আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসমানী-৭

হাতের লেখা ভালো, চেহারা ভালো না

একটু দেখা করা দরকার তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো না নাওয়া খাওয়া বন্ধ হবে তাওনা শুকিয়ে গিয়ে আমার ৩০ কোমড়ের জিন্স খসে পড়ে ন্যাংটা হয়ে লজ্জায় মাথা কাটার মতো - এমনটাও হবেনা। যেটা হবে সেটা নিত্যান্তই স্বভাবের.... ডালের ভরার ঘ্রানেই যেখানে ২ প্লেট শেষ হতো সেখানে ঘিয়ে ভাজা চপেও হয়তো দুমুঠো ঢুকবেনা সম্মিলিত কাদনে সামাজিকতার খাতিরেও যেখানে চোখে জল আনা যায়নি সেখানে হয়তো অকারণে চোখ ঝাপসা হওয়ায় দুপুর বেলায় রোড ক্রসিংটায় দুমিনিট লেইটই হবে কিছুটা হতাশায় ঢুকে থাকা চোখ আরও ডুবে গিয়ে ‘‘চোখ মারা’’ প্রতিযোগিতায় শেষের থেকে প্রথম হতে হবে, এ আর বেশি কি? এতো তুই থাকতেই হতো তোকে ভেবে ভেবে রোড ভুলে বুক ভিলা রেখে লেচু শাহের মাজার পর্যন্ত যাইনি? কতদিন যে শার্ট ভুলে বাড়ির দরজার মাথায় গিয়ে আবার ফিরেছি খেয়াল আছে? টয়লেটের প্যানে বসে ভুলে গিয়ে দরজা খুলে দিব্বি এসএমএস টিপে টিপে লজ্জার মাথা কাটাকাটির ইতিহাস এণের না এসব-ই ‘তুই আমার’ থাকার বেলার কথা ২জনের দুপায়ের জুুতোয় বেখেয়ালে হেটেছি ২০০ মিটার বা তারও বেশি! সেখানে তুই গেলে যদি ৪০০ মিটারও খালি পায়ে যাই তাওবা বেশি কিসে? সুখের সংগায় প্রচলিত সব রেখে ‘‘শরীরই-ই প্রধান’’ লিখে যদি একখানা অখন্ডিত সংগা দাড় করাই তাতে কি গোষ্যা করবি? যদি প্রমান চাই ‘না পাওয়ার সুখ দুঃখের ইকুয়েশনের!’- দিতে পারবি? আসমানী, গত রাতে খুব বাজে একটা স্বপ্ন দেখলাম দেখলাম তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, এবং আমি খুব কস্ট নিয়ে ঐরকম একটা লেখা লিখে তোর বিয়ের পালকিতে দিতে গিয়ে ভুলে তোকে রেখে তোর বরকে দিয়ে ফেললাম! এরপর থেকেই আর একটুও ঘুমোতে পারিনি সারারাত ভয়ে বুক ধরফর ধরফর করছে তাই বলি কি, প্রাইভেট পড়ে যাওয়ার সময় রনির চা’র দোকানের সামনে এসে একটা মিসকল দিস, আমি অল্প একটু দেখা করেই চলে আসবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।