আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতাম আর এখন ওরা ধর্ণা দিচ্ছে আমাদের কাছে !



শিরোনামে লেখা কথাগুলো কার হতে পারে ? সম্মানিত পাঠকদের বুঝতে নিশ্চয়ই অসুবিধা হচ্ছে না যে কথাগুলো অবশ্যই কোন ভারতীয় নাগরিকের হয়ে থাকবে। হ্যা, এটি কোলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার মন্তব্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের শেষ দিন পত্রিকাটিতে এই মন্তব্য করা হয়। উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ভারত একটি। চীন ও ব্রাজিলের মত ভারত অর্থনৈতিক উৎকর্ষের পথে সাগরের স্রোতের মত এগিয়ে চলেছে।

আমরা ভারতের প্রতিবেশি, ওরা যা খায় আমরাও তাই খাই,ওরা যেমন পোষাক পরে আমরাও প্রায় একই রকম পোষাক পরি। ওদের বর্ণ-অভ্যাস-রুচি আর আমাদের বর্ণ-অভ্যাস ও রুচিতে খুব একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু ওরা অপ্রতিরুদ্ধভাবে এগিয়ে চলেছে আর আমরা দিন দিন পেছনে যাচ্ছি! কেন ? কেন'র উত্তর অনেক লম্বা নয়। সহজ একটি উত্তর । ওদের দেশ প্রেম, দেশের প্রতি মমত্ববোধ আছে, আমাদের নেই।

ওদের রাজনীতিকদের মধ্যে দেশের স্বার্থই বড়, আর আমাদের রাজনীতিকদের কাছে ব্যক্তি স্বার্থই আসল। ওরা দূনীতি করলেও দেশকে হত্যা করে না। আমরা দুর্নীতি করি দেশকে হত্যা করে। যাক এবিষয়ে আরেক দিন কথা বলা যাবে। আজ লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গ নিয়ে।

যে দেশটি দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে এখনো বিশ্ব মোড়লের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেই দেশটির প্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট অথনৈতিক সহযোগীতার জন্য যেভাবে ভারতের কাছে ধর্ণা দিল তাতে মনে হয়, সে দিন বেশি দূরে নয় যে দিন মার্কিন সাম্রাজ্যও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিণতি বরণ করবে। অর্থাৎ বরণ করতে বাধ্য হবে। মাঝে-মধ্যেই মিডিয়ায় দেখি ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদী নেজাদ বলেছেন, অচীরেই বিশ্ব মোড়লদের দিন শেষ হয়ে যাবে। তার কথাকে আমরা রাজনৈতিক বুলি হিসেবেই গ্রহণ করেছি।

কিন্তু ওবামার ভারত সফরের পর থেকে মনে হচ্ছে আসলেই যুক্তরাষ্ট্রের সূর্য্য অস্তমিত হওয়ার পথে রয়েছে। আইএমএফে'র একটি বক্তব্য থেকেও সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। আইএমএফের বক্তব্য এখানে..

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।