“ এসো এসো আমার ঘরে ” ত্রিপুরার কন্ঠশিল্পীদের সমবেত এ সঙ্গীতের সাথে একদল সুসজ্জিত তরুনী ফুল ছিটিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে স্বাগত জানালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মণিকে। এ সময় নোম্যান্সল্যান্ডে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। ডা. দীপু মণি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় পবিত্র স্থান ত্রিপুরা রাজ্যের বিলুনিয়া সীমান্তের চোত্তাখোলায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করার জন্য গতকাল বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ত্রিপুরায় গেছেন। এর পূর্বে তিনি একটি সামরিক হেলিকপ্টার যোগে সকাল ১০ টায় আখাউড়ার হেলিপেডে অবতরণ করেন।
২০১০ সালের ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে বাংলাদেশে এসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আমাকে ত্রিপুরায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সে আমন্ত্রণ মতেই আমি ত্রিপুরা যাচ্ছি। বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিপুরাবাসীর বিরাট ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ঠিক সেভাবেই ত্রিপুরাবাসী আমাদের আশ্রয় দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে। তিনি আরো জানান, ভারত ও বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্ক উন্নয়নে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী যে যৌথ ইশতেহারে স্বাক্ষর করেছিলেন তার বাস্তবায়নে আমার এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সফরে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার সামগ্রিক সম্পর্কের অগ্রগতি হবে। এ দেড় দিনের সফরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, গর্ভণর সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।