উম্মম্ম
ফুটফুটে এক শিশু ড্যানিয়েল হ্যারিসন। বয়স চার বছর। এই চার বছর ধরেই সে মুখে তুলে কিছু খায় না। কঠিন বা তরল যেকোনো খাবার দেখলেই সে আঁতকে ওঠে। এমন তার খাদ্যভীতি; মরবে তবু খাবে না।
এ জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। পেট ফুটো করে একটি সরু নলের মাধ্যমে খাবার দেওয়া হচ্ছে তাকে।
ডানিয়েলের বাড়ি ইংল্যান্ডে। নটিংহামের কার্লটনে মা-বাবার সঙ্গে থাকে সে। ড্যানিয়েল যখন এইটুকুন শিশু, তখন ‘এসিড রিফ্ল্যাক্স’ সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
এই রোগ থেকে খাদ্যভীতি জন্মে। সে অটিজমেও ভুগছে।
ডানিয়েলের খাদ্যভীতি তাড়াতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন না মা-বাবা। বাবা কেভিন ও মা ক্যাথেরিন নিয়মিত তাকে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে নিয়ে যান। বাড়ি থেকে ওই হাসপাতালে যাওয়া-আসা ও চিকিৎসার ব্যয় মিলে অনেক খরচের ব্যাপার।
শিশুপুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে এ ব্যাপারে কোনো কার্পণ্য নেই তাঁদের। কিন্তু চিকিৎসকেরা আজ পর্যন্ত কেভিন ও ক্যাথেরিনকে আশার আলো দেখাতে পারেননি।
কেভিন বলেন, এখন তাঁদের সামনে একমাত্র আশা হচ্ছে অস্ট্রিয়া। সেখানকার একটি ব্যতিক্রমী ক্লিনিক ডানিয়েলের জটিল সমস্যা দূর করতে পারবে বলে তাঁরা আশা করছেন। তিনি জানান, ড্যানিয়েলকে সুস্থ করে তুলতে এ পর্যন্ত বহু ধরনের চিকিৎসাপ্রদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।
কয়েক দফা অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল ড্যানিয়েল। এ সময় নিউমোনিয়া দেখা দেয় তার। ফুসফুস অকেজো হওয়ার উপক্রম হয়।
তবে চিকিৎসার গুণে শেষ পর্যন্ত ওই কঠিন ধাক্কা সামলে ওঠে ড্যানিয়েল।
একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক কেভিন বলেন, তাঁর স্বপ্ন এখন একটাই—অন্য সব শিশুর মতো ছেলের স্বাভাবিক খাওয়া দেখতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘খাবার টেবিলে যখন নল ও যন্ত্রের মাধ্যমে ড্যানিয়েল খায়, তখন বাবা হিসেবে আমার কেমন লাগে, তা একমাত্র আমিই জানি। ’ ডেইলি মেইল অনলাইন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।