু মন্ত্রণালয় উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে।
মাতৃত্বকালীন ভাতাকেন্দ্রিক মা-বাবা-শিশু পরিবার নিয়ে সোস্যাল এসিসট্যান্টস প্রোগ্রাম ফর নন এসেটারস-‘স্বপ্ন’ সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ দারিদ্র্যবিমোচন সম্ভব। এতে ২০ বছর এক প্রজন্ম মেয়াদে, কম-বেশি এক কোটি গরিব মাকে এর আওতায় আনতে হবে। পর্যায়ক্রমে সরকার মাত্র এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ব্যয়ে গর্বিত জাতি গঠনে সামাজিক বিনিয়োগ করতে হবে। ৫টি মৌলিক ভিত্তি ১. স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্ড (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায়) ২. শিা ও বিনোদন কার্ড (শিা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায়) ৩. গৃহায়ণ লেট্রিনসহ ৩০ হাজার টাকা (সরকারের গৃহায়ণ তহবিল সহায়তায়) ৪. জীবিকায়ন থোক ৩০ হাজার টাকা তহবিল-উপকরণ এবং ৫. প্রয়োজনে ুদ্র-উন্নয়ন ঋণ এই প্যাকেজ আওতায় থাকবে। বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ উপকূলীয় লক্ষ্মীপুর জেলায় বর্ণিত ‘স্বপ্ন’ মডেল স্পেন সরকারের সহায়তায় পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আওতায় ভাতা প্রাপ্ত ৪৫০ মাকে নিয়ে বাস্তবায়ন করা এই ‘স্বপ্ন’ পরিবারসমূহ দরিদ্রতার বেড়াজাল ভেঙে দিয়ে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, দিন বদলের সান্নিধ্যে পেয়ে অর্থসামাজিক চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। তাই আসুন, সোনার বাংলা গড়তে এই নতুন শিশু, নতুন মা, নতুন বাবাসহ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য, শিা, হাউজিং, কর্মসংস্থান ও প্রয়োজনে উন্নয়ন ঋণ নিশ্চয়তাসহ নতুন বাংলাদেশ স্থাপন করি। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বিশ্ব দরবারে মর্যাদা ও সমতা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই, জানান দেই ‘আমরাও পারি’।
২০ বছর দীর্ঘমেয়াদী ‘স্বপ্ন’ প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই জন্মগতভাবে ধনী গরিব বিভেদ সৃষ্টির বেড়াজাল ভেঙে সাম্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
ভৌগলিক মুক্তির মানচিত্রের দেশ, অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। নতুবা কবি গুরুর ভাষায় বলতে হয় ‘নিজের উদ্যমে ও শক্তিতে নিজেকে মুক্ত না করিলে অন্যে মুক্তি দিতে পারে না, অন্যে যেটাকে মুক্তি বলিয়া উপস্থিত করে সেটা বন্ধনেরই অন্য মূর্তি’। জাতি থেকে নাতিদীর্ঘ পথ ৪০ বছর চলে গেছে। দেশপ্রেম ধৈর্য দৃঢ়তার সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বদলীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আগামী ২০ বছর পথ পরিক্রমা করেই দারিদ্র্যকে ওয়ালাইকুম সালাম বলতে হবে।
তাহলেই মাতৃভূমি ও জাতি শান্তি ও কল্যাণময়ীভাবে সমঅধিকারের অঙ্গীকারে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরণ হবে।
তাহলেই দুর্যোগ, দুর্বিপাকে আত্মত্যাগে বলিয়ান ১২ নভেম্বর বারে বারে আর ধ্বংসের বার্তা নিয়ে আসবে না, সৃষ্টির উম্মাদনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ প্রতিবার। তবেই হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ-সব জনগণের মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।