আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে বাসর...

এসো ভালোবাসা, একবার হলেও তুমি এসো...তারপর না হয় চলে যেও...কারন ওটাই অনেক সহজ...

সব পুরুষেরই একটা নিজস্ব স্বপ্ন থাকে, তার বিয়ের বাসর নিয়ে... আমিও ঠিক তার ব্যতিক্রম নই। বরং আমার মনে হয়, আমি একটু কম বয়স থেকেই এইদিনটির কথা ভাবতাম আর স্বপ্ন সাজাতাম। আর ভাবতাম আমার লক্ষী বউটি কতই না ভাগ্যবতী যে,আমার মত ভাল একটা বর পাবে... আর তখন মনের মাঝে কেমন যে একটা অদ্ভুদ ভাল লাগার দোলা দিয়ে যেত, যে বোলে বোঝাতে পারবনা.....আর মুখেতো একটা অটোমেটিক ক্যাবলা হাসি কিভাবে যে আসতো তাও টের পেতাম না বরং ভাবতাম আর ভাবতাম বাসর রাত না জানি কত পরম আনন্দের.....কত সুখের.... সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়া আজ আমার সেই অপেক্ষিত রাত্রির বাসর-রাত... বরং আজ কেমন জানি একটু নার্ভাস- নার্ভাস লাগছে। ও আজকে আমি যে পরিমান উপদেশ পেয়েছি,তাতে বোধ হয় একটা বই ছাপানো যাবে । যেমন যারা দাদা বা নানার বয়সী,তারা কইল, বাসর ঘরে যেন অবশ্যই একটা ভাব নিয়া ঢুকি... কথা যেন, কম বলি... সারাদিন অনেক ধকল গেসে বিধায় বা উসিলায়, হাত - পা বা মাথার কোনটা যাতে টিপিয়ে নেই... আর প্রথম রাইতেই যেন বিলাই মারি ... তাইলে বউ নাকি ডরাইব আর আমার কথায় উঠব-বসব.... এরপর বন্ধুরা , দাদী-নানীরা সবাই মজা করতে লাগল... থাক এরপর বহুত কার্যকালাপ ও কাহিনী পার হয়ে অবশেষে রাত ১ ঘটিকায় , আমার স্বপ্নের বাসর ঘরে ঢুকতে পারলাম ... আর সবার প্রথমেই ঘরের দরজাটা লাগিয়ে খাটের নিচটা দূর থেকেই আর-চোখে দেখে নিলাম... বাসর ঘরটা দেখলাম খুব ভাল-মতই সাজিয়েছে, রজনী-গন্ধার মিষ্টি সুবাস... ঘরের মাঝে একেবারে ফ্যানের নিচে খাট... আর খাটের মাঝে আমার লাল-টুকটুকে বউ... ঘরের এক-কোনায় একটা টেবিল... তার উপর কাঁচের গ্লাসে দুধ আর সাথে কিছু ফল... কিন্তু আমার বাসরে যে আমি ভাবসিলাম মোম-বাঁতি জ্বলবে... ও ভাবলাম ঘরে ফ্যান চলা থাকলে মোম-বাঁতি জ্বলবে কিভাবে তারপর যা যা বউকে বলব বলে ভেবে রেখেছি তা একটু গুছিয়ে নিলাম ...তারপর বহুত সাহস নিয়ে বউয়ের কাছে গিয়ে বসলাম... ও' দেখি কিছু্ই বলে না।

কিন্তু মাথায় আবার বিরাট ঘোমটা দিয়া রাখসে (লাজুক বোধ হয়)... আমি বললাম যে... দেখি আমার বউয়ের চাঁদ মুখটা আর বউ দেখি দূরে সরে যায়। আমি বললাম তুমি কি আজকে সারা-রাত ঘোমটা সরাবে না... আমাকে এভাবেই শাস্তি দিবে... তখন বলে, ঘোমটা সরানোর নাকি নিয়ম আছে, বউকে নাকি কিছু আমার দিতে হবে... ( নিজের আপন বউ তারপর-ও ছাড় নাই ) ভাগ্যিস বন্ধুদের কথা মত একটা আংটি কিনা রাখসিলাম... তারপরও বউরে শুধাইলাম বল তুমার কি লাগবে... আমি এইবার আরেকটু কাছে গিয়া বসলাম আর বললাম, যাও তুমারে আমি এমন জিনিস দিব যা আগে তোমাকে কেউ দেই নাই, তোমার ঠোটে আমি এক পুরুষের ঠোটের ভালবাসার ছোঁয়া দিব। তারপরও বউয়ের কোন পরিবর্তন দেখলাম না... মনে হইল এমন গিফ্ট বউরে আগেও অনেকে সাধছে বা দিসে তাই এইটার কদর কম । কি আর করা , বললাম আমি তোমার চাঁদ মূখ না দেখে আর থাকতে পারতেছিনা.... বউয়ের হাতে আংটিটা দিলাম আর অমনিই বউ এতো খুশি হইল যে, আমারে জড়িয়ে ধরল... ওমা এতো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি... কি আর করা... আমি তো আর পাথরের মূর্তি না... তাই থাকতে পারলাম না আমিও চরম আবেগে কাছে টেনে নিলাম। তারপর আমার ঠোট দু'টি এতো দ্রূততার অপর ঠোট দু'টি খুজে নিল...এরপর কেমন জানি এক অদ্ভুত ভাল লাগার অনুভূতি ... পুরোটাই যেন এক মাদকাতা... কিছুতেই বের হওয়া যায় না... বহু কষ্টে বউ ,আমাকে সরিয়ে বলল... সব পুরুষই এক... প্রথম রাত কিছু বলবে তা না....আমি কপট রাগ নিয়ে বললাম আমার কি দোষ তুমিইতো আগে শুরু করলে।

তারপর একটু দূরে সরে গিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে বসলাম..... আর বললাম যাও আর কাছেই আসব না... । তখন বউ বলল বুজেছি , বিয়ের প্রথম রাতেই আমি একটা বেশি বয়সের বাচ্চা পেয়েছি... আর অমনি আমার কানের কাছে রাখা এলার্ম ঘড়িটা বিকট শব্দে বাজতে লাগল... চেয়ে দেখি সকাল ৭ টা বেজে গেছে... আর আম্মু বলছেন... এই এলার্ম বন্ধ কর... মুখ ধুয়ে খেতে আয় তারপর কলেজে যা.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।